অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক

ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অধ্যায়- ৩

প্রশ্ন \ ১ \ দুর্নীতি নিরসনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পৃথিবীর সব দেশের কোনো না কোনো ধরনের দুর্নীতি রয়েছে। পৃথিবী থেকে দুর্নীতি কমানোর জন্য সবাই নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি এক্ষেত্রে প্রথমবার একটা শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দুর্নীতি নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হলো :

১.         দুর্নীতি করা হয় গোপনে। কারণ কোনো সমাজই দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয় না। তথ্যপ্রযুক্তি প্রথমবার সকল তথ্য সবার সামনে উপস্থিত করতে পেরেছে। কাজেই কোথাও কোনো দুর্নীতি হলে সেটা সবার সামনে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে।

২.         যেসব কাজে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয় সেগুলো সাধারণত টেন্ডারের মাধ্যমে করা হয়। এক সময় দুর্নীতিপরায়ণ প্রতিষ্ঠান মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সব কাজ নিজেরা নিয়ে নিত। এখন এসব কাজÑ টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় হয় বলে দুর্নীতি করার সুযোগ অনেক কমে গেছে।

৩.         আগে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাঝে দালাল শ্রেণি অবস্থান করে একটা বিরাট অঙ্ক মুনাফা হিসেবে লুফে নিত। কিন্তু এখন বিক্রেতারা তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটের কারণে দালাল শ্রেণির সাহায্য ছাড়াই ক্রেতার নিকট সরাসরি পণ্য বিক্রয় করতে পারছে। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হচ্ছে।

৪.         পৃথিবীর অনেক ক্ষমতাশীল দেশ বা প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষমতার কারণে পৃথিবীর নানা দেশে নানা ধরনের অবিচার করে থাকে। একসময় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কেউ ছিল না। এখন ইন্টারনেট হওয়ার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এসব তথ্য সাধারণ মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রের বড় বড় অপরাধ কীভাবে করা হয় সে সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে।

প্রশ্ন \ ২ \ কম্পিউটার ভাইরাস বলতে কী বুঝ? এটি কম্পিউটারের কী ধরনের ক্ষতি করে?

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম যা সাধারণ সফটওয়্যারের কাজে বিঘœ ঘটায়, বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের সফটওয়্যার ইন্টারফেস বিনষ্ট করে কিংবা সম্পূর্ণ কম্পিউটারের কর্মক্ষমতাকে বিনষ্ট করে দেয়। এটি ব্যবহারকারীর অগোচরে কম্পিউটারে সংক্রমিত হয়।

কম্পিউটার ভাইরাস কম্পিউটারের যে ধরনের ক্ষতি করতে পারে তা নিম্নে দেয়া হলো :

কম্পিউটার ভাইরাস কম্পিউটার সিস্টেমের নানা ধরনের ক্ষতি করে থাকে। এর মধ্যে দৃশ্যমান ক্ষতি যেমন : কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া, হ্যাং হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন রিবুট (Reboot) হওয়া ইত্যাদি। তবে, বেশিরভাগ ভাইরাসই ব্যবহারকারীর অজান্তে তার সিস্টেমের ক্ষতি করে থাকে। কিছু কিছু ভাইরাস সিস্টেমের ক্ষতি করে না, কেবল ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সিআইএস নামে একটি সাড়া জাগানো ভাইরাস প্রতিবছর ২৬ এপ্রিল সক্রিয় হয়ে কম্পিউটার হার্ডডিস্ককে ফরম্যাট করে ফেলে।

প্রশ্ন \ ৩ \ কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কী কী সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস দুই প্রকার। যথা :

১.         নিবাসী ভাইরাস (Resident Virus)

২.         অনিবাসী ভাইরাস (Non-Resident Virus)

১.         নিবাসী ভাইরাস : নিবাসী ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা সক্রিয় হয়ে ওঠার পর মেমোরিতে স্থায়ীভাবে অবস্থান নেয় এবং যখনই অন্য কোনো প্রোগ্রাম চালু হয় তখনই সেই প্রোগ্রামকে সংক্রমিত করে।

