বিশ্বের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিভাষা সংক্রান্ত তথ্য পিডিএফ ডাউনলোড

রাজনীতি ও কূটনীতি বিষয়ক পরিভাষা

হাই কমিশনার (High Commissioner): হাই কমিশনার হচ্ছে একটি কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র থেকে অপর কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রে প্রেরিত সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রতিনিধি।

হাউজ অব কমন্স (House of Commons): হাউজ অব কমন্স হচ্ছে ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ। কমন্সসভার সদস্য প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। এ কমন্স সভা ব্রিটেনের জন প্রতিনিধিমূলক কক্ষ। মন্ত্রিসভাকে তার কাজের জন্য ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে কমন্সসভার কাছে দায়ী থাকতে হয়। কমন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য অনাস্থা জ্ঞাপন করলে মন্ত্রিসভার পতন ঘটে।

হাউস অব লর্ডস (House of Lords): ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ। উত্তরাধিকার সূত্রে এ সভার সদস্যরা সদস্য পদ পেয়ে থাকেন। লর্ড সভার লর্ডদেরকে ‘পিয়ার (চববৎ)’ বলা হয়। এর সদস্য সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়।

সাম্রাজ্যবাদ (Imperialism): অপরের রাজ্য দখল করে শক্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি করার প্রবণতাকে ইমপিরিয়্যালিজম বলে।

ইনজ্যাংশন (injunction): বিচারালয় কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দানের নির্দেশ এবং কোনো অন্যায় কার্য থেকে বিরত রাখা।

ইমপিচমেন্ট (Impeachment): রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের জন্য রাষ্ট্রপ্রধানকে পার্লামেন্ট বা উচ্চ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশেষভাবে বিচার করা। এ বিশেষ পদ্ধতিতে বিচার করাকে ইমপিচমেন্ট বলে।

আয়রন কার্টেন বা ব্যাম্বো কার্টেন (Iron Curtain or Bamboo Curtain): কমিউনিষ্ট দেশ কর্তৃক অভ্যন্তরীণ বিষয়াদির বহিঃপ্রকাশ রোধকল্পে সংবাদ মাধ্যম, বিদেশীদের আগমন ইত্যাদির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এ পদ্ধতিকে আয়রন কার্টেন বা লৌহ যবনিকা বলা হয়। চীন দেশ কর্তৃক গৃহীত এ ব্যবস্থাকে ব্যাম্বো কার্টেন বলা হয়।

ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ (Individaulism): ইন্ডিভিজুয়্যালিজম এমন এক সমাজ ব্যবস্থা যেখানে ব্যক্তি শাসনই একমাত্র সরকার হিসেবে স্বীকৃত এবং যেখানে একজন তার প্রতিবেশীর রক্ষামূলক কাজ করতে বাধ্য হয় না। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিকে রক্ষা করাই সরকারের প্রধান কর্তব্য।

কুয়োমিনটাং (Kumintang): চীনা জাতীয় বিপ্লবী দল। ১৯১২ সালে সান ইয়াৎসেন এ দল গঠন করেন। ফরমোজায় চিয়াং কাউসেক কর্তৃক পরিচালিত দল।

ডিফ্যাকটো (Defacto): নতুন সরকার বা রাষ্ট্র রীতিসিদ্ধভাবে স্বীকৃত হওয়ার পূর্বেই যে কোনো ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য যে বিধিবদ্ধ আইন তৈরি করে তাকে ডিফ্যাকটো বলে।

ডোমিনিয়ন (Dominion): ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে যে উপনিবেশগুলো স্ব শাসন প্রতিষ্ঠার মর্যাদা অর্জন করে তাকে ডোমিনিয়ন বলে।

নিরস্ত্রীকরণ (Disarmament): নিরস্ত্রীকরণ বলতে অস্ত্র এবং সামরিক শক্তির সীমিতকরণ বা অস্ত্র তৈরি বন্ধ করা বোঝায়।

ডমিসাইল (Domicile): স্থায়ী আবাসভূমিকে ডমিসাইল বলা হয়।

দূতাবাস (Embassy): একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কূটনৈতিক কর্মকর্তা বা রাষ্ট্রদূত ও তার কর্মচারীবৃন্দদের কার্যালয়।

এমবারগো (Encyclical): বিদেশি জাহাজের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে বন্দরে কোনো বিদেশি জাহাজ প্রবেশ করতে বা ত্যাগ করতে পারে না।

এনসাইক্লিক্যাল (Encyclical): পৃথিবীর সর্বত্র প্রচারের জন্য পোপের ধর্ম সম্বন্ধীয় বা রাজনৈতিক চিঠি।

এনভয় (Envoy): বিদেশে প্রেরিত রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিগণের মাঝে রাষ্ট্রদূত এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের মাঝামাঝি পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিকে এনভয় বলে।

ডিপ্লোম্যাসি (Diplomacy): দুটি স্বাধীন ও সার্বভৌম  রাষ্ট্রের মধ্যে কোন প্রকার যুদ্ধের উদ্রেক না করে দু’জন প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে যে আলাপ আলোচনা তাকে Diplomacy বলে।

Sending and Receiving state: ডিপ্লোম্যোট প্রেরণকারী রাষ্ট্রকে sending state এবং গ্রহণকারী রাষ্ট্রকে Receiving state বলে।

Receiving state: (কূটনীতিকের নিয়োগপত্র) পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুপারিশক্রমে সংস্থাপন মন্ত্রনালয় ডিপ্লোম্যাটকে যে নিয়োগ পত্র প্রদান করে তাকে Receiving state বলে।

