Sunday, May 19, 2024
Home Blog Page 21

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিস সহায়ক পদের

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

পদের নামঃ- অফিস সহায়ক
পরীক্ষার তারিখঃ- ০৮/০৩/২০১৯

PDF Detail  

Titleপ্রশ্ন সমাধান
Book
Size1.96 MB
Number of Pages3
Categoriesসকল লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান
Downloading status FREE 

সাইজঃ- 1.96 MB

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 3

বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।

Live Preview এখান থেকে Scroll করে দেখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর অফিস সহায়ক পদের

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

পদের নামঃ- অফিস সহায়ক
পরীক্ষার তারিখঃ- ২০/০৪/২০১৯

PDF Detail  

Titleপ্রশ্ন সমাধান
Book
Size1.52 MB
Number of Pages2
Categoriesসকল লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান
Downloading status FREE 

সাইজঃ- 1.52 MB

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 2

বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।

Live Preview এখান থেকে Scroll করে দেখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

কর কমিশনারের কার্যালয় এর উচ্চমান সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

কর কমিশনারের কার্যালয় এর উচ্চমান সহকারী পদের

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

পদের নামঃ- উচ্চমান সহকারী
পরীক্ষার তারিখঃ- ০৪/০১/২০১৯

PDF Detail  

Titleপ্রশ্ন সমাধান
Book
Size2.47 MB
Number of Pages3
Categoriesসকল লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান
Downloading status FREE 

সাইজঃ- 2.47 MB

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 3

বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।

Live Preview এখান থেকে Scroll করে দেখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান–২০১১

পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক পদের

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান–২০১১

Assistant Director at Department Of Environment Recruitment Exam Question and Solution 2011

পদের নামঃ- সহকারী পরিচালক

পরীক্ষার তারিখঃ- ০৬.০৫.২০১১

বাংলা প্রশ্ন সমাধান

১. ‘আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারী’ রচয়িতা কে?

ক) শামসুর রাহমান

খ) আলতাফ মাহমুদ

গ) হাসান হাফিজুর রহমান

ঘ) আবদুল গাফফার✔

২. ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কোন কাব্যের উপজীব্য ?

ক) জিঞ্জিরা

খ) সাত সাগরের মাঝি✔

গ) দিলরুবা

ঘ) নুরনামা

৩. বাংলা সাহিত্যে ‘ভোরের পাখি’ বলা হয় কাকে?

ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ) রাজশেখর বসু

গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঘ) বিহারীলাল চক্রবর্তী✔

৪. ‘কবিকঙ্কন’ কার উপাধি?

ক) মালাধর বসু

খ) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী✔

গ) মাইকেল মধুসুদন দত্ত

ঘ) মানিক বন্দোপাধ্যায়

৫. বিদ্যাপতি কোন ভাষায় পদ রচনা করেন?

ক) ফারসি

খ) ব্রজবুলি✔

গ) মারাঠী

ঘ) হিন্দী

৬. যুগসন্ধিক্ষণের কবি কে?

ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

খ) ঈশ্বর গুপ্ত✔

গ) ঈশ্বর প্রসাদ

ঘ) সহদেব চক্রবর্তী

৭. ‘যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী সে সব কাহার জন্ম নির্ণয়ন জানি’- কার লেখা?

ক) কাজী নজরুল ইসলাম

খ) কাজী ইমদাদুল হক

গ) আবদুল হাকিম✔

ঘ) শেখ আবদুল রহিম

৮. কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক উপন্যাস ?

ক) শেষের কবিতা

খ) গোরা✔

গ) নৌকাডুবি

ঘ) চোখের বালি

৯. ‘সোনালি কাবিন’ এর রচয়িতা কে?

ক) হাসান হাফিজুর রহমান

খ) আল মাহমুদ✔

গ) হুমায়ন আজাদ

ঘ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়

১০. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’- রচনাটি কার কাব্য থেকে নেয়া?

ক) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী

খ) ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর✔

গ) কামিনী রায়

ঘ) শামসুর রাহমান

১১. বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা কোনটি?

ক) নাটক

খ) ছোটগল্প

গ) প্রবন্ধ

ঘ) গীতিকবিতা✔

১২. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি ?

ক) সিন্ধু হিন্দোল

খ) বিয়ের বাঁশি

গ) অগ্নিবীণা✔

ঘ) সর্বহারা

১৩. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের রচনা কোনটি?

ক) জোহরা

খ) সুলতানার স্বপ্ন✔

গ) আনোয়ারা

ঘ) হামেলা

১৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতায় কবির উপলব্ধি হচ্ছে-

ক) ভবিষ্যৎ বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়✔

খ) বাধা বিপত্তি প্রতিভাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে

গ) প্রকৃতি বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী

ঘ) ভাঙ্গার পরেই গড়ার কাজ শুরু হয়

১৫. ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ এর লেখক –

ক) রাবেয়া খাতুন

খ) সেলিনা হুসেন✔

গ) রিজিয়া বেগম

ঘ) হুমায়ুন আহমেদ

১৬. ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’ কার লেখা?

ক) আবুল ফজল

খ) আল মাহমুদ

গ) আবু ইসহাক✔

ঘ) আবুল মনসুর

১৭. ‘সবুজপত্র’ বাংলা সাহিত্যে কোন ভাষারীতি প্রবর্তনে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে?

ক) সাধুভাষা

খ) চলিত ভাষা✔

গ) আঞ্চলিক ভাষা

ঘ) উপভাষা

১৮. ‘অপু ও দুর্গা’ চরিত্র দুটি কোন উপন্যাসের ?

ক) দিবারাত্রির কাব্য

খ) পথের পাঁচালি✔

গ) বোবা কাহিনী

ঘ) নৌকা ডুবি

১৯. ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’ কে সংগ্রহ করেন

ক) ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

খ) ড. আলাউদ্দীন আল আজাদ

গ) ড. দ্বীনেশ চন্দ্র সেন✔

ঘ) ড. আনিসুজ্জামান

২০. ‘খোয়াব নামা’ গ্রন্থের রচয়িতা

ক) আনোয়ার পাশা

খ) আখতারুজ্জামান ইলিয়াস✔

গ) আবুল ফজল

ঘ) আবদুল গাফফার চৌধুরী

২১. অর্থবোধক ধ্বনিকে বলা হয়-

ক) বাক্য

খ) উপসর্গ

গ) শব্দ✔

ঘ) প্রত্যয়

২২. ‘আকাশ কুসুম’ বাগধারাটির অন্তর্নিহিত অর্থ হল-

ক) অপদার্থ

খ) অদ্ভুত

গ) চুরি

ঘ) অলিক কল্পনা✔

২৩. কোনটি নাট্যগ্রন্থ?

ক) ঘরে বাইরে

খ) সুলতানার স্বপ্ন

গ) যাবত জীবন

ঘ) রক্ত করবী✔

২৪. ‘ক্রীতদাসের হাসি’ এর রচয়িতা কে?

ক) আব্দুল্লাহ আল মামুন

খ) শওকত আলী

গ) মাহমুদুল হক

ঘ) শওকত ওসমান✔

২৫. ২৫ শে বৈশাখ কার জন্মদিন ?

ক) কাজী নজরুল ইসলাম

খ) শামসুর রাহমান

গ) ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর✔

ইংরেজি প্রশ্ন সমাধান 

  1. “Ode to the west wind” – is by-

ক) Keats

খ) Shelley✔

গ) Coleridge

ঘ) Wordsworth

  1. Someones who writes plays is called a –

ক) play writer

খ) dramataizer

গ) Playwright✔

ঘ) playwrite

  1. The synonym of ‘insane’ is –

ক) Stupid

খ) Crazy✔

গ) Senseless

ঘ) indolent

  1. The antonym of ‘different’ is –

ক) indifferent

খ) callous

গ) Seperate

ঘ) Similar✔

  1. Which one is the correct sentence ?

ক) I have bought a soap yesterday

খ) I have bought a bar of of soap yestarday

গ) I bought a bar of soup yesterday✔

ঘ) I had bought a soap yesterday

  1. What kind of noun is “Fun”?

ক) Countable

খ) Uncountable✔

গ) Common

ঘ) Material

  1. The translation of ‘কখন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে’ ?

ক) When has it been raining ?

খ) Since when has it been raining?

গ) How long has it been raining? ✔

ঘ) From when has it been raining ?

  1. The greeting to be used at 11.30 PM is –

ক) Good evening✔

খ) Good night

গ) Good afternoon

ঘ) Good bye

  1. Which is the correct speeling ?

ক) Newmonia

খ) pneumonia✔

গ) Penwmania

ঘ) neumonia

  1. The door opened automatically.The verb in this sentence is –

ক) Transative verb

খ) intransitive verb✔

গ) neither Transative and nor intransitive

ঘ) linking

  1. The meaning of ‘Turn down’ is-

ক) Refuse to consider✔

খ) Throw away

গ) Deny

ঘ) Expel

  1. At 8.45how would you tell the time?

ক) It is a quarter before nine

খ) It is quater to nine

গ) It is a quater to nine✔

ঘ) It is a quater for nine

  1. Which form of the word is adjective ?

ক) Defy

খ) Defiant✔

গ) defiance

ঘ) None

  1. Geoffrey Chaucer wrote-

ক) Canterbury Tales✔

খ) Piers plowman

গ) Morte d ‘ Arthur

ঘ) The maids Tragedy

  1. The right preposition for the gaps are; We went–a party– Rita’s house on Sunday-

ক) For,To

খ) to, at✔

গ) On.At

ঘ) To,To

  1. He is named _______ his father

ক) To

খ) Of

গ) With

ঘ) After✔

  1. Who wrote ‘pride and prejudice’ ?

ক) Shakespeare

খ) Thomas Hardy

গ) Jane Austin✔

ঘ) John milton

  1. Would you mind ________?

ক) To open the door

খ) Opened the door

গ) Opens the door

ঘ) Opening the door✔

  1. Usually ‘Excuse me’ is used in order to-

ক) Seek permission

খ) Draw attention✔

গ) Ask question

ঘ) Get pardon

  1. What is the time _______your watch?

ক) In

খ) To

গ) By✔

ঘ) Of

  1. He is _____ FRCS

ক) An✔

খ) A

গ) The

ঘ) no article

  1. The passive form of ” Who had done the work?” is –

ক) By whom has the work been done✔

খ) Who has been done the work ?