২.         অনিবাসী ভাইরাস : অনিবাসী ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা সক্রিয় হয়ে ওঠার পর, কোন কোন প্রোগ্রামকে সংক্রমণ করা যায় সেটি খুঁজে বের করে, সংক্রমণ করার পর মূল প্রোগ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

প্রশ্ন \ ৪ \ নেটওয়ার্কের নিরাপত্তাবিষয়ক ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : নেটওয়ার্কের কারণে আমরা এখন আর কেউ কারো থেকে আলাদা নই, সবাই এক সাথে যুক্ত। একদিক দিয়ে এটি একটি অসাধারণ ব্যাপার, অন্যদিক দিয়ে এটি নতুন এক ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। কিছু অসাধু মানুষ এই নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে যেখানে তার যাওয়ার কথা নয়, সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে। যে তথ্যগুলো গোপন রাখা হয়েছে সেগুলো দেখার চেষ্টা করে। নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে যাবার সময় পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। পাসওয়ার্ড এমনভাবে দেওয়া হয় যাতে কেউ সেটি সহজে অনুমান করতে না পারে। কিন্তু পাসওয়ার্ড বের করে ফেলার জন্য বিশেষ কম্পিউটার বা বিশেষ রোবট তৈরি হয়েছে। এগুলো সারাক্ষণই সম্ভাব্য সকল পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে, যতক্ষণ না সঠিক পাসওয়ার্ডটি বের হয়। সেজন্য আজকাল প্রায় সবক্ষেত্রেই সঠিক পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরও একজনকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। একটা বিশেষ লেখা পড়ে সেটি টাইপ করে দিতে হয়। একজন সত্যিকার মানুষ সেটি সহজেই বুঝতে পারে কিন্তু একটি যন্ত্র বা রোবট তার মর্মোদ্ধার করতে পারে না। মানুষ এবং যন্ত্রকে আলাদা করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় পধঢ়ঃপযধ।

প্রশ্ন \ ৫ \ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে গেলে পৃথিবীতে কী ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে লেখ।

উত্তর : নেটওয়ার্ক অচল হয়ে গেলে পৃথিবীতে যা ঘটবে তা নিচে বর্ণনা করা হলো :

১.         পৃথিবীর নেটওয়ার্ক অচল হলে নেটওয়ার্ক নির্ভর স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ, সার্ভার কম্পিউটার ইত্যাদি পুরোপুরি অচল হয়ে যাবে। ফলে একদেশ থেকে অন্য দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

২.         সকল ওয়েবসাইট, নেটওয়ার্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন নির্ভর প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

৩.         নেটওয়ার্ক নির্ভর যানবাহন যেমন : বিমান, রকেট, জাহাজ, অত্যাধুনিক ট্রেন ইত্যাদির চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

৪.         সারা বিশ্বের টিভি চ্যানেল, মোবাইল নেটওয়ার্ক ইন্টারনেটসহ সকল প্রকার ছোট বা বড় নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

৫.         একদেশ থেকে আরেক দেশ কিংবা একই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ করার মাধ্যম বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ফলে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

প্রশ্ন \ ৬ \ কম্পিউটার ওয়ার্ম এবং ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ কর।    [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]

উত্তর : প্রচলিত ও শনাক্তকৃত ম্যালওয়্যারসমূহের মধ্যে যে তিন ধরনের ম্যালওয়্যার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে কম্পিউটার ওয়ার্ম এবং কম্পিউটার ভাইরাস অন্যতম। নিচে এই দুই প্রকার ম্যালওয়্যারের পার্থক্য দেওয়া হলো :