Privileges: (কূটনৈতিকের বিশেষ সুযোগ সুবিধাসমূহ)ঃ Receiving state ডিপ্লোম্যাটকে যে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে তাকে privileges বলে।

Attache: (কূটনীতিকের বিশেষ সহকারী) education affairs,  militancy affairs, cultural affairs Ges labour affairs এই চারটি বিষয়ে সর্বোচ্চ ৪ জন এবং সর্বনিম্ন ১জন যারা দেখাশোনা করেন তাকে/তাদেরকে Attace (অ্যাটাশে) বলে।

Consul (অর্থনৈতিক পরামর্শ দাতা): যিনি আর্থিক এবং বাণিজ্যিক বিষয়ে দেখাশোনা করেন তাকে Consul বলে। Consul এর অফিসকে বলা হয় consulate. Persona Non grata (অবাঞ্চিত): Receiving state-নিযুক্তকালীন সময়ে Diplomate যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন ঐ দেশের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ করেন, অথবা নৈতিক অবস্থার স্খলন ঘটে তাহলে Receiving state তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।

yellow journalism: মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে ও টাকার বিনিময়ে তথ্য গোপন করাকে yellow journalism বলে।

Impeachment: (অভিশংসন): রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী কোন গুরুতর অপরাধ করলে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার নামই অভিশংসন। বাংলাদেশ সংবিধানের ৫২ নং অনুচ্ছেদে অভিশংসনের বিধান রয়েছে। অভিশংসনের জন্য সংসদের ২/৩ অংশ সদস্যের লিখিত অভিযোগ স্পীকারের নিকট পেশ করতে হয়।

Janta: সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করে তাদেরকে জান্তা বলে। দখলকারী যদি সামরিক বাহিনীর হয় তাকে সামরিক জান্তা বলে।

Embargo/Bloked: কোন দেশের সমুদ্র বন্দরে বিশেষ অবস্থার জারি প্রেক্ষিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নোঙরকৃত জাহাজকে বন্দর ত্যাগ করতে না দেওয়া এবং অপেক্ষামান জাহাজগুলোকে বন্দরে প্রবেশ করতে না দেওয়াকে Bloked বলে।

Blue law: সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য যদি এমন কোন আইন প্রণয়ন করে যা সাধারণ জনগনের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে তাকে Blue/Black law বলে।

Blue Books: ব্রিটেনের অলিখিত সংবিধান যে বইয়ে লিপিবদ্ধ আছে তাকে Blue Books বলে। ১২১৫ সালে রাজা জন এটি রচনা করেন যা ম্যাগনাকার্টা বা ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের বাইবেল নামে পরিচিত।

Gherao: কোন এলাকার জনগণ বা কর্মচারী তাদের যৌক্তিক দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের অফিস এবং বাসভবন অফিস চলাকালীন সময় (৯-৫টা) যদি ঘিরে রোখে তাকে Gherao বলে।

Sabotage (অন্তর্ঘাতমূলক দ্ব›দ্ব)ঃ এটি হতে হলে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য প্রয়োজনঃ-

১।         কোন দেশের ভূ-খন্ডের মধ্যে হতে হবে।

২।        কোন দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক কাজটি সম্পাদিত হবে।

৩।        এর ফলে সাধারণ জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে হবে।

৪।        রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য হতে হবে।

ইয়োলো ডগ কন্ট্রাক্ট (Yellow-dog Contract): ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান না করার জন্য আমেরিকার মালিক ও কমর্চারীদের মধ্যে চুক্তি করে যে অঙ্গীকার করা হয় তাকে ইয়োলো ডগ কন্ট্রাক্ট বলে। এ চুক্তিনামা ১৯৩৫ সালের আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়।

কমিউনিজম (Communism): কমিউনিজম হচ্ছে এমন এক সমাজব্যবস্থা যেখানে সম্পত্তির সাধারণ মালিকানা রাষ্ট্রের ওপর ন্যস্ত। এ ব্যবস্থায় পুঁজিবাদের বিলোপ ঘটে। এ ব্যবস্থায় সর্বসাধারণের কল্যাণের স্বার্থে সামাজিক সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে বণ্টিত হয়।

অ্যারিস্টক্রেসি বা অভিজাততন্ত্র (Aristocracy): অভিজাততন্ত্রে শাসনব্যবস্থা কতিপয় ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত থাকে।

যুদ্ধবিরতি (Armistice): বিবাদমান দু দেশের মধ্যে কিছুদিনের জন্য যুদ্ধ স্থগিত রাখাকে যুদ্ধবিরতি বলে।

অ্যাসেসমেন্ট (Assessment): কোনো কিছুর কর নির্ধারণ করা।

অডিট (Audit): প্রতি বছর সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাব পরীক্ষা করাকে অডিট বলে।

অটোক্রেসি (Autocracy): স্বেচ্ছাচারী সরকার। এতে শাসকবর্গ কোনো মাধ্যমের নিকট জবাবদিহি না করে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে।

বেল বা জামিন (Bail): কোনো কিছুর বিনিময়ে আসামীকে জেল থেকে মুক্তি দেয়াকে জামিন বলে।

ব্যালট (Ballot): ভোটপত্র, গুপ্তভোট। সর্বজনীন ভোটাধিকারে ব্যালট পেপার বা ব্যালট বাক্স একটি গুরুত্বপুর্ণ উপাদান।