গ) By Whom has been done the work ?

ঘ) Whom has done the work ?

  1. He said to me,” Do you like music?” -The indirect form of this sentence

ক) He said if I like music

খ) He asked me do I like music

গ) He asked me if I liked music

ঘ) he asked me if I liked the music✔

  1. He asked me ”Why I was late ?” The inverted clause is –

ক) Principal clause

খ) Noun clause✔

গ) Adjective Clause

ঘ) Adverbial clause

গণিত প্রশ্ন সমাধান

১. নিঃশেষে বিভাজ্য না হলে কোনটি নির্ভূল?

ক) ভাজ্য=(ভাজকxভাগফল)+ভাগশেষ

খ) ভাজ্য= (ভাজক+ভাগশেষ) +ভাগফল

গ) ভাজ্য=(ভাগশেষxভাগফল) + ভাজক

ঘ) কোনটিই নয়✔

২. পিতা ও কন্যার বয়সের সমষ্টি ৮০বছর । পিতার বয়স কন্যার বয়সের ৪গুন হলে, কন্যার বয়স কত?

ক) ১২বছর

খ) ১৪বছর

গ) ১৬বছর✔

ঘ) ২০বছর

৩. ৩৭+৩৬+৩৫+…………+২১ = কত?

ক) ৪৯১

খ) ৪৯৩✔

গ) ৪৯৪

ঘ) ৪৯৫

৪. কোনস্থানে যত লোক ছিলো প্রত্যেকে তত পাঁচ টাকা করে চাঁদা দেয়ায় মোট ৪৫০০ টাকা আদায় হলো। কতজন লোক ছিল?

ক) ৭৫০

খ) ৯০০✔

গ) ৮০০

ঘ) কোনটিই নয়

৫. ২৪,৩০ এবং ৭৭ এর গ.সা.গু কত?

ক) ১✔

খ) ২

গ) ৩

ঘ) ৫

৬. ২০ বর্গ মিটার ২ একরের কত অংশ?

ক) ১/৫✔

খ) ১/৮

গ) ১/১০

ঘ) ১/১২

৭. কোন বর্গক্ষেত্রের এক বাহুর দৈর্ঘ্য ৫০% বৃদ্ধি করলে ক্ষেত্রফল শতকরা কত বৃদ্ধি পাবে?

ক) ৫০%

খ) ১০০%

গ) ১২৫%✔

ঘ) ১৫০%

৮. সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজ সংলগ্ন কোণ দুটির প্রত্যেকটি

ক) সরল কোণ

খ) পূরক কোণ

গ) সূক্ষ্মকোণ✔

ঘ) স্থূলকোণ

সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন সমাধান 

১. বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম প্রধান উপদেষ্টা কে ছিলেন?

ক) ইয়াজউদ্দিন আহমেদ

খ) লতিফুর রহমান

গ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান

ঘ) সাহাবুদ্দিন আহাম্মেদ✔

২. ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষন কোথায় দেন?

ক) মানিক মিয়া এভিনিউতে

খ) পল্টন মদনে

গ) লালদীঘি ময়দানে

ঘ) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে✔

৩. বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?

ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ) সৈয়দ নজ্রুল ইসলাম

গ) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী

ঘ) তাজউদ্দীন আহমেদ✔

৪. বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিকারী দেশ কোনটি ?

ক) ভূটান

খ) যুক্তরাজ্য

গ) ভারত✔

ঘ) জাপান

৫. ক্রিকেটে বাংলাদেশ কোন সালে টেষ্টে মর্যাদা পায়?

ক) ২০০০✔

খ) ২০০৩

গ) ২০০৪

ঘ) ২০০৫

৬. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি কে?

ক) হামিদুর রহমান✔

খ) জয়ানল আবেদীন

গ) কামরুল হাসান

ঘ) কাইয়ূম চৌধুরী

৭. পানামা খাল কোন কোন মহাসাগরকে যুক্ত করেছে?

ক) আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগর

খ) আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর✔

গ) ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর

ঘ) প্রশান্ত ও উত্তর মহাসাগর

৮. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

ক) ১৯১১

খ) ১৯২১✔

গ) ১৯২৪

ঘ) ১৯৩১

৯. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?

ক) ১৯৭২

খ) ১৯৭৪✔

গ) ১৯৭৫

ঘ) ১৯৭৬

১০. কত সালে থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে?

ক) ১৯৯৯

খ) ২০০০✔

গ) ২০০১

ঘ) ২০০২

১১. বাংলাদেশ রাইফেলসের বর্তমান নাম কি?

ক) বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড

খ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ✔

গ) বাংলাদেশ সিকিউরিটির গার্ড

ঘ) সিকিউরিটি গার্ড অব বাংলাদেশ

১২. সম্প্রতি সোমালিয়ায় জলদস্যুরা বাংলাদেশের যে জাহাজটি ছিনতাই করেছে তার নাম কি?

ক) এমভি বাংলার মনি

খ) এমভি জাহান মনি✔

গ) এমভি বাংলার সৌরভ

ঘ) এমভি বাংলার গৌরব

১৩. বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন কোনটি?

ক) আকরাম খান কমিশন

খ) শরীফ কমিশন✔

গ) সামসুল হক কমিশন

ঘ) কুদরতই-খুদা কমিশন

১৪. বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য?

ক) ১২৯ তম

খ) ১৩৬ তম✔

গ) ১৪২ তম

ঘ) ১৩৪ তম

১৫. বর্তমানে বাংলাদেশে চালুকৃত সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কতটি?

ক) ২৪টি

খ) ২৫টি

গ) ৩০টি

ঘ) ৩৪টি✔

১৬. যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়নে কোন ষ্টেট সর্বশেষে যোগ দেয়?

ক) নিউ ইয়ার্ক

খ) ফ্লোরিডা

গ) হাওয়াই✔

ঘ) দেলওয়ার

১৭. কোন দেশে সেনাবাহিনী নেই?

ক) জার্মানী

খ) সুইজারল্যান্ড

গ) মালদ্বীপ✔

ঘ) জাপান

১৮. ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় কতটি দেশ অংশগ্রহন করে?

ক) ১২✔

খ) ১৪

গ) ১৬

ঘ) ১৮

১৯. ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারন মুদ্রার নাম কি?

ক) ডলার

খ) ইউরো✔

গ) পাউন্ড

ঘ) ক্রোনা

২০. সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় কোন দেশে?

ক) এশিয়া✔

খ) ইউরোপ

গ) আফ্রিকা

ঘ) আমেরিকা

২১. কততারিখ বিশ্ব নারী দিবস হিসাবে পালিত হয়?

ক) ৮ মার্চ✔

খ) ১০ এপ্রিল

গ) ১০ অক্টোবর

ঘ) ১৪ আগষ্ট

২২. হোচিমিন নগরীর পূর্বনাম কি?

ক) হ্যানয়

খ) সায়গন✔

গ) ভিয়েতনাম

ঘ) ভিয়েনতিয়েন

২৩. বীরমুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হয় কোথায়?

ক) ঢাকা সেনানিবাস✔

খ) চট্টগ্রাম সেনানিবাস

গ) কুমিল্লা জেলে

ঘ) ঢাকা জেলে

২৪. বাংলাদেশের সর্ববৃহত ঈদের জামাত সাধারণত কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

ক) জাতীয় ঈদ্গাহ ঢাকা

খ) বায়তুল মোকাররম মসজিদ

গ) লালদিঘী ময়দান

ঘ) কিশোরগঞ্জের সোলাকিয়া✔

২৫. কোন রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম?

ক) লাল

খ) বেগুনি✔

গ) নীল

ঘ) কমলা

২৬. বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট কি দিয়ে তৈরী ?

ক) তামা

খ) টাংস্টেন✔

গ) সীসা

ঘ) ইস্পাত

২৭. কোন মৌলে নিউট্রন নেই?

ক) লিথিয়াম

খ) অক্সিজেন

গ) হাইড্রোজেন✔

ঘ) হিলিয়াম

২৮. কোন রাসায়নিক পদার্থটি ক্রোমোজোমের ভিতর থাকে না?

ক) ডি এন এ

খ) আর এন এ

গ) প্রোটিন

ঘ) লিপিড✔

২৯. ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোন গ্রন্থি থেকে ?

ক) যকৃত

খ) থাইরয়েড

গ) অগ্ন্যাশয়✔

ঘ) পিটুইটারি গ্রন্থ

৩০. পেনিসিলিনের আবিষ্কারক কে?

ক) এডিসন

খ) পিয়েরে কুরী

গ) আলেকজান্ডার ফ্লেমিং✔

ঘ) রবার্ট রস

৩১. বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কত শতাংশের বেশি হলে কো্নো প্রাণী বাঁচতে পারে না?

ক) ৩%

খ) ১০%

গ) ১২%

ঘ) ২৫%✔

৩২. বিশ্বে ঘাতক রোগ কোনটি ?