কম্পিউটার ওয়ার্মকম্পিউটার ভাইরাস
১. কম্পিউটার ওয়ার্ম সেই প্রোগ্রাম যা কোনো নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য কম্পিউটারকেও সংক্রমিত করে।১. কম্পিউটার ভাইরাস এমন ধরনের ম্যালওয়্যার যা কোনো কার্যকরী ফাইলের সাথে যুক্ত হয় এবং ফাইলটি খুললে অন্যান্য কার্যকরী ফাইলে সংক্রমিত হয়।
২. কম্পিউটার ওয়ার্ম নিজে থেকেই নেটওয়ার্ক থেকে নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে।কম্পিউটার ভাইরাস ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়া ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
৩. বাজারের প্রচলিত প্রায় সব এন্টিভাইরাসই কম্পিউটার ওয়ার্মের বিরুদ্ধে কার্যকরী।কম্পিউটার ভাইরাস হতে নিষ্কৃতি পেতে বিশেষ ধরনের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়।

প্রশ্ন \ ৭ \ পাসওয়ার্ড কী? পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য কয়েকটি টিপস বর্ণনা কর।       [মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]

উত্তর : পাসওয়ার্ড : পাসওয়ার্ড হলো এক ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা ব্যবহারকারীকে প্রয়োজনীয় তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় সাহায্য করে। তাই প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে তার পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষায় সচেষ্ট থাকতে হয়।

পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়োজনীয় টিপস : পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষার কয়েকটি টিপস নিচে দেওয়া হলো :

১.         সংক্ষিপ্ত পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। প্রয়োজনে এমনকি কোনো প্রিয় বাক্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

২.         বিভিন্ন ধরনের বর্ণ ব্যবহার করা অর্থাৎ কেবল ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার না  করে বড় হাতের এবং ছোট হাতের বর্ণ ব্যবহার করা।

৩.         জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা অর্থাৎ শব্দ, বাক্য, সংখ্যা এবং প্রতীকের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা।

৪.         বেশির ভাগ অনলাইন সাইটে পাসওয়ার্ডের শক্তিমত্তা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে। নিয়মিত সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাসওয়ার্ডের শক্তিমত্তা যাচাই করা এবং শক্তিমত্তা কম হলে তা বাড়িয়ে নেওয়া।

৫.         অনেকেই ব্যবহার করেন (যেমন : সাইবার ক্যাফে, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র) এমন সিস্টেম ব্যবহার করলে আসন ত্যাগের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সাইট থেকে লগ আউট করা।

৬.         অনেকেই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করেন। যেমন : ষধংঃঢ়ধংং, শববঢ়ধংং ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৭.         নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের অভ্যাস গড়ে তোলা।

প্রশ্ন \ ৮ \ ম্যালওয়্যার কী? কীভাবে ম্যালওয়্যার হতে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়?

উত্তর : ম্যালওয়্যার : ম্যালওয়্যার হচ্ছে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারের সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের কাক্সিক্ষত কাজে বিঘœ ঘটায়, বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের সফটওয়্যার ইন্টারফেস বিনষ্ট করে, এমনকি সম্পূর্ণ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

ম্যালওয়্যার হতে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় : বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার তথা ভাইরাস, ওয়ার্ম কিংবা ট্রোজান হর্স ইত্যাদি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। এগুলোকে বলা হয় এন্টিভাইরাস বা এন্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার। বেশিরভাগ এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বিভিন্ন ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও প্রথম থেকে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নামে পরিচিত। বাজারে প্রচলিত প্রায় সকল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ভাইরাস ভিন্ন অন্যান্য ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকরী।

প্রশ্ন \ ৯ \ সামাজিক যোগাযোগ সাইট কী? কম্পিউটার হ্যাকিং সম্পর্কে যা জান লেখ।

উত্তর : সামাজিক যোগাযোগ সাইট : ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এর মাধ্যমে যে সকল ওয়েবসাইট মানুষের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ তৈরি করে তাকে সামাজিক যোগাযোগ সাইট বলে।