অ্যাসাইলাম (Asylum): রাজনৈতিক কোন্দল বা অন্য কোনো কারণে যখন কোনো রাজনৈতিক শরণার্থী অন্য কোনো দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন তখন তার এ আশ্রয় গ্রহণকে অ্যাসাইলাম বলে।

অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney-Generel): একটি দেশের সরকারের প্রধান আইনজীবিকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলে।

ইউনিটারি গভর্নমেন্ট (Unitary Government): যেসব শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারই মূলত সকল ক্ষমতার অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক তার ইচ্ছানুযায়ী স্থানীয় সরকারের ওপর ক্ষমতা অর্পণ করা হয়, এ ধরণের শাসনব্যবস্থাকে ইউনিটারি গভর্নমেন্ট বা এককেন্দ্রিক সরকার বলা হয়। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রে সার্বভৌম ক্ষমতা নিঃসন্দেহে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যাস্ত।

রিট (Writ): কোনো সার্বভৌম সরকার কর্তৃক অফিসার বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো কার্যসম্পাদন করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আদালত কর্তৃক নির্দেশ।

ইয়োলো পিরিল (Yellow Peril): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে জাপান কর্তৃক সাম্রাজ্য বিস্তারের ঝুঁকিকে ‘ইয়োলো পিরিল’ বলে।

উইমেন্স লিবারেশন মুভমেন্ট বা নারী স্বাধীনতা আন্দোলন: পুরুষের মতো সমান ক্ষমতা ও অধিকারের দাবি করে নারীরা যে আন্দোলন করে তাকে উইমেন্স লিবারেশন মুভমেন্ট বলে। পুরুষদের প্রভুত্বের প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা প্রথম এ আন্দোলন শুরু করে।

ক্রিডেনশিয়ালস (Credentials): এক দেশ কর্তৃক অপর দেশে প্রেরিতদের পরিচয়পত্র। বিদেশি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে এ পরিচয়পত্র সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে পেশ করতে হয়।

কনডোমিনিয়াম (Condominium): একটি রাজ্যে দুয়ের অধিক দেশের শাসনব্যবস্থা। ১৯৫৬ সালে সুদানে স্বাধিকারের পূর্বে দেশটিতে অ্যাংলো ইজিপশিয়ান শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

মূলতবি: আইন পরিষদের সভা কোনো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থগিত রাখাকে মূলতবি বলা হয়। মূলতবি বিশেষ কোনো কারণ বা নিয়ম অনুযায়ী হয়ে থাকে।

কনভেনশন বা সম্মেলন (Adjournment): এতে একটি আনুষ্ঠানিক সভার মধ্যে কিছু আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অবশ্য এ চুক্তিগুলো স্থায়ী নয়।

ব্যালান্স অব পাওয়ার: ব্যালান্স অব পাওয়ার বলতে দুটি দেশের ক্ষমতার ভারসাম্যকে বোঝায়। যেসব দেশের জাতীয় শক্তি অধিক তারা শক্তিশালী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই যে কোনো ধরণের বিবাদ এড়িয়ে শান্তি আনয়নে বিবাদমান দুটি দেশের শক্তির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাকে ব্যালান্স অব পাওয়া বলে।

বেলুন ব্যারেজ (Balloon Barrage): শত্রু পক্ষের বিমান হামলা বন্ধ করার জন্য বেলুনে তার বেঁধে আকাশে উড়িয়ে যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাকেই বেলুন ব্যারেজ বলে।

বারবেট (Barbatte): উত্তোলিত প্লাটফর্ম। এখান থেকে কামান ছোঁড়া হয়।

বিলিজের‌্যান্ট (Balligerant): যুদ্ধরত দেশসমূহকে ক‚টনৈতিক পরিভাষায় বিলিজের‌্যান্ট বলা হয়।

ব্যাটল ক্রুজার (BattleCruiser): বড় যুদ্ধ জাহাজ। এতে বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত থাকে এবং এর গতি ও ক্ষমতা অনেক বেশি।

ব্লকেড (Blocked): যে সৈন্যবাহিনী বা জাহাজ শত্র“র শহর বা বন্দরের মালামাল সরবরাহ বন্ধ রাখার কাজে নিয়োজিত থাকে তাদের ব্লকেড বলা হয়।

বলশেভিক (Bolshevik): রুশ কমিউনিস্ট পার্টি, যারা কার্ল মার্কসের মতবাদে বিশ্বাসী। ১৯১৭ সালে লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক দল রুশ বিপ্লব সফল করে।

বুর্জোয়া (Bourgeoisie): কার্ল মার্কসের মতে শিল্প সম্পদের অধিপতিদের নিয়ে বুর্জোয়া শ্রেণী গঠিত হয়। তাঁর মতে ক্ষুদে বুর্জোয়ারা বড় বুর্জোয়াদের কাছে পরাজিত হয়ে শ্রমিক শ্রেণীভূক্ত হয়।

ব্রেনগান (Bren Gun): হালকা মেশিনগান। এর সাহায্যে দ্রুত গুলি ছোঁড়া হয়।

বাফার স্টেট (Buffer State): দুটি বৃহৎ রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য দু দেশের মাঝখানে অবস্থিত স্বাধীন নিরপেক্ষ দেশকে বাফার স্টেট বলে।

আমলাতন্ত্র বা ব্যুরোক্রেসি (Bureaucracy): আমলাতন্ত্র বলতে বিভিন্ন দপ্তরের হাতে শাসন বিভাগীয় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের স্থায়ী কর্মচারীগণের অনাবশ্যক হস্তক্ষেপকে বোঝায়।