ক) ক্যান্সার

খ) যক্ষা

গ) এইডস✔

ঘ) ডায়াবেটিস

৩৩. ফুসফুসে বায়ুর প্রবেশকে কি বলে?

ক) নিঃশ্বাস

খ) প্রশ্বাস✔

গ) শ্বাস ত্যাগ

ঘ) কোনটিই নয়

৩৪. ইস্ট কি?

ক) ভাইরাস

খ) ব্যাক্টেরিয়া

গ) ছত্রাক✔

ঘ) প্রটোজয়া

৩৫. মাটির পাত্রে পানি ঠাণ্ডা থাকে কেন?

ক) মাটির পাত্র পানি হতে বেশি তাপ শোষন করে

খ) মাটির পাত্র ভাল তাপ পরিবাহি

গ) মাটির পাত্র পানির বাষ্পী ভবনে সাহায্য করে✔

ঘ) মাটির পাত্র তাপ কুপরিবাহী

৩৬. টেস্টিং সল্টের রাসায়নিক নাম কি ?

ক) সোডিয়াম বাইকার্বোনেট

খ) সোডিয়াম অক্সাইড

গ) পটাসিয়াম বাইকার্বোনেট

ঘ) মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট✔

৩৭. বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ –

ক) কম হয়

খ) বেশি হয়

গ) একই হয়✔

ঘ) খুবই কম হয়

৩৮. কোনটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়?

ক) এইডস

খ) জলাতংক

গ) ডিপথেরিয়া✔

ঘ) পোলিও

৩৯. বিল্রুবিন তৈরি হয় শরীরের কোথায় থেকে?

ক) যকৃত✔

খ) কিডনিতে

গ) হৃদপিন্ডে

ঘ) হাড়ে

৪০. বলের একক কোনটি?

ক) জুল

খ) অশ্বশক্তি

গ) ক্যালরি

ঘ) নিউটন✔

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কন্ট্রোল অপারেটর পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০২০

সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কন্ট্রোল অপারেটর

পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০২০

Sadharan Bima Corporation (SBC) Control Operator Job Exam Question 2020

পরীক্ষার তারিখঃ ০৭/১১/২০২০

প্রতিষ্ঠানঃ সাধারণ বীমা কর্পোরেশন

সালঃ নিয়োগ পরীক্ষা 2020

পদঃ কন্ট্রোল অপারেটর (গ্রেড 16) পূর্ণমানঃ 90

সময়ঃ ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট

 

“ক” বিভাগঃ বাংলা (মান 20)

১. স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ স্বরধ্বনি: ধ্বনি উচ্চারণের সময় মানুষ ফুসফুস থেকে কিছু বাতাস ছেড়ে দেয়। এবং সেই বাতাস ফুসফুস কণ্ঠনালী দিয়ে এসে মুখ দিয়ে বের হওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় ধাক্কা খেয়ে বা বাঁক খেয়ে একেক ধ্বনি উচ্চারণ করে। যে ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় এই বাতাস কোথাও বাধা পায় না, বা ধাক্কা খায় না, তাদেরকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন, অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ইত্যাদি। এগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস ফুসফুস থেকে মুখের বাহিরে আসতে কোথাও ধাক্কা খায় না।

ব্যঞ্জনধ্বনি: যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস মুখের বাহিরে আসার পথে কোথাও না কোথাও ধাক্কা খায়, বা বাধা পায়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন- ক্, খ্, গ্, ঘ্, ইত্যাদি। এই ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস জিহবামূল বা কণ্ঠ্যে ধাক্কা খায়। তাই এগুলো ব্যঞ্জনধ্বনি।

মৌলিক স্বরধ্বনি: যে স্বরধ্বনি মূল থেকে সৃষ্টি এবং যাকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলে। বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। সেগুলো হলো : ই, এ, অ্যা/এ্যা, আ, অ, ও, উ।

২. বন্ধনীর নির্দেশ মোতাবেক উত্তর দিন:

ক) সার্থ, স্বার্থ (অর্থ লিখুন)

উত্তরঃ সার্থ – [বিশেষ্য পদ] সাথী, সঙ্গী, জন্তুসকল; সমূহ।

স্বার্থ – [বিশেষ্য পদ] নিজ প্রয়োজন, স্বকার্য, নিজের উদ্দেশ্য, স্বীয় অর্থ।

খ) চন্দ্র (দুটি সমার্থক শব্দ লিখুন)

উত্তরঃ চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত।

গ) সিংহাসন, পুরস্কার (সন্ধি বিচ্ছেদ করুন)

উত্তরঃ সিংহাসন = সিংহ + আসন।

পুরস্কার = পুরঃ+কার।

ঘ) অমৃত, সার্থক (বিপরীতার্থক শব্দ লিখুন)

উত্তরঃ ‘অমৃত’ এর বিপরীতার্থক শব্দ- গরল

‘সার্থক‘ এর বিপরীত শব্দ- নিরর্থক/ব্যর্থ

ঙ) রূপালি, অথবা (পদ নির্দেশ করুন)

উত্তরঃ রূপলি- বিশেষণ পদ

অথবা- অব্যয় পদ

৩. বাংলা ভাষার বৈশ্বিক অবস্থান ও গুরুত্ব বর্ণনা করুন।

খ-বিভাগঃ গণিত (মান 20)

১. চারটি শিশু নিজেদের বেশকিছু খেলনা নিয়ে একসাথে খেলতে বসেছে। মোট খেলনার দশভাগের একভাগ প্রথম শিশুটির। প্রথম শিশুর চেয়ে দ্বিতীয় শিশুর ১২টি এবং তৃতীয় শিশুর ১টি বেশি খেলনা রয়েছে। চতুর্থ শিশুর কাছে তৃতীয় শিশুর দ্বিগুণ পরিমাণ খেলনা রয়েছে। সর্বমোট খেলনার সংখ্যা কত?

২. আয়তক্ষেত্র আকৃতির একটি মাঠের ক্ষেত্রফল ৩০০ বর্গফুট ও পরিধি ৭০ ফুট। মাঠের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত?

৩. একজন গাড়ির দালাল গাড়ির বিক্রয় মূল্যের উপর ৬% কমিশন নেয়। একটি গাড়ি বিক্রি করিয়ে দিয়ে যদি সে ৮,৮৮০ টাকা পায়, তাহলে গাড়ির বিক্রয় মূল্য কত?

৪. সম্প্রতি প্রথম আলো একটি জরিপ চালিয়ে বোঝার চেষ্টা করে যে তাদের পাঠকদের মধ্যে কতজন একুশে টিভি, এটিএন ও সময় টিভি দেখেন অথবা এই তিনটির কোনোটি দেখেন না। জরিপে দেখা যায় যে ৫৯% মানুষ একুশে টিভি, ৪৮% এটিএন এবং ৪৬% সময় টিভি দেখেন। ২৯% একুশে টিভি ও এটিএন, ২০% এটিএন ও সময় টিভি এবং ৩০% একুশে টিভি ও সময় টিভি দেখেন। ৯% মানুষ এই তিনটি টিভি চ্যানেলই দেখেন। জরিপে অংশ নেয়া শতকরা কতজন মানুষ এই তিনটি টিভির কোনটিই দেখেন না?

“গ” বিভাগ ইংরেজি (মান 20)

  1. Fill in the blanks with appropriate preposition:
  2. a) She was absent ____ the meeting. Ans: from
  3. b) He was accused ____ theft. Ans: of
  4. c) He left _____ home. Ans: to
  5. d) He prefers milk ____ tea. Ans: to
  6. e) You should abide ____ the rules. Ans: by
  7. Translate from Bangla to English.
  8. a) মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

Ans: It is raining cats and dogs.

  1. b) সাতটা বাজতে দশ মিনিট বাকী।

Ans: It is seven to ten.

  1. c) সে দেশের জন্য মারা গেল।

Ans: He died for the country.

  1. d) ডাক্তার আসার পূর্বে রোগীটি মারা গেল।

Ans: The patient had died before the doctor came.

  1. e) বাংলাদেশ উন্নতি করুক।

Ans: May Bangladesh prosper (day by day).

  1. Correct the sentence:
  2. a) He is sleeping for two hours.

Correct: He has been sleeping for two hours. (We use the present perfect continuous tense to show duration.)

  1. b) Neither of the boys have returned.

Correct:  Neither of the boys has returned. (After ‘either’ and ‘neither’ we use a singular verb.)

  1. c) I have seen him yesterday.

Correct: I saw him yesterday. (We do not use the present perfect tense with past time expressions.)

  1. d) Would you take part of this activity?

Correct: Would you take part in this activity?

  1. e) We are playing tennis every day.

Correct: We play tennis every day.

  1. Write 5 sentences on Mujib Year.

‘ঘ’ বিভাগঃ তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ জ্ঞান (মান 30)

১. কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয় কাকে?

উত্তরঃ মাইক্রো প্রসেসরকে কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়।

২.কম্পিউটারের মেমোরি কত ধরনের ও কি কি?

উত্তরঃ কম্পিউটারে সাধারণত দুই ধরনের মেমরি থাকে – ক্যাশ মেমরি ও প্রধান মেমরি।

৩. কম্পিউটারের কোন অংশ নষ্ট হলে বিপ সাউন্ড হতে পারে?

উত্তরঃ RAM.

৪. মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কোন ধরনের সফটওয়্যার?

উত্তরঃ  ইউটিলিটি সফটওয়্যার।

৫. কম্পিউটার Virus কি?

উত্তরঃ কম্পিউটার ভাইরাস এক ধরনের বিশেষ সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অজান্তেই এর ভিতরে প্রবেশ করে ক্ষতিকারক কাজ সমূহ সম্পাদন করে থাকে।

৬. বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বাধুনিক কত প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে?