কম্পিউটার হ্যাকিং : হ্যাকিং বলতে বোঝানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বা ব্যবহারকারীর বিনা অনুমতিতে তার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা। যারা এই কাজ করে থাকে তাদেরকে বলা হয় কম্পিউটার হ্যাকার বা হ্যাকার।

নানা কারণে একজন হ্যাকার অন্যের কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক বা ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এর মধ্যে টাকা কামানো, প্রতিবাদ কিংবা চ্যালেঞ্জ করার বিষয়ও রয়েছে। তবে অনেক কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞগণ হ্যাকারদের অসৎ অনুপ্রবেশকারী বলতে চান না। তারা অসৎ উদ্দেশ্য অনুপ্রবেশকারীর ক্র্যাকার হিসেবে চি‎িহ্নত করতে পছন্দ করেন। তবে বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক বা ওয়েবসাইটে বিনা অনুমতিতে অনুপ্রবেশকারীকে সাধারণভাবে হ্যাকারই বলা হয়ে থাকে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হ্যাকিংকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশে এটি অপরাধ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) অনুসারে হ্যাকিংয়ের জন্য ৩ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

প্রশ্ন \ ১০ \ হ্যাকারদের প্রকারভেদ সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

উত্তর : বিভিন্ন প্রকার হ্যাকার হলো :

১.         হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার

২.         বø্যাক হ্যাট হ্যাকার

৩.         গ্রে হ্যাট হ্যাকার।

১.         হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার : যে সকল হ্যাকার কোনো সিস্টেমের উন্নতির জন্য উক্ত সিস্টেমের নিরাপত্তা ত্রæটিসমূহ খুঁজে বের করে তাকে এথিক্যাল হ্যাকার বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বলে।

২.         বø্যাক হ্যাট হ্যাকার : বø্যাক হ্যাট হ্যাকারের কাজ হচ্ছে অবৈধভাবে কোনো ব্যবহারকারীর কম্পিউটার সিস্টেমে বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে অসৎ উদ্দেশ্য সাধন করা।

৩.         গ্রে হ্যাট হ্যাকার : গ্রে হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে হোয়াট হ্যাট হ্যাকার এবং বø্যাক হ্যাট হ্যাকারের মাঝামাঝি পর্যায়ভুক্ত। এই ধরনের হ্যাকাররা কখনো হ্যাকিং করে ভালো করার উদ্দেশ্যে আবার কখনো কখনো হ্যাকিং করে থাকে ব্যবহারকারীর ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে।

প্রশ্ন \ ১১ \ কম্পিউটার ওয়ার্ম কীভাবে কম্পিউটারে বিস্তার লাভ করে বর্ণনা কর।

উত্তর : কম্পিউটার ওয়ার্ম হচ্ছে একটি ক্ষতিকারক সফটওয়্যার। সাধারণত কম্পিউটার ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে একাকী ছড়িয়ে পড়তে পারে না। কিন্তু কম্পিউটার ওয়ার্ম নিজে থেকেই নেটওয়ার্ক থেকে নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোকে আক্রান্ত করে। এরপর কম্পিউটারে সংরক্ষিত বিভিন্ন তথ্য, ফাইল কিংবা বিভিন্ন সফটওয়্যার-এর কার্যকারিতা নষ্ট করে। অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার ওয়ার্ম খুব সহজেই অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে ব্যবহারকারীর কম্পিউটারকে ক্ষতি করছে।

প্রশ্ন \ ১২ \ কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত করতে কী কী করা যায় সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

উত্তর : কোনো কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাজ করার গতি কমে যেতে পারে বা ডিস্কের নাম পরিবর্তন ও অযৌক্তিক বার্তা প্রদর্শিত হতে পারে। ফলে কম্পিউটারটিকে ভাইরাসমুক্ত করার জন্য ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ভাইরাসে আক্রান্ত কম্পিউটারে সর্বশেষ ভার্সনের শক্তিশালী এন্টিভাইরাস ইনস্টল করে কম্পিটারের অন্তর্ভুক্ত সকল ফাইল স্ক্যান করতে হবে। অরিজিনাল লাইসেন্সধারী এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি নিয়মিত ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপডেট করতে হবে। তারপরেও ভাইরাস দূর না হলে কম্পিউটারটিতে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমটি আনইনস্টল করে আবার নতুনভাবে ইনস্টল করতে হবে।