বাই ইলেকশন (By-election): একটি চলতি পরিষদের শূন্য আসনের জন্য উপ-নির্বাচন হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিরোধী দলের অনাস্থার ফলে পরিষদ ভেঙে গেলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মধ্যকালীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি শাসনতন্ত্রের নীতি অনুযায়ী হয়।

ক্যাপিচুলেশন (Capitulation: শত্রুপক্ষের সৈন্যদলের নিকট শর্তাধীনে আত্মসমর্পণ করা। এ আত্মসমর্পণে অপমানজনক শর্ত আরোপ করা হয়। নীল মলাটে বাঁধানো বলে একে ব্লু বুকস বলা হয়।

ব্লাক শার্ট (Black Shirt): ইতালির মুসোলিনির ফ্যাসিস্ট দল।

ব্লু লজ (Blue Laws): ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করে যে আইন সেটাই ব্লু লজ। এ আইন আমেরিকায় ব্যাপকভাবে প্রচলিত।

মন্ত্রিপরিষদ (Cabinet): সরকার পরিচালনায় একদল মন্ত্রীর কমিটিকে মন্ত্রিপরিষদ বলা হয়। তারা আইন পরিষদের নিকট দায়ী থেকে শাসনকার্য পরিচালনা করেন।

ক্যাভালরি (Cavalry): অশ্বারোহী সৈন্যদল, যারা তলোয়ার ও বল্লম বহন করে।

কাস্টিং ভোট (Casting-Vote): কোনো নির্বাচনে দু দল একই সংখ্যক ভোট পাওয়ার পর ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় তখন সে অচলাবস্থা দূর করার জন্য সভাপতি নিজে একটি ভোট প্রদান করেন। এ ভোট গ্রহণের পদ্ধতিকে কাস্টিং ভোট বলা হয়ে থাকে।

ক্যামোফ্লেজ (Camouflage): ক্যামোফ্লেজ বলতে গাছপালা, ডালপালা, লতাগুল্ম ইত্যাদি প্রাকৃতিক বস্তু দ্বারা সৈন্যদল ও অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখার পদ্ধতিকে বোঝায়।

সিভিল ওয়ার বা গৃহযুদ্ধ (Civil War): সরকার এবং স্বদেশি বিদ্রোহীদের মধ্যে যে যুদ্ধ হয় তাই গৃহযুদ্ধ।

শোভিনিজম (Chauvinism): অন্ধ দেশাত্মবোধ। এ কারণে মানুষ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ঘৃণা করে এবং নিজেদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে। ফ্রান্সের সৈন্য নিকোলাস শোভিনের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

সহাবস্থান (Co-existence): কো-ইগজিসটেন্স হচ্ছে রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভিন্ন মতাবলম্বী এবং পরস্পর সদ্ভাব বজায় রেখে কারও   অভ্যন্তরীণ অথবা বাহ্যিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে সহাবস্থান করা।

কনসেনট্রেশন ক্যাম্প (Concentration Camp): কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বলতে একনায়কতান্ত্রিক দেশের বন্দিশালাকে বোঝায়। এখানে রাজনৈতিক বন্দিদের অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্দি অবস্থায় রাখা হয়। তাদের কোনো বিচার হয় না ও আত্মরক্ষার কোনোরূপ সুযোগ দেয়া হয় না।

সেন্ট্রালিজম (Centralism): সেন্ট্রালিজম বলতে বোঝায় যে সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সকল কাজ কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত থাকে বা কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং প্রদেশগুলোর হাতে নামমাত্র ক্ষমতা থাকে।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (Charge d’affaires): একজন রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতিতে মিশনের সর্বোচ্চ পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিকে অস্থায়ীভাবে প্রধানের দায়িত্ব দেয়ার প্রক্রিয়াকে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলে।

ক্লেরিকেলিজম (Clericalism): ক্যাথলিক কর্তৃক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলন যাতে চার্চের প্রভাব ও স্বার্থ রক্ষা পায় তাকে ক্লেরিকেলিজম বলা হয়।

পরোয়ানা (Warrant): ওয়ারেন্ট হচ্ছে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদেশনামা। কাউকে প্রেপ্তার করে কোনো কিছু তল­াশি করার জন্য এ আদেশনামার প্রয়োজন হয়।

হুইপ: জাতীয় সংসদের সদস্য, যিনি দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা বিধান করেন এবং ভোটাভুটির সময় সদস্যদের সংঘবদ্ধ করার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকেন।

যুদ্ধাপরাধী বা ওয়ার ক্রিমিনাল (War Criminal): যুদ্ধের সময় যদি কোনো সৈন্য যুদ্ধের নিয়ম নীতি অগ্রাহ্য করে তার ইচ্ছামতো গণহত্যা বা নৃশংসতা চালায় তবে তাকে ওয়ার ক্রিমিনাল বলে। ওয়ার ক্রিমিনালদের বিচার যুদ্ধে বিজয়ী দেশ করে থাকে।

কনস্টিটিউয়েন্সি (Constituency): যে কোনো নির্বাচনে পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন এলাকাকে কনস্টিটিউয়েন্সি বলা হয়।

কোয়ালিশন মিনিস্ট্রি (Coalition Ministry): বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন মতাবলম্বীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। বিভিন্ন দলের সদস্য থাকার দরুণ কোয়ালিশন মিনিষ্ট্রি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

ক্রস ভোটিং (Cross Voting): কোন দল নিজ দলের বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে অন্য দলকে ভোট দেয়ার পদ্ধতিকে ক্রস ভোটিং বলে।