উত্তরঃ চতুর্থ প্রজন্ম।

৭. ইন্টারনেট এর মাধ্যমে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের প্রযুক্তিকে কি বলে?

উত্তরঃ ই-মেইল।

৮. বাংলাদেশের উৎক্ষেপিত প্রথম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) এর নাম কি ও এটি কত সালে উৎক্ষেপণ করা হয়?

উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১, উৎক্ষেপণ করা হয় ১১ মে ২০১৮।

৯. বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সভা ও যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট এর কোন প্রযুক্তি বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে?

উত্তরঃ

১০. মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত দুটি অপারেটিং সিস্টেম এর নাম লিখুন?

উত্তরঃ অ্যানড্রয়েড ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম।

১১. সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর ওয়েবসাইট এড্রেস কি?

উত্তরঃ http://www.sbc.gov.bd/

১২. ডিজিটলি বাংলাদেশ ভিশন কত সালে ঘোষণা করা হয়?

উত্তরঃ ‘ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান’ বা ‘রূপকল্প ২০২১’।

১৩. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি?

উত্তরঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন, বিচার ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন।

১৪. বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক চালুকৃত ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর নাম কি?

উত্তরঃ নগদ।

১৫. কোন ডকুমেন্টকে অন্য নামে সেইভ করতে কোন কমান্ড/অপশন ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ Ctrl+Shift+S.

১৬. ইন্টারনেট ওয়েবসাইট- “ফেসবুক” কি?

উত্তরঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

১৭. ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কেনাকাটা করাকে কি নামে ডাকা হয়?

উত্তরঃ ইলেকট্রনিক কমার্স বা E-commerce.

১৮. Google Chrome কি?

উত্তরঃ ওয়েব ব্রাউজার।

১৯. ইন্টারনেটের প্রটোকল HTTP ও HTTPS এর মধ্যে কোনটি বেশি নিরাপদ?

উত্তরঃ HTTPS হচ্ছে HTTP-এর চেয়ে অধিকতর নিরাপদ।

২০. ওরাকল কোন ধরনের সফটওয়্যার?

উত্তরঃ ডাটাবেইজ সফটওয়্যার।

২১. স্প্যাম মেইল কি?

উত্তরঃ ইমেইল স্প্যাম, আবর্জনা ইমেল হিসাবেও পরিচিত, ইলেকট্রনিক স্প্যাম একটি টাইপ যেখানে অযাচিত বার্তা ইমেইল দ্বারা প্রেরণ করা হয়। অনেক ই-মেইল স্প্যাম বার্তা প্রকৃতিতে বাণিজ্যিক কারণে পাঠানো হয় কিন্তু কিছু বার্তা পরিচিত ওয়েবসাইটের ছদ্মবেশেও পাঠানো হয়। কিন্তু আসলে ফিশিং ওয়েব সাইট বা ম্যালওয়ার যুক্ত সাইট এ ঐ স্প্যাম বার্তাটি নিয়ে যায়। স্প্যাম ইমেল স্ক্রিপ্ট বা অন্য এক্সিকিউটেবল ফাইল সংযুক্তি হিসেবে ম্যালওয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। স্প্যাম মন্টি পাইথন স্কেচ যা স্প্যাম, সর্বব্যাপী অনিবার্য এবং পুনরাবৃত্তিমূলক প্রণালী দ্বারা স্প্যাম মধ্যাহ্নভোজ মাংস নামকরণ করা হয়।

২২. ইন্টারনেট থেকে আপনার কম্পিউটারে কোন ফাইল সেইভ করার প্রক্রিয়াকে কি বলে?

উত্তরঃ ডাউনলোড।

২৩. বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন কোন কোন স্থানে অবস্থিত?

উত্তরঃ SEA -ME-WE-4 এর ল্যান্ডিং স্টেশন ঝিলিংঝা, কক্সবাজার।

SEA-ME-WE-5 এর ল্যান্ডিং স্টেশন কুয়াকাটা, পটুয়াখালী।

২৪. কোন ওয়েবসাইটের প্রধান ওয়েবপেজ কে কি বলে?

উত্তরঃ হোম পেইজ।

২৫. ইন্টারনেট এ সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসের ইউনিক নাম্বার বা এড্রেস এর নাম কি?

উত্তরঃ IP অ্যাড্রেস।

নিম্নের সংক্ষেপ করা শব্দের পূর্ণরূপ লিখুন-

২৬. www= World Wide Web.

২৭. RAM= Random Access Memory.

২৮. LAN = Local Area Network.

২৯. ICT= Information & Communication Technology.

৩০. PDF= Portable Document Format.

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

একুশে ফেব্রুয়ারি যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হলো

একুশে ফেব্রুয়ারি যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হলো

পিডিএফ ডাউনলোড

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস

বাংলা ভাষাভাষী লোকদের নিকটে সুপরিচিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বা শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত দিনটি হলো ”২১ শে ফেব্রুয়ারি।” আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস দিনটি মর্যাদার দিন হিসেবে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশে অর্থাৎ বাঙালীর কাছে এবং বাংলাভাষী জনগণের কাছে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের উপর পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া তরুণদের লক্ষ্য করেই এই দিনকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে সালাম, রফিক, জব্বার এবং বরকতসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ শহীদ হন।

অর্থগত দিকথেকে মাতৃভাষা হলো মায়ের ভাষা। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে, আর সে অঞ্চলগুলোর ভাষা তাদের মাতৃভাষা হিসেবে পরিচিত। মাতৃভাষা বলতে যা বুঝায় তা হলো একটি বৃহত্তর অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর ভাষা। যা তারা স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে পারে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি বা ভাষা আন্দোলনের প্রারম্ভিকতা

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহের দ্বিজাতিতত্ত্বের নীতিতে ভারত এবং পাকিস্তান ভাগ হয়ে পড়ে, আর পাকিস্তান ভাগ হয়ে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে চলতে শুরু করলেই ভাষা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। মূলত ভাষা নিয়ে সমস্যা ভারত পাকিস্তান ভাগের আগে থেকেই ছিলো আর পরবর্তীতে পাকিস্তান ভাগ হলে তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। আর এ নিয়ে মিল্লাত নামক পত্রিকায় প্রকাশিত কলামের সারসংক্ষেপ হলো এই যে, নিজের মুখের ভাষা অর্থাৎ নিজের প্রাণ বাদ দিয়ে অন্য একটা ভাষাকে গ্রহণ করা দাসত্বের সমানই। আর দৈনিক আজাদি নামক প্রসিদ্ধ পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, বাংলা ভাষাকে পরিবর্তন করে উর্দুকে প্রতিস্থাপন করলে বাংলাভাষী জনগণ সকল উচ্চপদস্থ অবস্থান থেকে নেমে যাবে আর সে সুযোগ কে উর্দুভাষীরা কাজে লাগিয়ে দেশের সকল উচ্চপদে আসীন হবে।

এতে করে বাঙ্গালীরা পিছনে পড়ে যাবে। উর্দুভাষীরা এগিয়ে থাকবে শিক্ষা বিভাগসহ সবদিক দিয়েই। এছাড়াও আরো চিন্তা ছিলো বাংলাভাষীদের মনে, দুই পাকিস্তান তথা পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যখানের দূরত্বই ছিলো দুই হাজার কিলোমিটার, আর এই দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের দুই স্থানের অধিবাসীর মন মানুষিকতা, সংস্কৃতিসহ চিন্তাভাবনার ফারাক ছিলো বিশাল। কেবলমাত্র ধর্মের মিল নিয়ে কতটা ভালো থাকবে সে নিয়ে চিন্তার অন্ত নাই। তাছাড়াও পাকিস্তানের পরিবর্তনগুলোর মধ্যে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো মুদ্রা, ট্রেনের টিকেট, পোস্টকার্ড এবং ডাকটিকেটসহ সরকারি অনেক পদেই ইংরেজি এবং উর্দুর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, বাংলা অগোচরে থেকে যায়।

পাকিস্তানি শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের মুখের ভাষা নিয়ে যে চেতনা প্রকাশিত হয় তার কারণেই অর্থাৎ বাঙালীদের মাতৃভাষা প্রয়োগের দাবিতে ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে ঢাকায় ছাত্র এবং বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে ভাষা বিক্ষোভের শুরু হয় । কারো কারো মতে এরপরের বছরই সে বিক্ষোভ সীমিত আকারে চলে যায়। কিন্তু বাস্তবে আসলে তার বিপরীতধর্মী দিক দেখা যায়।

১৯৪৮ সালের দিকে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রেসকোর্স ময়দানের একটি সমাবেশে বলেন যে, ” উর্দু এবং উর্দুই হবে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা”। আর ঠিক তখনই বাঙ্গালীরা প্রতিবাদ শুরু করে। জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার ব্যাপারে ছিলো একরোখা। আর এখান থেকেই বাঙ্গালীর আশা স্বপ্ন বিলুপ্ত হতে থাকে দেশভাগের পর। কারণ এই সমাবেশই ছিলো শুরু রাষ্ট্রভাষার সাথে বাঙ্গালীর শান্তি, অধিকার সব ছিনিয়ে নেবার। আরো হাস্যকর বিষয় ছিলো এমন যে, উর্দুভাষীরা বাংলাভাষীদেরকে হিন্দু বা হিন্দুয়ানী ভাবতো অর্থাৎ বাংলাকে হিন্দুয়ানী ভাষা হিসেবে জানতো।