প্রশ্ন \ ১৩ \ বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট-এর প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করে।

উত্তর : বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট হলো যে সকল ওয়েবসাইটে পণ্য বেচাকেনা করা বা পণ্য সম্পর্কে প্রচারণা করা হয়।

উৎপাদিত পণ্য সরাসরি জনগণের নিকট পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত মাধ্যমটি হলো ই-কমার্স। উৎপাদনকারীদের উৎপাদিত পণ্য দালাল শ্রেণির সাহায্য ছাড়াই জনগণের নিকট প্রচার করার জন্য বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট-এর প্রয়োজন। উৎপাদনকারীরা বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট-এর কারণে সরাসরি ক্রেতার কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে এবং উক্ত পণ্য বিক্রি করার জন্য কোনো দোকান, শোরুম বা গুদামের প্রয়োজন হয় না। ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয়ের অর্থ বা সম্পদের অপচয় না করে বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট-এর ব্যবহার অত্যন্ত যৌক্তিক।

প্রশ্ন \ ১৪ \ কম্পিউটার ভাইরাস ও ওয়ার্মের মধ্যে কোন পার্থক্যটি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস ও ওয়ার্মের মধ্যে আচরণগত পার্থক্যের চেয়ে সংক্রমণের পার্থক্যকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন ধরনের ম্যালওয়্যার, যা কোনো কার্যকরী ফাইলের সঙ্গে যুক্ত হয়।

যখন ওই কার্যকরী প্রোগ্রামটি চালানো হয়, তখন ভাইরাসটি অন্যান্য কার্যকরী ফাইলে সংক্রমিত হয়। পক্ষান্তরে, কম্পিউটার ওয়ার্ম হলো সেই প্রোগ্রাম, যা কোনো নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য কম্পিউটারকেও সংক্রমণ করতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাস ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়া ছড়িয়ে পড়তে পারে না। অন্যদিকে, ওয়ার্ম নিজে থেকেই নেটওয়ার্ক থেকে নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটওয়ার্কের কম্পিউটারকে আক্রান্ত করে।

প্রশ্ন \ ১৫ \ তথ্য অধিকার কী? তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে লেখ।

[ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

উত্তর : তথ্য অধিকার : রাষ্ট্রীয় কার্যাবলির সাথে সম্পৃক্ত এবং জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার অধিকারই হলো তথ্য অধিকার।

তথ্য অধিকার আইন : তথ্য অধিকার আইনে তথ্য বলতে কোনো কর্তৃপক্ষের গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যেকোনো স্মারক, বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য উপাত্ত, লগবই, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিও, ভিডিও, অঙ্কিতচিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যেকোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যেকোনো তথ্যবহ বস্তু বা এদের প্রতিলিপি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রত্যেক দেশে কিছু বিশেষ তথ্যকে এই আইনের আওতা থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে। যেমন : কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা, শিক্ষকের সংখ্যা, পরীক্ষার ফি ইত্যাদি তথ্য জানাটা যেকোনো নাগরিককের অধিকার। কিন্তু সেই বিদ্যালয়ে সামনের পরীক্ষায় কী প্রশ্ন আসবে তা জানাটা কারো অধিকার নয়।

