ছেলের প্রতি বাবার ভালোবাসার এক মহান দৃষ্টান্ত
আজ আমি আপনাদের চমৎকার একটি গল্প শোনাবো, গল্পটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে শুনোন।
এক গ্রামে একটি কূপ ছিলো । তা ছিল ভূতুরে । গ্রামের লোকজন যখনই পানি তুলতে তাতে বালতি ফেলতো…… প্রতিবারই বালতিশূন্য রশি উঠে আসতো ।
এমন অদ্ভুতকাণ্ড বারবার ঘটায়, গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো যে, কূপটি জীনের বাসা ।এখানে ভয়ংকর একটা জীন বাস করে । কিন্তু এভাবে আর কতোদিন চলে…..?
তাদের তো পানি সংগ্রহ করতেই হবে । এর একটা বিহিত করা দরকার । কিন্তু কূপে নামবে কে ? কেউ সহজে রাজি হচ্ছে না ।এমন সময় এক যুবক কূপে নামতে রাজি হলো । সে বললো, আমি কূপে নামবো । আমার কোমরে রশি বেঁধে নামিয়ে দিবেন । তবে শর্ত হলো রশির অপর প্রান্তে… অবশ্যই আপনাদের সাথে আমার পিতাকে থাকতে হবে।
গ্রামের লোকজন তার শর্ত শুনে বেশ আশ্চর্য হলো । গ্রামের শক্তিশালী সুঠাম এতগুলো
মানুষ থাকতে তার পিতাকে লাগবে কেনো….?
প্রথমে তারা যুবককে বিষয়টা বোঝাতে চেষ্টা করলো ।
তবুও তার ঐ এক কথা , অবশ্যই তার পিতাকে সাথে রাখতে হবে ।
তার পিতাকে খুঁজে আনা হলো ।
সবাই মিলে যুবককে কূপে নামিয়ে দিল ।
ভেতরে গিয়ে সে দেখলো, কূপে একটি বানর ।
এই শয়তান বানরটিই বালতি রেখে দিত ।
যুবক বানরটিকে ধরে কাঁধে বসিয়ে রশি
টানার নির্দেশ দিল ।
বানরটি ছিল যুবকের কাঁধে । এজন্য
স্বাভাবিকভাবেই সর্বপ্রথম দৃষ্টিগোচর
হল বানরের চেহারা । হঠাৎকরে ভূতদর্শন
চেহারা দেখে সবাই মনে করলো, জীনটা
উঠে আসছে । তাই রশি ফেলে সবাই
পালালো….
কিন্তু একজন রশি ছাড়ল না । তিনি ছিলেন, তার পিতা।
বহুকষ্টে ছেলেকে,উপরে টেনে তুললেন। ফলে উনার ছেলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলো । তখন সবাই বুঝতে পারলো কেনো সে, তার পিতাকে রশি ধরার শর্ত দিয়েছিলো ।
কারণ,,,
পৃথিবীতে সবাই বিপদের সময় দূরে সরে গেলেও,, পিতা/মাতা সরবে না ।
তাই আসুন, পিতা, মাতাকে
কষ্ট না দিয়ে , তাদের ভালোবাসি।
সবসময় তাদের হাসি- খুশি রাখুন, দেখাশোনা করুন।
ভালো থাকুন এবং ভালো রাখুন। ধন্যবাদ