২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র ১ম

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র ১ম

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট

নিচের ছবিতে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট (HSC 2021 Islamic History and Culture First Paper 1st Assignment) বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

স্তর: এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১, বিভাগ: মানবিক, বিষয়ঃ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পত্র: প্রথম, বিষয় কোড-২৬৭, অ্যাসাইনমেন্ট নং-১

অধ্যায় ও শিরোনামঃ প্রথম অধ্যায়: প্রাক ইসলামি আরব;

অ্যাসাইনমেন্টঃ প্রাক ইসলামি যুগে শহরবাসি ও মরুবাসি যাযাবরদের জীবনে আর্থসামাজিক রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অবস্থার প্রভাবসমূহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করাে।

শিখনফল/ বিষয়বস্তুঃ ইসলাম পূর্বযুগে আরব জীবন যাত্রার রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক

সাংস্কৃতিক অবস্থার বর্ণনা দিতে পারবে।

নির্দেশনাঃ (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

ক) প্রাক ইসলামি যুগের শহরবাসি ও মরুবাসি আরবদের আর্থসামাজিক জীবনযাত্রার পার্থক্য নিরূপণ;

খ) প্রাক ইসলামি যুগের রাজনৈতিক অবস্থার ব্যাখ্যা।

গ) প্রাক ইসলামি যুগের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিশ্লেষণ।

ঘ) প্রাক ইসলামি যুগের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডর মূল্যায়ন।

ঙ) প্রাক ইসলামি যুগের উৎকৃষ্ট গুণাবলি ও দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন।

HSC 2021 Islamic History and Culture First Paper 1st Assignment Answer

প্রাক ইসলামী যুগে শহরবাসী এবং মরুবাসী আরবদের আর্থসামাজিক জীবনযাত্রার পার্থক্য নিরূপণঃ

ভূ প্রকৃতির তারতম্য অনুসারে আরব অভিবাসীদের দু শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়-শহরের স্থায়ী বাসিন্দা ও মরুবাসী যাযাবর; যারা বেদুইন নামে পরিচিত। দু শ্রেণির আচার-ব্যবহার, জীবনযাত্রার প্রণালী,ধ্যানধারণা আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্যে যথেষ্ট প্রভেদ রয়েছে।  অনেক মরুবাসী আরব বেদুইন জীবন ত্যাগ করে শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। অপরদিকে দারিদ্রের কষাঘাত সহ্য করতে না পেরে কিছু সংখ্যক স্থায়ী বাসিন্দা বাধ্য হয়ে যাযাবর জীবন গ্রহণ করে।

ক) শহরের স্থায়ী বাসিন্দাঃ আরবের উর্বর তৃণ অঞ্চল গুলো স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী বলে অসংখ্য জনপদ গড়ে উঠেছে। কৃষিকার্য,ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি ছিল স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার ফলে এরা ছিল মরুবাসী বেদুইনদের তুলনায় অধিকতর রুচিসম্পন্ন ও মার্জিত।

খ)মরুবাসী যাযাবরঃ আরব অধিবাসীদের অধিকাংশ স্বাধীনচেতা, বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ বেদুইন। সমাজের ধরাবাঁধা শৃংখলে আবদ্ধ হয়ে স্থায়ীভাবে শহরে বসবাস করার পরিবর্তে বেদুইনগন জীবনধারণের জন্য মরুভূমির সর্বত্র ঘুরে বেড়াতো।তারা তৃনের সন্ধানে এক পশুচারণ হতে অন্য পশুচারণে গমন করত। তাদের গৃহ হচ্ছে তাবু, আহার্য উটের মাংস,পানীয় উট ও ছাগলের দুধ,প্রধান জীবিকা লুটতরাজ। শহরবাসী ও বিদুইনদের মধ্যে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