বিশ্বের দেশে দেশে এ আইনের আওতায় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্যসমূহ প্রকাশ করতে বাধ্য থাকে। এ আইনের বরখেলাপ হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হয়। যেসকল দেশে এ আইন বলবৎ রয়েছে যেসব দেশে এ আইনের বাস্তবায়ন তদারক করার জন্য একটি তথ্য কমিশন গঠন করা হয়। বাংলাদেশেও একটি তথ্য কমিশন আছে। কমিশন এই আইনের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে এবং কোনো ব্যক্তি এ আইনের আওতায় তথ্য পেতে বঞ্চিত হলে কমিশনের কাছে অভিযোগ দাখিল করতে পারে।

২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৯৩টি দেশে এই জাতীয় তথ্য জানাকে আইনী অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এ জন্য সেসব দেশে তথ্য অধিকার আইন প্রণীত ও বাস্তবায়িত হয়েছে। বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সাল থেকে বলবৎ রয়েছে। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তিকে ব্যক্তির চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার পূর্বশর্ত হিসেবে চি‎িহ্নত করা হয়েছে।

প্রশ্ন \ ১৬ \ ম্যালওয়্যার কাকে বলে? ক্ষতিকারক সফটওয়্যার কীভাবে কম্পিউটারের ক্ষতিসাধন করে? বর্ণনা কর।

উত্তর : যেসব প্রোগ্রামিং কোড বা প্রোগ্রামসমূহ কম্পিউটারের ক্ষতি সাধন করে তাদের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা মেলিসিয়াস সফটওয়্যার বা সংক্ষেপে ম্যালওয়্যার বলে। এ ধরনের সফটওয়্যার নি¤েœাক্তভাবে কম্পিউটারের ক্ষতি সাধন করে।

১.         কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যারের কাক্সিক্ষত কাজে বিঘœ ঘটায়।

২.         কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের সফটওয়্যার ইন্টারফেস নষ্ট করে দেয়।

৩.         কোনো কোনো ক্ষতিকারক সফটওয়্যার এতবেশি শক্তিশালী যে সম্পূর্ণ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

৪.         অনেক ক্ষতিকারক সফটওয়্যার কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য চুরি করে।

৫.         কোনো কোনো সময় ক্ষতিকারক সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর অজান্তে তার কম্পিউটারে প্রবেশাধিকার লাভ করে।

প্রশ্ন \ ১৭ \ ম্যালওয়্যার কত প্রকার ও কী কী? ম্যালওয়্যার কেমন করে কাজ করে লেখ।

উত্তর : ম্যালওয়্যারের প্রকারভেদ : প্রচলিত ও শনাক্তকৃত ম্যালওয়্যারসমূহের মধ্যে নি¤েœাক্ত তিন ধরনের ম্যালওয়্যার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় :

১. কম্পিউটার ভাইরাস; ২. কম্পিউটার ওয়ার্ম; ৩. ট্রোজান হর্স।

ম্যালওয়্যারের কার্যপদ্ধতি : যেসব কম্পিউটার সিস্টেমে সফটওয়্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রæটি থাকে, সেসব ক্ষেত্রে ম্যালওয়্যার তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। কেবল নিরাপত্তা ত্রæটি নয় ডিজাইনে গলদ কিংবা ভুল থাকলেও সফটওয়্যারটিকে অকার্যকর করার জন্য ম্যালওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হয়। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ম্যালওয়ারের সংখ্যা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় বেশি। এর একটি কারণ বিশ্বে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের  কাজে কোনো ভুল বা গলদ কেউ বের করতে পারলে সে সেটিকে ব্যবহার করে, ম্যালওয়্যার তৈরি করতে পারে। ইন্টারনেটের বিকাশের আগে ম্যালওয়্যারের সংখ্যা খুবই কম ছিল। যখন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারকে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, তখন থেকেই ম্যালওয়্যারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রশ্ন \ ১৮ \ কম্পিউটার ভাইরাস কী? এর বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস : কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার যা পুনরুৎপাদনে সক্ষম এবং এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সংক্রমিত হতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য : কম্পিউটার ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো :

১.         কম্পিউটার ভাইরাস এমন এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা পুনরুৎপাদনে সক্ষম।