ভয়ানক অগ্নি স্ফুলিঙ্গ এর সৃষ্টি

কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যু বরণ করার ও পরেও রাষ্ট্র ভাষা নিয়ে নানা মত নানা প্রস্তাবের আলোচনা দেখা যায়। আর সেজন্য থেমে থেমে আন্দোলন ও চলছিলো। আর শেষে এটি ভয়ানক অগ্নি স্ফুলিঙ্গ হিসেবে দেখা দেয় ২৬ই জানুয়ারিতে। কারণ ওইদিন পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে উর্দুকেই রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয় চূড়ান্তভাবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি

১৯৫২ সালে ভাষা নিয়ে সমস্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। পাকিস্তানে উর্দুভাষী ছিলো সংখ্যাগরিষ্ঠ। বাঙ্গালীরা আরো বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়ে যখন দেখে খাজা নাজিমুদ্দিন ও বাঙ্গালীর বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহর কথাগুলোই খাজা নাজিমুদ্দিন বলতেছিলো। আর তাই খাজা নাজিমুদ্দিন এর দেওয়া বক্তব্যের বা ঘোষণার পরোয়া না করে বাঙ্গালী ধর্মঘট এবং মিটিং মিছিল শুরু করে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। আর এই হাতিয়ারটি ভালোভাবে কাজে লাগানো জনগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

ভাসানী বাঙ্গালীর এই দুঃসময়ের সাথী সঙ্গী হিসেবে বাঙ্গালীর তথা পূর্ব-পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন, আর তাকে পূর্ণভাবে সমর্থন করেন রাজনৈতিক, সংস্কৃতিকর্মী এবং সর্ব স্তরের মানুষজন। একুশে ফেব্রুয়ারিকে ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। আর এই ধর্মঘট প্রতিহত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার চারপাশের এলাকার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এটি অমান্য করাতেই আজকের এই শহীদ দিবসের সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ড এর প্রতিবাদে অধিবাসীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে উপস্থিত হন। নানা অত্যাচার নিপীড়নের পর ও তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

পরে ২২ফেব্রুয়ারিতে জনগণ আবার রাজপথে নামেন আর মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের মাঠে শহীদদের জন্য গায়েবি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর তাদের এই ত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের মাঠে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। যেটি সরকার কর্তৃক ২৬ ফেব্রুয়ারি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এইদিনে কত জন মানুষ শহীদ হয় তার নির্দিষ্ট সংখ্যা সম্পর্কে মানুষ অজ্ঞাতই ছিলো। তবে ২১ শে ফেব্রুয়ারি এবং তার পরদিনে অনেক শহীদ হন। যদিও পত্রপত্রিকা এবং ইতিহাসের পাতায় সালাম, রফিক ও বরকতসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের নাম আসে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র

দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ভূখণ্ডের জনগণের মাঝে প্রার্থক্য বিরাজমান। দুই ভিন্ন ভাষার জাতী স্বভাবে, চলনে, আচরণে, সংস্কৃতিতেও ভিন্ন ছিলো। শুধুমাত্র ধর্মের যোগসূত্রের কারণে এরা এক থাকতে পারবে এটা মানলেও পরবর্তীতে তার ভিন্ন রূপ দেখা যায়। ভাষা কে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন গড়ে উঠে সেটিই হলো বাংলাদেশের বীজ বপন। ভাষা আন্দোলনের হত্যাকাণ্ড আন্দোলন কে থামাতে পারেনি। ভাষার জন্য, নিজের পরিচয়ের জন্য বাঙ্গালীরা লড়াই করে গেছে।

এত হত্যাকাণ্ড ঝামেলার পর ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সংসদ বাঙ্গালী তথা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মাতৃভাষা মুখের ভাষা কে পাকিস্তানের আরেকটি রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকার করে স্বীকৃতি প্রদান করে। এই আন্দোলন বা রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতিই বাংলাদেশের বীজ বপন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। জাতীয় সংসদে বাংলাভাষা প্রচলন বিল পাশ হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ সালে। যেটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তারপরের মাস থেকেই।

২১ শে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত বাংলা

কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত দুই বাংলাদেশি প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে শহীদ দিবস তথা ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন করে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকটে ১৯৯৮ সালে। তথ্য কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হাসান ফেরদৌস চিঠিটি দেখে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যকার রফিক কে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রের থেকে প্রস্তাব আনতে অনুরোধ করে। “মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড ” নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশী কিছু উদ্যোক্তারা ।

জার্মানভাষী, ইংরেজভাষী এবং কাচ্চিভাষীসহ কিছু সদস্য যুক্ত হয় এই সংগঠনে। আর তারা মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড গ্রুপ থেকে চিঠি লিখেন। ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে অর্থাৎ নভেম্বরে ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাবটি তুলে ধরে হয় এবং ১৮৮ দেশ সমর্থন ও জানায়, এতে করে বাঙ্গালীর একুশে ফেব্রুয়ারি তথা মাতৃভাষা দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়। আর ২০০০ সাল থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সঠিক মর্যাদায় পালিত হয়।

সিয়েরালিয়নের ভাষা

আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের মধ্যে সিয়েরালিয়ন অন্যতম। গৃহযুদ্ধে দেশটি আক্রান্ত ছিলো। জাতিসংঘ দেশটির শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিনিধি পাঠায়, বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যায় এবং রক্তপাতহীন এক শান্তিময় রাষ্টের উদ্ভাবন করে। আর সেনাবাহিনীর মুখের ভাষার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, সেনাবাহিনীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা এবং বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যেটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয় ছিলো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের দিনটি মাতৃভাষা দিবস বা ২১ শে ফেব্রুয়ারি হিসেবে পরিচিত। আর এটি প্রতিবছরই জাতীয় ভাষা দিবস হয়ে পালিত হয়ে আসছে এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে ২০০০ সাল থেকেই পালিত হয়ে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় দিবসটি এখনো ঠিকভাবে পালন করা হয়, ২১ শে ফেব্রুয়ারির রাত ১২ টা থেকেই এই দিবস শুরু এবং এটি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর শিক্ষকগণ ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ভাষা শহীদদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন গান চলতে থাকে। বাংলা একাডেমি ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলার আয়োজন করেন যা বহু বছর ধরে চলমান।

ইউনেস্কো প্রত্যেক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য থিম বেছে নেয় এবং প্যারিস দফতরের ইভেন্টগুলোতে স্পন্সর করে থাকে। আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বছর শুরু হয় ২০০৮ সালে, যেটি চিলি, রাশিয়া ফিলিপাইন্সহ বিশ্বের বড় বড় দেশে পালিত হয়ে আসছে। ব্রেইল এবং সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ থিম ২০০৫ সালে হয়। ভাষা এবং সাইবারস্পেস বার্ষিক থিম ২০০৬ সালে। বহুভাষিক শিক্ষা থিম ২০০৭ সালে, ভাষার আন্তর্জাতিক বছর শুরু হয় ২০০৮ থেকে, মাতৃভাষা শিক্ষার জন্য বই ২০১৩ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রে উদযাপনঃ- ২০১৭ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে মাতৃভাষা ফিল্ম ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয় ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে।

যুক্তরাজ্যেঃ- ঢাকার শহীদ মিনারের প্রতিরূপ স্বরূপ লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে নির্মিত হয় ১৯৯৯ সালে। যেটিতে সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ গণ পুষ্পস্তবক প্রদান করেন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষ্যে নানা গান গাওয়া হয় এবং শোনা হয়। সৌধে এই দিবস কে লক্ষ্য করে উত্তর ইংল্যান্ডের সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা আসেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারির দাপ্তরিক নাম        : আইএমএলডি তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

দিবসটি পালন করা হয়।            : বিশ্বব্যাপী।

দিবসটির তাৎপর্য                  : সকল ভাষার সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার প্রচারার্থে।

তারিখ                         : ২১ শে ফেব্রুয়ারি

ফ্রিকোয়েন্সি                      : বার্ষিক।

পরবর্তী আয়োজন                  : ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০২২।

বাংলা ভাষা আন্দোলন               : ১৯৫২ সাল।

প্রথম ভাষা আন্দোলন দিবস পালিত হয়  : ১৯৫৫ সালে।

ইউনেস্কো দিবসটি ঘোষণা করে        : ১৯৯৯ সালে।

ভাষা আন্দোলনের উদ্বোধনী উদযাপন     : ২০০০ সালে।

লিঙ্গুয়াপ্যাক্স পুরস্কারঃ-

এই পুরস্কারের মধ্যে বার্সেলোনা আইএমএলডির উপর বার্ষিক পুরস্কার প্রদান করে। এই পুরস্কার ভাষার সংরক্ষণ, সুরক্ষা, ভাষার পুনরুজ্জীবন এবং বহুভাষিকতার কৃতিত্বে স্বীকৃতি দান করে।

একুশে যুব পুরস্কারঃ-

আলবার্টা বাসিন্দাদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। আলবার্টার মাহিনুর জাহিদ এমজেএমএফ কর্তৃক প্রবর্তিত আইএমএলডি-তে ঘোষিত সকল ধরণের পুরস্কার তথা যুব ক্রিয়াকলাপ, একুশে যুব পুরস্কার, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সাহিত্যসহ বিভিন্ন কিছুর উপর অনুপ্রাণিত করে তরুণদেরকে পুরস্কৃত করে।

একুশে হেরিটেজ পুরস্কারঃ-

বিএইচইএসএ তথা বাংলাদেশ হেরিটেজ অ্যান্ড এথনিক সোসাইটি অফ আলবার্টা কর্তৃক প্রবর্তিত একুশে হেরিটেজ অ্যাওয়ার্ড, সামাজিক কার্যাদি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অর্জনের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং পুরস্কার প্রদান করা হয়।

স্মৃতি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণঃ-

একটি দেশের সংস্কৃতির ধারক বাহক হিসেবে ভাষা উল্লেখযোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুতে সংরক্ষিত আছে কিছু স্মৃতি, যেগুলো ভাষা শহীদদের ত্যাগের স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরেও উল্লেখযোগ্য অনেক স্মৃতি রয়েছে।