কমপ্রোমাইজ দ্য আরবিট্র্যাজ (Compromise de Arbitrage): যখন কোনো দুটি শক্তি কোনো বিবাদের মধ্যস্থতার জন্য রাজী হয় এবং কার্যপ্রণালী গ্রহণের বিবরণ দিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে তখন এ ব্যবস্থাকে কমপ্রোইজ দ্য আরবিট্র্যাজ বলে।

কনস্টিটিয়েন্ট অ্যাসেম্বলি (Constituent Assembly): দেশের শাসনতন্ত্র তৈরি করার জন্য দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে যে পরিষদ গঠিত হয় তাকে কনস্টিটিয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বলে।

কনফেডারেশন (Confederation): অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কতিপয় স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র একত্রে যে সংস্থা গঠন করে তাকে কনফেডারেশন বলে।

সাংবিধানিক আইন (Constitutional law) এটি একটি দেশের মৌলিক ও সর্বোচ্চ আইন। দেশের শাসন বিভাগ কিভাবে পরিচালিত হবে, আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কি হবে তা এ আইনে লিপিবদ্ধ থাকে।

ডফিন (Dauphin): সাবেক ফরাসি রাজতন্ত্রের উত্তরাধিকারীদেরকে ডফিন উপাধিতে ভূষিত করা হতো।

ডি জুরি (De-Jure): আইনসম্মতভাবে কোনো নতুন রাষ্ট্র বা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতিদানের প্রক্রিয়াকে ডি জুরি বলা হয়ে থাকে।

ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিজম (Demoratic socialism): প্রথমে গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন করার পর সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমাজতন্ত্রের দিকে উত্তরণের পদ্ধতিকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিজম বলে।

ডি ডে (D-Day): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে মিত্রবাহিনী ফ্রান্স থেকে জার্মান সৈন্যদের বিতাড়িত করার জন্য এক বিশাল অভিযান শুরু করে ১৯৪৪ সালের ৫ মে। ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে জার্মান সৈন্যরা ফ্রান্সে পরাজিত হয়। তাই ৫ মে কে ডি ডে হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

দাঁতাত (Detente): দুটি বিবদমান দেশের কঠোর মনোভাব নিরসনের চেষ্টাকে দাঁতাত বলে। এতে বিশ্বশান্তি রক্ষা পায়।

দ্বৈতশাসন বা ডায়ার্কি (Diarchy): সরকারের বিভিন্ন বিষয়কে দুভাগে বিভক্ত করে শাসনব্যবস্থা পরিচালনাকে দ্বৈত শাসন বলা হয়। ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইনে প্রাদেশিক সরকারের বিষয়সমূহকে (১) সংরক্ষিত ও (২) হস্তান্তরিত এ দু’ বিষয়ে ভাগ করা হয়।

গণতন্ত্র (Democracy): যে শাসনব্যবস্থায় জনগণ প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে তাই হচ্ছে গণতন্ত্র। এ শাসনব্যবস্থাকে জনগণের সরকার বলা হয়।

ডিপ্লোমেটিক ইলনেস (Diplomatic Illness): যখন কোনো ক‚টনৈতিক প্রতিনিধি বা কোনো রাষ্ট্রদুত কোনো সভা বা অনুষ্ঠানে যে কোনো কারণে যোগদান করতে অসম্মতি জানান তখন তার অনুপস্থিতি যাতে সমালোচিত না হয় সে জন্য অসুস্থতার অজুহাত দেখান। একে ডিপ্লোমেটিক ইলনেস বলে।

ডিকটেটেড পিস (Dictated Peace): বিজেতার আদেশ অনুযায়ী বিজিতের ওপর জবরদস্তিমূলকভাবে চাপানো শান্তিচুক্তিকে ডিকটেটেড পিস বলে।

হাইকমিশনারঃ- ব্রিটিশ কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রের যিনি Diplomat হিসেবে নিয়োগ পান তাকে হাইকমিশনার বলে। যেমন-ব্রিটেনের স্টিফান ইভান্স ।

অ্যাম্বাসেডরঃ- কমনওয়েলথ বহির্ভূত রাষ্ট্রে নিযুক্ত Diplomat কে অ্যাম্বাসেডর (Ambassador) যেমন-যুক্তরাষ্ট্রের জেমস এফ. মরিয়ার্টি।

নান্সিও (Nuncio): পোপের শান্তিদূতকে Nuncio বলে। এর অনুপস্থিতিতে যিনি দায়িত্ব পালন করেন তাকে ইন্টার ন্যান্সিও। তাদের অফিস এবং বাস ভবনকে বলা হয় The holy sea.

একনায়কতন্ত্র (Dictatorship):  যে শাসন ব্যবস্থায় সরকার অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী থাকে। শাসক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জনগণের প্রতি তার বা তাদের দায়িত্বশীলতা অস্বীকার করে। সরকার নির্বাচনে জনগণকে কোনো অধিকার দেয় না, যে কোনো বিরোধী দল ও মতকে দমন করা হয়।

দ্বদ্বমূলক বস্তুবাদ বা Dialectical Materialism): আবশ্যিকভাবে সব সময় বিবদমান দু পক্ষের মধ্যে একটি দ্ব›দ্ব বা পরস্পর বিরোধী বিরাজ করা বোঝালে তাকে দ্ব›দ্বমূলক বস্তুবাদ বলা হয়। কার্ল মার্কস, অ্যাঙ্গেলস, হেগেল প্রমুখ দার্শনিক দ্ব›দ্বমূলক বস্তুবাদ মতবাদ প্রদান করেন।