আর্থসামাজিক উন্নয়নে শহরবাসী এবং মরুবাসীদের মাঝে পার্থক্যঃ

শহরবাসীঃ

১। আরবের তৃন অঞ্চলগুলো বসবাসের উপযোগী ছিল বলে অসংখ্য জনবসতি গড়ে উঠেছিল।

২। কৃষিকার্য ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি ছিল স্থায়ী বাসিন্দার প্রধান জীবিক।

৩। বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার ফলে বেদুইনদের থেকে তারা ছিল অত্যন্ত রুচিসম্পন্ন ও মার্জিত।

৪। একই স্থানে দীর্ঘদিন বসবাসের ফলে তারা ছিল সচ্ছল।

মরুবাসীরাঃ

১। বেদুইনরা পশুর তৃনের সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করতো।

২। তারা ছিল স্বাধীনচেতা ও বেপরোয়া ।

৩। তাদের প্রধান পেশা ছিল লুটতরাজ।

৪। তাদের গৃহ হচ্ছে তাবু,আহার্য উটের মাংস এবং পানীয় উট ও ছাগলের দুগ্ধ।

প্রাক আরবের রাজনৈতিক অবস্থাঃ

ইসলাম পূর্ব যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা বিশৃঙ্খলা পূর্ণ এবং হতাশা ব্যঞ্জক ছিল। কোন কেন্দ্রীয় শক্তি নিয়ন্ত্রণ বা কতৃত্ব না থাকায় আরবে গোত্র প্রাধান্য লাভ করে। তাদের মধ্যে কোন ঐক্য ছিলনা। গোত্রসমূহের মধ্যে সবসময় বিরোধ লেগেই থাকত।

গোত্রীয় শাসনঃ

অন্ধকার যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল বিশৃংখলা, স্হিতিহীন ও নৈরাজ্যের অন্ধকারে ঢাকা। উত্তর আরবে বাইজানটাইন ও দক্ষিণ আরবের পারস্য প্রভাবিত কতিপয় ক্ষুদ্র রাজ্য ব্যতীত সমগ্র আরব এলাকা স্বাধীন ছিল।সামান্য সংখ্যক শহরবাসী ছাড়া যাযাবর শ্রেণীর গোত্রগুলোর মধ্যে গোত্রপতির শাসন বলবৎ ছিল। গোত্রপতি বা শেখ নির্বাচনে শক্তি-সাহস আর্থিক স্বচ্ছলতা, অভিজ্ঞতা ও বিচার বুদ্ধি বিবেচনা করা হতো।শেখের আনুগত্য ও গোত্রপ্রীতি প্রকট থাকলেও তারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি সর্বদা সচেতন ছিলেন। ভিন্ন গোত্রের প্রতি তারা চরম শত্রুভাবাপন্ন ছিল। গোত্রগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছিলনা। কলহ বিবাদ নিরসনে বৈঠকে ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। শেখের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক জীবন ধারার ছোঁয়া থাকলে ও শান্তি ও নিরাপত্তার লেশমাত্র ছিলনা।

গোত্র দ্বন্দ্বঃ

গোত্র কলহের বিষবাষ্পে অন্ধকার যুগে আরব জাতি কুলুষিত ছিল। গোত্রের মান সম্মান রক্ষার্থে তারা রক্তপাত করতেও কুণ্ঠা বোধ করত না। তৃণভূমি, পানির ঝর্ণা এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে সাধারণত রক্তপাতের সূত্রপাত হতো।কখনো কখনো তা এমন বিভীষিকা আকার ধারণ করত যে দিনের পর দিন এ যুদ্ধ চলছে থাকতো। আরবিতে একে ‘আরবের দিন’ বলে অভিহিত করা হতো। আরবের মধ্যে খুনের বদলা খুন অথবা রক্ত বিনিময় প্রথা চালু ছিল। অন্ধকার যুগের অহেতুক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের নজির আরব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। তন্মধ্যে বুয়াসের যুদ্ধ, ফিজার যুদ্ধ ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে।উট, ঘোড়দৌড়, পবিত্র মাসের অবমাননা, কুৎসা রটনা করে ইত্যাদি ছিল এ সকল যুদ্ধের মূল কারণ। বেদুইন গণ উত্তেজনাপূর্ণ কবিতা পাঠ করে যুদ্ধের ময়দানে রক্ত প্রবাহের মেতে উঠতো। এ সকল অন্যায় যুদ্ধে জানমালের বিপুল ক্ষতি সাধিত হতো । যুদ্ধপ্রিয় গোত্রগুলোর মধ্যে আউস, খাজরাজ, কুরাইশ, বানু বকর,বানু তাগলিব,আবস ও জুবিয়ান ছিল প্রধান।