ভাষা ও সাহিত্যঃ-

সাহিত্যের উৎকর্ষতার মূল হাতিয়ার ছিলো ভাষা আন্দোলন। আন্দোলনে ভাষা সাহিত্য অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো আন্দোলনকারীদের। একুশ কে কেন্দ্র করে রচিত গল্প কবিতা তথা সাহিত্যগুলোই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। আর কবিতাই ছিলো তৎকালিন সময়ের অনুপ্রেরণার প্রতীক।

একুশ এর শিক্ষাঃ-

উৎসব, উদযাপনের মধ্যেই একুশ সীমাবদ্ধ নয়। এটির প্রভাব বিস্তারের স্থান বিশাল। একুশ শিক্ষা দিয়ে যায়, যা সঠিক ভাবে গ্রহণ করা বাঙ্গালীর জন্য অবধারিত। এটি সত্যিকারের বাংলার ইতিহাস ধরে রাখতে সক্ষম।

ভাষার গুরুত্বঃ-

প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভাষার ব্যাপারে চমৎকার বিবৃতি প্রকাশ করেন। মা, মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষা শ্রদ্ধার বিষয়। মাতৃভাষার মাধ্যমেই মুখ দিয়ে কিছু ব্যক্ত করা যায়। মনের ভাষা প্রকাশ করা যায়। সাহিত্যের ব্যাপারেও এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রামনিধি গুপ্তের মতে – নানান দেশের নানান ভাষা

বিনা স্বদেশি ভাষা;

পুরে কি আশা।

সমাপিকাঃ-

জাতীয় শান্তি এবং মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত হলো ২১ শে ফেব্রুয়ারি। এই ভাষা দিবস বাঙ্গালীকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়, বুঝতে শেখায় প্রাণ পাওয়ার মত নতুন জীবন দান করে। আর এই একুশের আনন্দ দেশ ছেড়ে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাই মাতৃভাষা বাংলার শক্তি হিসেবে জ্ঞানে বিজ্ঞানে, শিক্ষায় এবং সংস্কৃতি তে নিজেদেরকে পূর্ণ করে নতুনভাবে বাঁচতে হবে। একুশ আমাদের শান্তি মুক্তির হাতিয়ার আর তাই পর্যাপ্ত জ্ঞান দ্বারা প্রতিটা মানুষকে জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ করতে হবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে একে সজিব এবং চির-চলমান রাখতে হবে।

আরে পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

মহান একুশে,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ

মহান একুশে,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষণ

২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষণ

সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, উপস্থিত সুধিমন্ডলী,

জাতীয় জীবনে, “ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” বিষয়ে আয়োজিত আজকের এই আলোচনা সভার শুরুতে আপনাদের প্রতি আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জাতীয় জীবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। একুশ মানেই হলো- পরাশক্তির কাছে মাথা নত না করা। একুশ একটি বিদ্রোহ, বিপ্লব ও সংগ্রামের নাম। ‘একুশ’ হল মায়ের ভাষায় ভাষায় কথা বলার জন্য রাজপথ কাপানো মিছিল, স্লোগান, আন্দোলনে মুখরিত একটি মুহূর্ত।

এই দিনে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্তে পিচ ঢালা রাজপথে সিক্ত করে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার কে আদায় করেছে পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীয় কবল থেকে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এদেশের জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় ও তাৎপর্যবহ দিন। আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেই বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা ঘটে এবং শোষণ ও পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয় এদেশ ও জাতি।

সম্মানিত সুধিবৃন্দ, বাংলা নামক দেশটি বিভিন্ন কারণে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তন্মধ্যে প্রথম এবং অন্যতম কারণ হল ভাষার জন্য সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, বিপ্লব পৃথিবীর অন্য কোন এসে সংঘটিত হয়নি। ইতিহাসে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রত্যেক জাতিই জন্মগত ভাবে প্রাপ্ত ভাষায় স্বাধীনভাবে কথা বলে এবং মনের ভাব প্রকাশ করে।

ভৌগলিক স্বাধীনতা না থাকলেও ভাষার স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার কিন্তু বিশ্ববাসী বিষ্ময়বিভুতচিত্তে অবলোকন করেছে। জন্মগত অধিকার মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলার ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, শ্রমিক, পেশাজীবী, কৃষক, মজুর থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লেলিয়ে দেয়া পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অসংখ্য তাজা প্রাণ। রক্তের বন্যায় সিক্ত হয়েছে বাংলা মায়ের বুক।

আমরা জানি, ১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয় এবং সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদ্বয় ঘটে। উভয় পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। তারা পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি শুরু থেকেই বৈষম্য নীতি ও শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

প্রথমেই তারা চক্রান্ত করে বাঙালির প্রাণ প্রিয় ভাষা “ বাংলা” কে নিয়ে। অবিভক্ত পাকিস্তানের শতকরা ৫৮ অধিবাসের মুখের ভাষা ছিল “ বাংলা”। সুতরাং রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা প্রাধান্য পাবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথমে দাবি উত্থাপন করেন। কিন্তু শাসকচক্র বাঙালির প্রাণের দাবীর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে।

১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জনসভায় উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন এবং ২৪ মার্চ কার্জন হলের অনুষ্ঠানেও তিনি এ ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেন। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার এক জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী। গঠিত হয় “ তমদ্দুন মজলিস” ও “ ভাষা সংগ্রাম পরিষদ”। সর্বস্তরের বাঙালির অংশগ্রহণে মিছিল, মিটিং স্লোগানে মুখরিত হয় বাংলার আকাশ বাতাস এবং তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি। অনেক, অনেক রক্ত, অনেক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় রাষ্ট্রভাষা বাংলা। শেষ পর্যন্ত শাসকগোষ্ঠী বাংলা কে পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানে বাধ্য হয়।

ইতিহাস এখানেই শেষ হয়নি। একুশকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টা। ৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন, ৬২ সালের ছাত্র অভ্যুত্থান, ৬৬ সালের ৬ দফা ভিত্তিক আন্দলোন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০- এর সাধারণ নির্বাচনে বাঙালির অভাবনীয় সফলতা একুশকে কেন্দ্র করেই অর্জিত হয়েছে। মূলত একুশকে কেন্দ্র করেই বাঙালি সংগঠিত হয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে ন্যায্য অধিকার আদায়ের কৌশল রক্ত করেছে।যার ফলে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

তাই জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রেই একুশের তাৎপর্য অপরিসীম। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, সাহিত্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ চেতনাবাহী একটি স্মরণীয় দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। এদিন বাঙালি সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। আজ বিশ্ববাসী এ অসীম ত্যাগ ও মাতৃভাষার প্রতি গভীর মমত্ববোধ এর স্বীকৃতি দিয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারির সাথে অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে লাখো শহীদের নাম, যাদের স্মৃতি চির ভাস্বর ও অনন্তকালের পথ পরিক্রমায় মৃত্যুহীন।

পরিশেষে বলতে চাই, একুশ হোক জগতের সকল অনৈক্য, সংঘাত ও অশান্তির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ হাতিয়ার, হোক সমুদ্রপথের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ অন্ধকার রাতের আশার প্রদীপ, সঠিক পথের দিক নির্দেশক “ পাঞ্জেরী”। সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ পড়ছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

আরে পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস/২১ শে ফেব্রুয়ারি বিষয়ক রচনা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস/২১ শে ফেব্রুয়ারি বিষয়ক রচনা

২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা-১

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

অথবা ২১ শে ফেব্রুয়ারি

সূচনাঃ-

ভাষা যোগোযোগের প্রধান মাধ্যম হিসাবে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের জীবনে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মানুষের পরিচয়ের মূল নিয়ামক মাতৃভাষা। মাতৃভাষা অবলম্বন করেই গড়ে ওঠেছে বিশ্বের প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। মাতৃভাষা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বের সকল মানুষের এক মৌলিক সম্পদ।

বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা। ১৯৫২ সালে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি বিশ্ব-ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারই স্বীকৃতি পেয়েছি আমরা শতাব্দীর শেষপ্রান্তে এসে। বিশ্ব এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মাতৃভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদার স্বীকৃতি এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষার মাধুর্যে তাই মনে বেজে উঠে-

তোমার কথায় কথা বলি
পাখির গানের মত…
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি
বর্ণ কত শত …

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট

ভারতীয় উপমহাদেশ দীর্ঘ দুই শত বছরের মতো ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল। সে হিসাবে আমাদের এ বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব বাংলাও ব্রিটিশদের অধীন ছিল। তাদের শোষণের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই শুরু হয় পশ্চিম-পাকিস্তানিদের শোষণের জাঁতাকল। পশ্চিমপাকিস্তানিদের শোষণের প্রথম আঘাতটি আসে আমাদের ভাষার উপর। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে পূর্ববাংলার জনগণ রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছিল মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা।