এসপিয়নিজ (Espionage): একটি সংঘবদ্ধ সংস্থা, তাদের মূল কাজ হলো গুপ্তচর বৃত্তি চালানো।

এথনোগ্রাফিক্যাল প্রিন্সিপাল (Ethnographical Principle): এক জাতি ও ভাষাভাষীর সকল ব্যক্তিকে একটি সাধারণ রাষ্ট্রের আওতাধীন আনার নীতিকে এথনোগ্রাফিক্যাল প্রিন্সিপাল বলা হয়। এ নিয়ামানুযায়ী রাজনৈতিক সীমানাও নির্ধারণ করা হয়।

এক্সচেঞ্জার (Exchanger): এক্সচেঞ্জার হচ্ছে সরকারের রাজস্ব বিভাগ।

ইসচিট (Escheat): উত্তরাধিকারের অভাবে কোনো সম্পত্তি যখন রাষ্ট্রের অধীনে চলে যায় বা বাজেয়াপ্ত হয় সেটাই ইসচিট।

এফবিআই (FBI): আমেরিকার কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্র (Federation): ফেডারেশন কয়েকটি অঞ্চল বা প্রদেশ নিয়ে গঠিত হয় এবং এর ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে শাসনতন্ত্র দ্বারা বন্টন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের ক্ষমতা প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা চালু আছে।

ফিউড্যালিজম (Feudalism): এর বাংলা অর্থ সামন্তবাদ। জন বাউল বলেন, ‘সামন্তবাদ বৃহদাকার সরকার ও বেতনভোগী স্থায়ী সৈন্যবাহিনীর পতনের ফলে, মুমূর্ষু সাম্রাজ্যের সামাজিক ওলট-পালটের ফলে, বর্বর জাতিসমূহের মধ্যে বিদ্যমান ব্যক্তিগত আনুগত্য বন্ধনের শক্তির ফলে এবং প্রশিক্ষিত সমরাস্ত্র পৃষ্ঠে উপবিষ্ট নাইটদের প্রাধান্যের ফলে সৃষ্ট একটি কৌশল’।

ফেবিয়ান সোশ্যালিজম (Fabian Socialism): ১৮৪৮ সালে ফ্রান্সে ফেবিয়ান সোশ্যালিজম মতবাদের যাত্রা শুরু হয়। তবে ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ডে ফেবিয়ানগণ ফেবিয়ান সোসাইটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সামজতন্ত্রকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে প্রণয়ন করেন। তাদের মতে সমাজে বা রাষ্ট্রে বিদ্যমান ব্যাপক দারিদ্র্য বিমোচনে বিপ্লব বা রাষ্ট্রের বিলুপ্তির প্রয়োজন নেই। তবে শিল্প পুঁজির মালিকানাকে ব্যক্তির হাত থেকে রাষ্ট্রের হাতে অর্পণের প্রয়োজন আছে। ভূমি সংস্কার এবং গণতান্ত্রিকভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন করা যায়।

ফ্যাসিজম (Fasscism): ফ্যাসিজমের মূলনীতি জনগণের জন্য রাষ্ট্র নয়, রাষ্ট্রের জন্য জনগণ। রাষ্ট্রই সকল ক্ষমতার অধিকারী। বেনিতো মুসোলিনি ইতালিতে এ মতবাদ প্রচার করেন।

ফ্যাসিষ্ট পার্টি: ইতালিতে বেনিতো মুসোলিনি ফ্যাসিবাদ চালানোর জন্য যে সুশৃঙ্খল ও সুগঠিত রাজনৈতিক দল গঠন করে সেটিই হচ্ছে ফ্যাসিষ্ট পার্টি। এ দলের সাহায্যেই তিনি ইতালির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

ফ্লোটিলা (Flotilla): ফ্লোটিলা হচ্ছে কয়েকটি ছোট ছোট রণতরী, যা একটি কমান্ডের হাতে ন্যস্ত থাকে।

হোয়াইট আর্মি (White Army): ১৯১৭ সালের রাশিয়ার কমিউনিষ্টদের বিরোধী সৈন্যদলকে হোয়াইট আর্মি বলা হতো। রেড আর্মিদের নামের বিপরীত নাম হিসেবে এ নামকরণ করা হয়।

ওয়েটেজ (Weightage): সংখ্যালঘু জনগণকে রক্ষার জন্য তাদের ওপর জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রাপ্য যে প্রতিনিধি থাকে তার চেয়ে অধিক প্রতিনিধিত্ব প্রদান করাকে ওয়েটেজ বলে।

হোয়াইট রাশিয়া (White Russia): সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি প্রজাতন্ত্র রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত শ্বেত রাশিয়ানদের আবাসভূমি।

হোয়াইট ফ্লাগ (White Flage): যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করার সংকেত হিসেবে হোয়াইট ফ্লাগ ব্যবহার করা হয়। এ ফ্লাগ যুদ্ধবিরতি সূচক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

হোয়াইট ম্যানস বার্ডেন (Whitemans Burden): আফ্রিকা ও এশিয়ার অনুন্নত জাতিকে সভ্য করার জন্য শ্বেতাঙ্গদের স্ব-আরোপিত দায়িত্ব।

ওয়ার ক্রাইমস বা যুদ্ধ অপরাধ (War Crimes): যুদ্ধকালীন সময়ে বা যুদ্ধের আগে ও পরে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ইত্যাদি অমানবিক কার্যকলাপকে যুদ্ধ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৪৫ সালের ৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