প্রাক আরবের ধর্মীয় বিশ্বাসঃ

জাহেলিয়া যুগে আরবদের ধর্মীয় অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। আরবে তখন অধিকাংশ লোক হয়েছিল জড়বাদী পৌত্তলিক। তারা ধর্ম ছিল প্রচলিত এবং বিশ্বাস ছিল আল্লাহর পরিবর্তে অদৃশ্য শক্তির কুহেলিকাপূর্ন ভয়ভীতিতে।তারা বিভিন্ন জড়বস্তুর উপসনা করত। চন্দ্র, সূর্য, তারকা, এমনকি বৃক্ষ, প্রস্তরখন্ড,কূপ,গুহাকে পবিত্র মনে করে তার পূজা করত।প্রকৃতি পূজা ছাড়াও তারা বিভিন্ন মূর্তির পূজা করত। মূর্তিগুলোর গঠন ও আকৃতি পূজারীদের ইচ্ছানুযায়ী তৈরি করা হতো।পৌত্তলিক আরবদের প্রত্যেক শহর বা অঞ্চলের নিজস্ব দেবীর মধ্যে অন্যতম ছিল আল লাত, আল মানাহ ও আল উজ্জা।

আল লাত ছিল তায়েফের অধিবাসীদের দেবী, যা চারকোনা এক পাথর। কালো পাথরের তৈরি আল-মানাহ ভাগ্যের দেবী। এ দেবীর মন্দির ছিল মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী কুদায়েদ স্থান। মদিনা আরাউজো খাজরাজ গোত্রের লোকেরা এ দেবীর জন্য বলি দিত এবং দেবী কে সম্মান করতো। না খালা নামক স্থানে অবস্থিত মক্কাবাসীদের অতিপ্রিয় দেবী আল উজ্জাকে কুরাইশগণ খুব শ্রদ্ধা করত। আরব দেশের বিভিন্ন গোত্রের দেব দেবীর পূজার জন্য মন্দির ছিল। এমনকি কাবার পবিত্র কাবা গৃহেও ৩৬০ টি দেবদেবীর মূর্তি ছিল। কাবাঘরের রক্ষিত মূর্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মূর্তি বা দেবতার নাম ছিল হোবল। এটি মনুষ্যকৃত ছিল- এর পাশে ভাগ্যগণনার জন্য শর রাখা হতো।

প্রাক আরবের সাংস্কৃতিক অবস্থাঃ

বর্তমান যুগের ন্যায় প্রাক ইসলামী যুগে আরবের বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষা ও সংস্কৃতি না থাকলে ও আরবরা সাংস্কৃতিক জীবন হতে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিল না। তাদের ভাষা এত সমৃদ্ধ ছিল যে আধুনিক ইউরোপের উন্নত ভাষাগুলোর সাথে তুলনা করা যায়।

কবিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চেতনাঃ

প্রাক ইসলামী যুগে লিখন প্রণালি তেমন উন্নতি হয়নি বলে আরবগণ তাদের রচনা বিষয়বস্তু গুলো মুখস্ত করে রাখত।তাদের স্মরণ শক্তি ছিল খুব প্রখর তারা মুখে কবিতা পাঠ করে শোনাতো।কবিতার মাধ্যমে তাদের সাহিত্য প্রতিভা প্রকাশ পেত। এজন্য লোক-গাথাঁ,জনশ্রুতি উপর নির্ভর করে পরবর্তীকালে আরব জাতির ইতিহাস লিখিত হয়েছে।