তদানীন্তন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা ছিল বাংলা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ববাংলার জনগণের ওপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তার করার পথ বেছে নেয়। তারা ঘোষণা করে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হবে না, রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পাবে উর্দু, যা কি না ছিল মাত্র ৭ শতাংশ লোকের মাতৃভাষা। এই অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হয় সমগ্র পূর্ববাংলা। বাঙালি ঘোষণা করেছিল, সকল মাতৃভাষাই সমান মর্যাদা লাভের অধিকারী। তাই উর্দুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাকেও দিতে হবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির ন্যায্য দাবি নস্যাৎ করার জন্যে আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালায়। এতে শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে। আন্দোলন আরও প্রচণ্ড হয়, গর্জে ওঠে সারা বাংলা। আতঙ্কিত সরকার বাধ্য হয়ে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে শহিদের স্মরণে প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারির চেতনাই বাঙালিকে স্বাধিকার আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে। এই সংগ্রামের পথ ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর সর্বসম্মতভাবে গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়, “১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে মাতৃভাষার জন্যে অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং সেদিন যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব করা হচ্ছে।” আজ ভাষা দিবস কেবল আমাদের একার নয়, বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হয় এই দিন। ভাষা আন্দোলনের কথা বলতে গিয়ে কোন এক কবি লিখেছেন-

জাতি,ধর্ম,বর্ণ ভুলে
ভাষার জন্য প্রাণ
অকুতোভয় বীর বাঙালী
করে গেছে দান।

একুশের ইতিহাস

মাগো ওরা বলে, সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না।
বলো মা, তাই কি হয়? – আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।

ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। অতঃপর ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে এসে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে এক জনসভায় ঘোষণা দেন: ‘Urdu only, and Urdu shall be the state language of Pakistan.’ এর তিনদিন পর ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি একই কথা জোরের সঙ্গে ঘোষণা করলে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। কিন্তু শত প্রতিবাদ সত্ত্বেও জিন্নাহ এতে কোনো কর্ণপাত করেন নি। ১৯৫০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এবং ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন একই ঘোষণা দিলে ছাত্রসমাজ উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মুহূর্ত।

৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। সংগ্রাম পরিষদ সমগ্র পূর্ব বাংলায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালনের কর্মসূচি প্রদান করলে ছাত্র-জনতার মাঝে অভূতপূর্ব সাড়া জাগে। ২০ ফ্রেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু পূর্বসিদ্ধান্ত মোতাবেক একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা ১৪৪ ধারার  বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে মিছিল বের করে।

মিছিলে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা অংশ নেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তা উত্তাল জনসমুদ্রের রূপ ধারণ করে। মিছিলের ভয়াল রূপ দর্শন করে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার নির্দেশ দেন। পুলিশের গুলিতে শহীদ হয় বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, সফিউরসহ নাম না জানা আরো অনেকে। এতে সারা বাংলায় প্রতিবাদের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সমগ্র জাতি সম্মিলিতভাবে গর্জে ওঠে সিংহের মত। পরিশেষে, শাসকগোষ্ঠী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে নেয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতিসংঘ

২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। – এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাংলাদেশ। মে মাসে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য

সংস্কৃতির একটি অংশ ভাষা। তবে এ ভাষা একটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। ইউনেস্কোর সম্মেলনে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলা হয়: সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য, বহুভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, তা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনুধাবন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য হলো প্রতিটি মাতৃভাষাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া, বিশেষ করে দুর্বল ও জীর্ণ মাতৃভাষাগুলোকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা, দুর্বল বলে কোনো ভাষার ওপর প্রভুত্ব আরোপের অপচেষ্টা না করা। এ দিবসে প্রত্যেক ভাষাভাষী মানুষ নিজের মাতৃভাষাকে যেমন ভালোবাসবে তেমনি অন্য জাতির মাতৃভাষাকেও মর্যাদা দেবে। এভাবে একুশকে ধারণ করে মাতৃভাষাকে ভাভালোবাসার প্রেরণা পাবে মানুষ।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদযাপন

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,
আমি কি ভুলিতে পারি।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।

মাতৃভাষা ও সাহিত্য

একুশকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে অনেক গল্প কবিতা উপন্যাস। এক কথায় সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনের পিছনে হাতিয়ার ছিল ভাষা আন্দোলন। তৎকালীন সময়ে সাহিত্য কিছুটা হলেও ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি

একুশ নিয়ে প্রথম রচিত কবিতা ‘‌কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’‌ রচিয়তা ছিলেন মাহবুবুল আলম চৌধুরি। কবিতাটি রচিত হয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধে ৭টায়। ১৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ এ কবিতাটি ছাপা হয় কোহিনুর প্রেস, আন্দরকিলা থেকে। কবিতাটি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে পাঠ করেন চৌধুরি হারুন উর রশিদ। সাহিত্য, বিশেষ করে কবিতা তৎকালীন সময়ে উৎসাহ দিয়েছিলো ভাষা আন্দোলনের।

একুশের স্মৃতি

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সারাদেশে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানের আন্দোলন জোরদার করা হয়। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকগণ ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের মিটিং-মিছিল ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানে প্রত্যয়ী ছাত্রসমাজ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করে। এতে সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকে নিহত হন। এ হত্যাযজ্ঞ আর দমননীতির ফলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।

মাতৃভাষা ও বর্তমান বাংলাদেশ

বিষ্ণু দে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে একটি কাব্যের নাম রেখেছেন ‘তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ!‌’ বাংলা ও তৃতীয় বিশ্বের শত শত মাতৃভাষার দুরবস্থা দেখে বিষ্ণু দে–র অনুসরণে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে জাগে— ‘২১শে ফেব্রুয়ারি, তুমি কি শুধু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস?’‌  বর্তমান আধুনিক সভ্যতা আর পশ্চিমা সংস্কৃতির করাল গ্রাসে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা ভাষার মর্যাদা। পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন জাতিসত্তার মাতৃভাষা নিয়ে নতুন সম্ভাবনার উৎস হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এমন প্রত্যাশা ছিল আমাদের। কিন্তু তার পর থেকে এশিয়া–আফ্রিকা–অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশে বহু ভাষা মরে গেছে, চিরতরে লুপ্ত হয়ে গেছে। আর এর সাথে সাথে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে আমাদের ভাষায়। বর্তমান অভিবাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করতে রীতিমতো যুদ্ধ করে। অথচ অবজ্ঞা করে বাংলা ভাষার যা অর্জিত হয়েছে তাজা প্রাণের রক্তের বিনিময়ে। কত বুক খালি হয়েছে শুধু ভাষার জন্যে। কিন্তু আফসোস আমরা তার দাম দিতে পারিনি। পৃথিবী জুড়ে সাত হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় চার হাজার ভাষাই এখন বিপন্ন। বিগত দুই বছরে তিনশোর বেশি ভাষা চিরতরে হারিয়ে গেছে। একুশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিপন্ন হাজার তিনেক ভাষা চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে ভাষাবিজ্ঞানীরা মনে করেন।

একুশের চেতনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

১৯৫৩ সালে শহীদ দিবস উদযাপন করতে গিয়ে তখনকার প্রগতিশীল কর্মীরা কালো পতাকা উত্তোলন, নগ্নপায়ে প্রভাতফেরি ও সমবেত কণ্ঠে একুশের গান, শহীদদের কবর ও মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে। সেই থেকে এসব কর্মসূচি বাঙালির জাতীয় চেতনার নবজাগরণের প্রতীক হয়ে দাড়িয়েছে। এখন এসবই আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ১৯৫৪ সালে বাংলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠা এবং তারপর থেকে একুশ উপলক্ষে বাংলা একাডেমী প্রতি বছর অমর একুশের যেসব অনুষ্ঠানমালা এবং বইমেলার আয়োজন করে তার। সবকটিই একুশের চেতনার ফল।

মাতৃভাষার বিকৃতি ও অবজ্ঞা

২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর প্রাচীন ভাষাগুলোর একটি বো ভাষায় কথা–বলা বোয়া সিনিয়র নামের একমাত্র মানুষটির মৃত্যু হয়েছে। আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারে বোয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হারিয়ে গেল বো ভাষা। আগামী ৪০-৫০ বছরের মধ্যে এমনি হারিয়ে যাবে শত শত ভাষা। বাংলা ভাষাকে বিভিন্ন দেশে যেভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে, যেভাবে টিভি, রেডিওতে বাংলা–ইংরেজি মিলিয়ে জগাখিচুড়ি ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে, তাতে বাংলা ভাষার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আজকাল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান যেন ছাত্রদের ইংলিশ শিখাতেই নির্মিত হয়েছে। অভিবাবকরা বেশি ঝুঁকে যাচ্ছে বাচ্চাদের ইংরেজি শিখানোর প্রতি। সেই কারণেই দোকানের বাংলা নাম ইংরেজিতে লেখা হয়, গ্রাহকের ইংরেজি জ্ঞান থাকুক আর না থাকুক ব্যাঙ্ক–বিমার কাগজপত্র ইংরেজিতেই লেখা হয়। বিপণি বিতানের পরিবর্তে আমরা দেখি শপিং মল, আদর্শ শহরের পরিবর্তে পাই মডেল টাউন। ইংরেজি অথবা হিন্দি ভাষা সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে বাঙালির মাতৃভাষা কতটা নিরাপদ?