২.         কম্পিউটার ভাইরাস ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজে নিজে ছড়িয়ে পড়তে পারে না।

৩.         কম্পিউটার ভাইরাস কোনো কার্যকরী ফাইলের সাথে নিজেকে যুক্ত করে এবং যখন ওই প্রোগ্রামটি চালানো হয় তখন ভাইরাসটি অন্যান্য কার্যকরী ফাইলে সংক্রমিত হয়।

প্রশ্ন \ ১৯ \ কম্পিউটার ভাইরাস কীভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা যায়? বর্ণনা কর।

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে বুঝতে হবে কম্পিউটার সিস্টেমে সফটওয়্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো না কোনো ত্রæটি আছে। এজন্য কম্পিউটারে যদি কোনো এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম লোড করা থাকে তাকে আপডেট করতে হবে। তারপরও যদি কম্পিউটারের কাজে কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কম্পিউটারের প্রোগ্রামসমূহ নতুন করে ইনস্টল করতে হবে এবং পরবর্তীতে কম্পিউটার যাতে পুনরায় ভাইরাস আক্রান্ত না হতে পারে সেজন্য নি¤েœাক্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-

১.         একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরের কোনো ডিস্ক ব্যবহার না করা।

২.         ডিস্ক রাইটপ্রজেক্ট না করে অন্য কোনো কম্পিউটারে ব্যবহার না করা।

৩.         সবসময় এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করা।

৪.         প্রতিদিন কাজের শেষে প্রয়োজনীয় ডেটার ব্যাকআপ রাখা।

৫.         ড্রাইভে কোনো ফ্লপি ডিস্ক রেখে কম্পিউটার চালু না করা।

প্রশ্ন \ ২০ \ সাইবার অপরাধ বলতে কী বোঝায়? এ মুহ‚র্তে প্রচলিত কিছু সাইবার অপরাধের বর্ণনা দাও।         [মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]

উত্তর : সাইবার অপরাধ : অপরাধ তথ্য প্রযুুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয় তাকে সাইবার অপরাধ বলে।

প্রচলিত সাইবার অপরাধসমূহ : নিচে এই মুহ‚র্তে প্রচলিত কিছু সাইবার অপরাধের বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো :

স্প্যাম : স্প্যাম হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে তৈরি করা অপ্রয়োজনীয়, উদ্দেশ্যমূলক কিংবা আপত্তিকর ই-মেইল, যেগুলো প্রতি মুহ‚র্তে ই-মেইল ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়। স্প্যামের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিতে গিয়ে সবার অনেক সময় এবং সম্পদের অপচয় হয়।

প্রতারণা : ভুল পরিচয় এবং ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নানাভাবে যোগাযোগ করা হয় এবং তাদেরকে নানাভাবে প্রতারিত করার চেষ্টা করা হয়।

আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ : অনেক সময়েই ইন্টারনেটে কোনো মানুষ সম্পর্কে ভুল কিংবা আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হয়। সেটা শত্রæতামূলকভাবে হতে পারে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হতে পারে কিংবা অন্য যেকোনো অসৎ উদ্দেশ্যে হতে পারে।

হুমকি প্রদর্শন : ইন্টারনেটে যেহেতু একজন মানুষকে সরাসরি অন্য মানুষের মুখোমুখি হতে হয় না, তাই কেউ চাইলে খুব সহজেই আরেকজনকে হুমকি প্রদর্শন করতে পারে।

সাইবার যুদ্ধ : ব্যক্তিগত পর্যায়ে একজনের সাথে আরেকজনের সংঘাত অনেক সময় আরও বড় আকার নিতে পারে। একটি দল বা গোষ্ঠী এমন কি একটি দেশ নানা কারণে সংঘবদ্ধ হয়ে অন্য একটি দল, গোষ্ঠী বা দেশের বিরুদ্ধে এক ধরনের সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে।

Download From Google Drive

Download

আরো পড়ুনঃ-

Download From Dropbox

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here