শ্বেতপত্র (White Paper): গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে জনসমক্ষে সরকার কর্তৃক প্রচার করাকে হোয়াইট পেপার বা শ্বেতপত্র বলে। পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের গণহত্যাকে সমর্থন করে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল।

জেনোসাইড (Genocide): ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতিতে আবদ্ধ একটি জাতিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নির্মূল করাকে জেনোসাইড বলে।

গেস্টাপো (Gestapo): নাৎসিবাদ বিরোধীদের বিরুদ্ধে গঠিত জার্মানির গোপন একটি রাজনৈতিক দল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ রাজনৈতিক দল জার্মানবাসীদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

জিও-পলিটিক্স (Geo-Politics): জিও-পলিটিক্স হচ্ছে ভূখণ্ড নির্ভর রাজনীতি। একটি দেশের রাজনীতি, অর্থ, পররাষ্ট্রনীতি ও বিশ্বে তার অবস্থান অনেকাংশে জিও-পলিটিক্স-এর ওপর নির্ভর করে।

গানবোট ডিপ্লোম্যাসি (Gun-Boat Diplomacy): গানবোট ডিপ্লোম্যাসি হচ্ছে একটি দেশের প্রতি রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা, শক্তি বা অন্যান্য মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি ও ভয় দেখানো। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত-বাংলাদেশ মিত্রশক্তির সাথে পাকিস্তানের যুদ্ধের সময়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহরের ভয় দেখিয়ে যুদ্ধ বিরতির চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।

গেরিলা ওয়ারফেয়ার (Guerilla Warfare): বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থেকে খণ্ড-খণ্ড যুদ্ধ করাকে গেরিলা ওয়ারফেয়ার বা গেরিলা যুদ্ধ বলা হয়।

সরকার (Government): রাষ্ট্রের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে সরকার। জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করা এবং রাষ্ট্রের শাসন সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি সরকার থাকে। এটি আইন প্রণয়ন ও দেশের শাস্তি রক্ষা করে থাকে।

জিপিইউ (GPU): ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের পর সোভিয়েত রাশিয়ার রাজনৈতিক পুলিশ দল গঠন করা হয় যাতে তারা কমিউনিষ্ট বিরোধী খুঁজে বের করে নির্মূল করতে পারে। এদেরকে জিপিইউ বলা হয়।

হ্যারা কিরি (Hara Kiri): হ্যারা কিরি হচ্ছে পেট চিরে আত্মহত্যা করা। এ পদ্ধতিতে আত্মহত্যা করা জাপানের সৈন্যবাহিনীতে প্রচলিত ছিল।

কু ক্লাক্স ক্লান (KKK): আমেরিকানদের এক গোপন সংস্থা যা নিগ্রোদের ওপর শ্বেতাঙ্গদের প্রভুত্ব অক্ষুণœ রাখার এবং বৈষম্যকে চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়।

বামপন্থি (Leftist): প্রগতিশীল মতবাদ ও সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসীদেরকে বামপন্থি বলে। প্রায় প্রত্যেক দেশেই বামপন্থিরা বিরোধী দল হিসেবে থাকেন। পার্লামেন্টের বাম দিকে বসেন বলে এদেরকে লেফটিস্ট নামকরণ করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে এরা উদার, প্রগতিশীল ও সংস্কারবাদী রাজনীতি করে থাকে।

লবিং (Lobbying): খড়ননুরহম শব্দটি এসেছে ইংরেজি ‘খড়ননু’  থেকে, যার অর্থ কোনো ভবনের মূল অংশের সাথে সংযুক্ত অন্য অংশ। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে খড়ননুরহম শব্দটির অর্থ হলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধি করার জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিনিধিদের পক্ষে আনার প্রয়াস।

ম্যারুন (Maroon): নির্জন দ্বীপে পরিত্যক্ত জ্যামাইকা ও কিউবার পলাতক নিগ্রো ক্রীতদাসকে ম্যারুন বলে।

মে দিবস (May day): ১৮৮৬ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে কলকারখানায় ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক শ্রমিক-কর্মচারী জীবন দিয়েছিলেন। তাই প্রতিবছর ১ মে শ্রমিক শ্রেণী শ্রমিক সংহতির প্রতীক হিসেবে দিনটি উদযাপন করেন।

মাওইজম (Maoism): বলবান রাষ্ট্র কর্তৃক ছোট ও দুর্বল দেশের ওপর কর্তৃত্ব ম্যান্ডেট বলে। ভোটারগণ তাদের প্রতিনিধিগণের ওপরও ম্যান্ডেট জারি করে থাকেন।

ম্যান অব ওয়ার (Man of war): যুদ্ধ জাহাজ। এ জাহাজ নৌযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার উপযোগী।

মার্কসবাদ (Markism): সমাজতন্ত্র ও শ্রেণিহীন সমাজব্যবস্থা কায়েম করার জন্য কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিক এঙ্গেলস যে সামাজিক অর্থনৈতিক মতবাদ প্রদান করেন তাই মার্কসবাদ। এ মতবাদের মূল বৈশিষ্ট্য হলো১. দ্বা›িদ্বক বস্তুবাদ,  ২. উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত¡, ৩. ইতিহাসের বস্তুতান্ত্রিক ব্যাখ্যা ও অর্থনৈতিক নির্ধারণবাদ, ৪. শ্রেণী সংগ্রাম, ৫. সামাজিক বিপ্লব ও প্রলেতারিয়েৎদের একনায়কতন্ত্র এবং ৬. শ্রেণীহীন সমাজ ও রাষ্ট্রের অবসান।