উপসংহার

একুশ আমাদের জাতীয় মুক্তির চেতনার উৎস হিসাবে কাজ করেছে। আমাদের মহান একুশ আজ স্বদেশের আঙিনা পেরিয়ে বৈশ্বিক চেতনায় পরিণত হয়েছে। এখন আমাদের করণীয় হলো, জ্ঞানের সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রয়োগ বৃদ্ধিতে সাধ্যমতো প্রয়াস চালানো। মাতৃভাষার শক্তি বাড়িয়ে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, শিক্ষায়-সংস্কৃতিতে নতুন শতকের জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করা। বিশ্বের জ্ঞানভান্ডারকে মাতৃভাষা চর্চার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। মাতৃভাষার সেবা করার  পাশাপাশি বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মাতৃভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো। ২১ আমাদের গর্ব ২১ আমাদের অহংকার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই চেতনাকে সবার মধ্যে সঞ্জীবিত করার মধ্যেই নিহিত আছে এই মহান দিবসের সার্থকতা।  কবি অতুলপ্রসাদ সেন লিখে গাছেন –

মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!
কি যাদু বাংলা গানে!- গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
এমন কোথা আর আছে গো!
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।

২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা-২

ভূমিকা : বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের এক অনন্য চেতনাদীপ্ত অধ্যায় হলো একুশে ফেব্রুয়ারি । কেননা মাতৃভাষার মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখতে এ দিন বাংলার দুর্জয় সন্তানরা রক্ত দিয়ে রঞ্জিত করেছিল পিচঢালা কালো রাজপথ । এই ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে উচ্চতর মর্যাদা ও নবতর পরিচিতি দান করেছে। ভাষা আন্দোলনে শহিদদের আত্মত্যাগ স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। ইতিহাসের পাতায় । তাঁদের আত্মােৎসর্গেই আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে পেয়েছি। আমাদের জাতীয় জীবনে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ । ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে এ দিনকে স্মরণ করে আমরা তাই গেয়ে উঠি—

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো।
একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি?

একুশে ফেব্রুয়ারির পটভূমিঃ- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলাদেশের প্রথম সফল গণঅভ্যুত্থান এবং শাসকচক্রের বিরুদ্ধে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। মূলত ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে এবং এটি চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে। জনসংখ্যার বিবেচনায় বাংলাভাষীরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ । তবুও রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বাংলার দাবি বারবার উপেক্ষিত হতে থাকে। ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মােহাম্মদ আলি জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় ঘোষণা দেন : ‘Urdu only, and Urdu shall be the state language of Pakistan.’ এরপর ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি একমাত্র উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গভর্নর জেনারেল মােহাম্মদ আলি জিন্নাহর ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ করে। না না ধ্বনিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ এবং শুধু উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন সৃষ্টির জন্য তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে প্রথম রাষ্ট্রভাষা। সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রতিবাদ দিবস এবং ৩১ জানুয়ারি ঢাকার সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষ রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল । ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলার অকুতোভয় সংগ্রামী জনগণ ও ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল করে। ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলটি যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মুখে গিয়ে পৌঁছায় তখনই। ঘাতক পুলিশ নির্বিচারে মিছিলটির ওপর গুলিবর্ষণ করে। সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বারসহ আরও অনেক তরুণ-প্রাণ। অকালেই ঝরে যায়। পুলিশের বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং রাজপথে নেমে আসে। অবস্থা। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে অবশেষে সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

প্রথম শহিদ মিনারঃ- ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং রাতের মধ্যেই তা শেষ করা হয় । ২৪ ফেব্রুয়ারি শহিদ শফিউর রহমানের পিতাকে এনে মিনার উদ্বোধন করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি পুনরায় এই মিনার উদ্বোধন করেন সদ্য পদত্যাগকারী সংসদ (তৎকালীন এসেম্বলি) সদস্য ও দৈনিক আজাদের সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন । ঐ দিনই পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিনারটি নিশ্চিহ্ন করে দেয় । ১৯৫৬ সালে পুনরায় শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় । ১৯৫৬ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ৫২’র শহিদ আউয়াল নামক এক রিকশাচালকের ৬ বছরের মেয়ে বসিরন এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আবুল হোসেন সরকার শহিদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৫৬ সালেই প্রথম ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস ঘোষণা করা হয় । যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে সরকার শােক দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপন করেন ।

একুশের চেতনায় স্বাধীনতার মূলমন্ত্রঃ- একুশের ভাষা আন্দোলন বাঙালির মাতৃভাষা ভিত্তিক সাংস্কৃতিক লড়াই হলেও এর মধ্যেই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র নিহিত ছিল । অকুতোভয় সংগ্রামী বাঙালির এ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রথম সফল সংগ্রাম ছিল এ ভাষা আন্দোলন। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস পায় । বাঙালির আত্মপরিচয়ে পরিচিত হওয়ার অনুপ্রেরণা পায় এবং ন্যায্য দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে। তাই পরবর্তীকালে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় । ফলে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি । তাই বলা যায়, বাঙালির স্বাধীনতার মূলসূত্র একুশের ভাষা আন্দোলনের মাঝেই নিহিত ছিল। এর পথ ধরেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আমাদের সকল আন্দোলনের মূল উৎস হিসেবে ভাষা আন্দোলনকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে ।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভঃ- ১৯৫৩ সাল থেকে এদেশের মানুষ ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে । ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো এ দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর বহু দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। আর ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং বিশ্বের ১২৪টি দেশ তা সমর্থন করে। এই ঘােষণার মধ্যদিয়ে ইউনেস্কোর ওই ঘোষণা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল । আজ বাঙালির একুশ যে বিশ্বজনীন দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে— এ গৌরব ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী থেকে শুরু করে প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রগতিপন্থি বাঙালির।১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো)-এর সাধারণ পরিষদ তার ৩০তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের সমর্থনে সর্বসম্মতভাবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর পর থেকে প্রতি বছর উক্ত সংস্থার ১৮৮টি সদস্য দেশ এবং সংস্থাটির সদর দপ্তরে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।

জাতীয় জীবনে একুশের চেতনাঃ- আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একুশের চেতনার উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।বাঙালি জাতির মন-মানসে একুশ নব সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটায় । আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে একুশের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে । বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় একুশের পদচারণা দেখা যায় । কবি-সাহিত্যিকগণ একুশকে উপজীব্য করে রচনা করেছেন। অসংখ্য সাহিত্যকর্ম । আমাদের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ প্রশংসিত ও সম্মানিত । সারা বিশ্বে এ দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের প্রায় ৫ হাজার ভাষা বিশেষভাবে সম্মানিত হয় । বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ ডক্টর মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে, একুশে ফেব্রুয়ারি কোনো বিশেষ দিন, ক্ষণ বা তিথি নয়, একটি জাতির। জীবন্ত ইতিহাস। এ ইতিহাস অগ্নিগর্ভ।

বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেই আমাদের অন্যান্য সকল আন্দোলন বিকশিত হয়েছে। আমাদের জাতায় জীবনে একুশ দান। করেছে নব প্রেরণা। বাংলা শিল্প-সাহিত্যের ধমনিতে নিত্য সক্রিয় রয়েছে একশের চেতনা। মুনীর চৌধুরী রাত নাটক কবর, মাহবুব উল-আলম রচিত কবিতা কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’; জহির রায়হান রচিত ‘আরেক ফাল্গুন’ এসব কালজয়ী সাহিত্যকর্মের সবগুলােই একুশের অবদানে পুষ্ট । কেবল সাহিত্যেই নয়, সকল ক্ষেত্রেই একুশে ফেব্রুয়ারির আলাদা তাৎপর্য রয়েছে । ১৯৫৩ সালে শহিদ দিবস উদযাপন করতে গিয়ে তৎকালীন প্রগতিশীল কর্মীরা যেসব কর্মসূচি পালন করেছিলেন সেগুলো এখন আমরাও অনুসরণ করছি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- নগ্ন পায়ে প্রভাতফেরিতে অংশ নেওয়া, সমবেত কণ্ঠে একুশের গান গাওয়া, শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা ইত্যাদি। বাংলা একাডেমির ফেব্রুয়ারি মাসে পুরো এক মাসব্যাপী বই মেলার আয়োজন করা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। অর্থাৎ দেখা যায়, আমাদের জাতীয় জীবনের বৃহৎ অংশ জুড়ে রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা। তাইতো নাগরিক কবি শামসুর রাহমান তাঁর ‘বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’ কবিতায় দৃপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন—

তোমাকে উপড়ে নিলে, বলো তবে কী থাকে আমার?

উনিশ শো বাহান্নোর দারুণ রক্তিম পুস্পাঞ্জলি

বুকে নিয়ে আছো সগৌরবে মহীয়সী ।

উপসংহার : একুশ আমাদের কণ্ঠে ভাষা দিয়েছে, হৃদয়ে দিয়েছে আবেগ, চেতনায় জাগিয়েছে দৃঢ়তা। একুশ আমাদের মুক্তির চেতনায় উদ্দীপ্ত করেছে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহিদরা যে অবদান রেখেছেন তাকে অম্লান রাখতে হবে । আর এ উদ্দেশ্যে বর্তমান প্রজন্মকে যথাযথভাবে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে । আমাদের মুক্তি চেতনার উৎস ও বাহক একুশকে তার যথাযথ সম্মান প্রদান করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।

আরে পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ক্যাশিয়ার পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ক্যাশিয়ার পদের লিখিত

পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৯

পদের নামঃ- ক্যাশিয়ার

PDF Detail  

Titleপ্রশ্ন সমাধান
Book
Size3.3 MB
Number of Pages5
Categoriesসকল লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান
Downloading status FREE 

সাইজঃ- 3.3 MB

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 5

বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।

Live Preview এখান থেকে Scroll করে দেখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সহকারী জেনারেল ম্যানেজার লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৮

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সহকারী জেনারেল ম্যানেজার

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান-২০১৮

পদের নামঃ- সহকারী জেনারেল ম্যানেজার

PDF Detail  

Titleপ্রশ্ন সমাধান
Book
Size3.78 MB
Number of Pages5
Categoriesসকল লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান
Downloading status FREE 

সাইজঃ- 3.78 MB

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 5

বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনলাইন লাইভ প্রিভিউ দেখে নিন তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।

Live Preview এখান থেকে Scroll করে দেখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ-

Download From Google Drive

Download

Download From Yandex

Download

? প্রয়োজনীয় মূর্হুতে ?খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

error: Content is protected !!