উকাজের সাহিত্য মেলাঃ

প্রাক ইসলামী যুগে আরবদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল তাদের বাগ্মিতা।জীহ্বার অপুরন্ত বাচন শক্তির অধিকারী প্রাচীন আরবের কবিরা মক্কার অদূরে উকাজের বাৎসরিক মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন।উকাজের বাৎসরিক সাহিত্য সম্মেলনে পঠিত সাতটি ঝুলন্ত কবিতাকে সাবা আল মু’আল্লাকাত বলা হয়। হিট্টি উকাজের মেলাকে আরবের Academic Francaise বলে আখ্যায়িত করেন। সোনালী হরফে লিপিবদ্ধ এ সাতটি কাব্যের রচনা করেন- আমর ইবনে কুলসুম, লাবিছ ইবনে রাবিয়া,আনতারা ইবনে শাদদাদ, ইমরুল কায়েস,তারাফা ইবনে আবদ,হারিছ ইবনে হিলজা, জুহাইর ইবনে আবি সালমা।

সাহিত্য আসরের আয়োজনঃ

তৎকালীন আরবের সাহিত্যচর্চায় আরবদের আগ্রহ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।অনেক সাহিত্যমোদী আরব নিয়মিত সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন।সাহিত্য আসরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তাকিব গোত্রের ইবনে সালাম এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতি সপ্তাহে তিনি একটি সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন।এর সমস্ত সাহিত্য আসর এর কবিতা পাঠ সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা ও সমালোচনা অনুষ্ঠিত হতো।

প্রাক ইসলামী যুগের উৎকৃষ্ট গুণাবলী ও দৃষ্টিভঙ্গিঃ

মরুভূমিতে রাত্রি ‘ভীতি সংকুল ভুত-প্রেত দৈত্য-দানবের আনাগোনা’ এ সাধারণ বিশ্বাস মরুভূমির বিপদ হতে পথিককে রক্ষা করার জন্য আরবদের মধ্যে অতিথিপরায়ণতা বিকশিত করেছিল। মরুভূমি অনুর্বর ওপর ও পর্বতঅঞ্চলের আরব সমাজ গোত্রভিত্তিক ছিল।গোত্র নিরাপত্তা ও বহিরাক্রমণের ভয়ে তাদেরকে গোত্র প্রিয় করে তুলেছিল। এ গোত্রপ্রীতি তাদের মধ্যে জন্ম দেয় মনুষত্ব, আত্মসংযম, স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের।শেখ এর নিকট সকল নাগরিকের অধিকার সমান। এরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতর ধর্মকর্মে তাদের শিথিলতা পরিলক্ষিত হওয়ায় স্বাভাবিক।আরব ভূখন্ডের অনুদান পরিবেশ, খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব, নির্দিষ্ট চলাচলের পথ না থাকায় বৈদেশিক আক্রমণের হাত থেকে আরববাসীর সবসময় নিরাপদ থেকেছে।

ভৌগোলিক প্রভাবের কারণে শহরবাসী আরব ও মরুবাসীদের মধ্যে আত্ম সচেতনতা ও কাব্যিক চেতনার উন্মেষ ঘটে। আরববাসীরা ছিল কাব্যের প্রতি অধিক মাত্রায় অনুরক্ত। গীতিকাব্য রচনা ও সাহিত্য চর্চায় আরবদের অপূর্ব সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। আরব কবিগণ ভৌগোলিক পরিবেশের যে কাব্য রচনা করেন তা সংঘাত, অদম্য সাহসিকতা, বীরত্ব, গোত্রপ্রীতি ও প্রেম সম্পর্কিত।

 Download From Google Drive

Download

 Download From Yandex

Download

👀 প্রয়োজনীয় মূর্হুতে 🔍খুঁজে পেতে শেয়ার করে রাখুন.! আপনার প্রিয় মানুষটিকে “send as message”এর মাধ্যমে শেয়ার করুন। হয়তো এই গুলো তার অনেক কাজে লাগবে এবং উপকারে আসবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here