মেকানাইজড ইউনিট (Machanised Unit): মেকানাইজড ইউনিট গঠিত হয় সম্মিলিতভাবে সশস্ত্র সৈন্যদল, সাঁজোয়াবাহিনী, গোলন্দাজ বাহিনী, সমুদ্র উপকূলরক্ষীয় গোলন্দাজ বাহিনী, মাইন স্থাপনকারী প্রভৃতি দল নিয়ে।

মিড-টার্ম পোল (Mid-Term Poll): নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পূর্বেই যদি কোনো পরিষদ ভেঙে যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে তাকে মিড-টার্ম পোল বা মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচন বলা হয়।

জাতীয়করণ (Nationalization): কোনো বেসরকারি শিল্প অথবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণভাবে সরকারি করণকে ন্যাশনালাইজেশন বা জাতীয়করণ বলে।

নেচারালাইজেশন (Naturalization): নেচারলাইজেশন হচ্ছে কোনো বিদেশীকে তার ইচ্ছানুযায়ী একটি দেশের নাগরিকত্ব প্রদান।

মাস্কেট (Musket): পদাতিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য এক ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র।

মিকাডো (Micado): জাপানের রাজার সরকারি পদবি।

নাৎসিবাদ (Nazism): নাৎসিবাদও এক ধরনের ফ্যাসিবাদ। একে জার্মানীর ফ্যাসিবাদ হিসেবে গণ্য করা হয়। নাৎসিবাদে জার্মানির চ্যান্সেলর ও ফ্যুয়েরার এডলফ হিটলার নিজের স্বার্থ চরির্তাথ করার জন্য সাধারণত বিদ্বেষ ও ভীতির মাধ্যমে অন্য জনসাধারণের ওপর প্রভুত্ব করত। নাৎসিবাদের মূল কথা ‘ব্যক্তি রাষ্ট্রের জন্য, রাষ্ট্র ব্যক্তির জন্য নয়’। এ মতবাদ উগ্র স্বদেশপ্রেম ও চরম জাতীয়তাবাদের প্রতি আবেদন জানায়।

নিরপেক্ষতা (Neutrality): যুদ্ধের সময় কোনো নিরপেক্ষ দেশ যুদ্ধরত কোনো দেশকে নিন্দা করে না ও সমর্থন করে না বা সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করাকে নিরপেক্ষ বা নিউট্রালিটি বলে।

নিউক্লিয়ার আমব্রেলা (Nuclear Umbrella): পারমাণবিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করা বা রক্ষা পাওয়ার জন্য যে ছত্রছায়া তৈরি করা হয় তাকে নিউক্লিয়ার আমব্রেলা বলা হয়।

অর্ডিন্যান্স (Ordinance): অর্ডিন্যান্স হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক ঘোষিত একটি ব্যবস্থা যা জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করতে পারে।

জাতীয়তাবাদ (Nationalism): এটি একটি মানসিক চেতনা। একই এলাকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠে। জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ জনসমাজ নিজেদেরকে পৃথিবীর অন্যান্য স¤প্রদায় থেকে আলাদা মনে করে। স্নাইডারের মতে, ‘জাতীয়তাবাদ হচ্ছে ইতিহাসের এক বিশেষ স্তরে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার ফল।

অলিগার্কি (Oligarchy): এরিস্টটলের নীতি অনুযায়ী প্রত্যেক সরকারের দুটো রূপ আছে, ১. স্বাভাবিক রূপ ও ২. বিকৃত রূপ। কয়েকজন ব্যক্তি সাধারণ স্বার্থে দেশ শাসন করলে হয় এরিস্ট্রক্রেসি এবং তারা তাদের শ্রেণী স্বার্থে শাসন পরিচালনা করলে হয় অলিগার্কি। এরিস্ট্রক্রেসি বা অভিজাততন্ত্রের বিকৃত রূপ হলো অলিগার্কি বা ধনিকতন্ত্র।

Patent: আব্ষিকৃত দ্রব্য তৈরি বা উৎপাদন ও বিক্রির একমাত্র অধিকার সংরক্ষণের সরকারি সনদ।

প্যান-ইসলামিজম (Pan-Isamism): এটি ইসলামিক ভ্রাতৃত্বের মূলমন্ত্রে গঠিত। ইসলামিক রাজ্য অথবা ফেডারেশন গঠন করে ইসলামী জনতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগিতা তৈরি করা এ আন্দোলনের মূলমন্ত্র।

প্যারোল (Parol):  কোনো বন্দিকে সাময়িকভাবে মুক্তিদানকালে অঙ্গীকার করানো হয় যাতে সে পালিয়ে না যায, জেলে ফিরে আসে এবং গ্রেপ্তারকারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রয়োগ না করে।

The first state: একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে First state বলে।

Second state: প্রধান বিরোধী দলকে Second state: বলে।

third state: সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকে third state বলে।

Fourth state: যে কোন দেশের প্রধান জাতীয় সংবাদ পত্রকে Fourth state বলে।

Fifth column: যে মানুষগুলো নিজ দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং শত্রুকে সহায়তা করে তাকে Fifth column বলে। দেশের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের পঞ্চম বাহিনী বলা হয়। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় জেনারেল ফ্রাংকো রিপাবলিকানদের আক্রমণ করার সময় বিপক্ষ দলের পিছনে যে দলটি ছিল তাকে বলা হতো পঞ্চম বাহিনী। এরা রিপাবলিকানদের সাথে মিশে ধ্বংসাত্মক কাজ করত।

Download From Google Drive

Download

আরো পড়ুনঃ-

Download From Dropbox

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here