নবম -দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ৪: সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল | সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতি

নবম -দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ৪: সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল

এই নোট টির ডাউনলোড লিংক পোস্টের নিচে পাবেন

সৌরজগৎ

সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলে সৌরজগৎ। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র হল সূর্য। সৌরজগতে ৮ টি গ্রহ, ৪৯ টি উপগ্রহ, হাজার হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ এবং লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে।

সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ামক হল সূর্য। গ্রহ ও উপগ্রহসমূহ সূর্য এবং নিজেদের পারস্পরিক মহাকর্ষণ শক্তির দ্বারা আকৃষ্ট হোয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে।

 

সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলে সৌরজগৎ। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র হল সূর্য। সৌরজগতে ৮ টি গ্রহ, ৪৯ টি উপগ্রহ, হাজার হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ এবং লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে।

সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ামক হল সূর্য। গ্রহ ও উপগ্রহসমূহ সূর্য এবং নিজেদের পারস্পরিক মহাকর্ষণ শক্তির দ্বারা আকৃষ্ট হোয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সময় নির্ণয় পদ্ধতি

পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পূর্ব-পশ্চিমে এবং উত্তর-দক্ষিণে কতকগুলো কাল্পনিক রেখা অঙ্কন করা হয়। এগুলোকে যথাক্রমে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা বলে। কোনো স্থানের অবস্থান অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে জানা যায়। দ্রাঘিমার অবস্থান থেকে কোনো স্থানের সময় জানা যায়। অক্ষরেখার সাহায্যে যেমন নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণে অবস্থান জানা যায়, তেমনি মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থান জানার জন্য মধ্যরেখা বা দ্রাঘিমারেখা ব্যবহার করা হয়। ভূপৃষ্ঠকে সমতল মনে হলেও পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে অভিগত গোলক। তাই পৃথিবী গোলাকার বলে মূল মধ্যরেখা থেকে দূরত্ব কৌণিক মাপে প্রকাশ করা সুবিধাজনক।

 

পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পূর্ব-পশ্চিমে এবং উত্তর-দক্ষিণে কতকগুলো কাল্পনিক রেখা অঙ্কন করা হয়। এগুলোকে যথাক্রমে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা বলে। কোনো স্থানের অবস্থান অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে জানা যায়। দ্রাঘিমার অবস্থান থেকে কোনো স্থানের সময় জানা যায়। অক্ষরেখার সাহায্যে যেমন নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণে অবস্থান জানা যায়, তেমনি মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থান জানার জন্য মধ্যরেখা বা দ্রাঘিমারেখা ব্যবহার করা হয়। ভূপৃষ্ঠকে সমতল মনে হলেও পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে অভিগত গোলক। তাই পৃথিবী গোলাকার বলে মূল মধ্যরেখা থেকে দূরত্ব কৌণিক মাপে প্রকাশ করা সুবিধাজনক।

পৃথিবীর গতি

আমরা লক্ষ করেছি যে, প্রতিদিন সূর্য পূর্বদিকে উঠে এবং পশ্চিমে অস্ত যায়। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি কেন এমনটা হয়? এর কারণ পৃথিবী গতিশীল। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সূর্যকে সম্মুখে রেখে পৃথিবী নিজ অক্ষে আবর্তন ও নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। এটিই পৃথিবীর গতি। পৃথিবীর গতি দুই প্রকার- আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি।

 

আমরা লক্ষ করেছি যে, প্রতিদিন সূর্য পূর্বদিকে উঠে এবং পশ্চিমে অস্ত যায়। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি কেন এমনটা হয়? এর কারণ পৃথিবী গতিশীল। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সূর্যকে সম্মুখে রেখে পৃথিবী নিজ অক্ষে আবর্তন ও নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। এটিই পৃথিবীর গতি। পৃথিবীর গতি দুই প্রকার- আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি।

জোয়ার-ভাটা

পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ছাড়াও পানিরাশির নিজস্ব গতি আছে। এর ফলে প্রতিদিনই কিছু সময় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে, (উচ্চতা বৃদ্ধি পায়) আবার কিছু সময়ের জন্য তা থেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে নিয়মিতভাবে ফুলে উঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। পৃথিবীর নিজের গতি এবং তার উপর চন্দ্র ও সূর্যের প্রভাবেই মূলত জোয়ার ভাটা সংগঠিত হয়। জোয়ার ভাটার নানা শ্রেণি রয়েছে, তাছাড়া পৃথিবীর উপরও জোয়ার ভাটা নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ছাড়াও পানিরাশির নিজস্ব গতি আছে। এর ফলে প্রতিদিনই কিছু সময় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে, (উচ্চতা বৃদ্ধি পায়) আবার কিছু সময়ের জন্য তা থেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে নিয়মিতভাবে ফুলে উঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। পৃথিবীর নিজের গতি এবং তার উপর চন্দ্র ও সূর্যের প্রভাবেই মূলত জোয়ার ভাটা সংগঠিত হয়। জোয়ার ভাটার নানা শ্রেণি রয়েছে, তাছাড়া পৃথিবীর উপরও জোয়ার ভাটা নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

বুধ

বুধ সৌরজগতের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ। এর ব্যাস ৪৮৫০ কিলোমিটার এবং ওজন পৃথিবীর ৫০ ভাগের ৩ ভাগের সমান। সূর্যের চারদিক পরিক্রমণ করতে এর ৮৮ দিন সময় লাগে। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ৫.৮ কিলোমিটার । বুধের কোনো  উপগ্রহ নেই । সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে এর তাপমাত্রা অত্যাধিক ।

কেন্দ্রমন্ডল

গুরুমন্ডলের নিম্নভাগ থেকে পৃথিবীর  কেন্দ্র  পর্যন্ত  বিস্তৃত স্তরকে কেন্দ্রমন্ডল বলে।  এ স্তর প্রায় ৩,৪৮৬ কিলোমিটার পুরু। কেন্দ্রমন্ডল পৃথিবীর মোট আয়তনের পায় ১৬ ভাগ এবং এর ওজনের পায় এক তৃতীয়াংশ । এ স্তরের চাপ পৃথিবীপৃষ্ঠের বায়ুচাপের চেয়ে কয়েক লক্ষ গুণ বেশি এবং তাপমাত্রা প্রায় ৩০০০ থেকে ৫০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভূকম্পন তরঙ্গের সাহায্যে জানা যায় যে, কেন্দ্রমন্ডলের একটি তরল বহিরাবরণ আছে যা ১,২১৬ কিলোমিটার  পুরু।  বৈজ্ঞানিকদের মতে, এ স্তরটি  লৌহ,  নিকেল, পারদ, সিসা প্রভৃতি পদার্থ দিয়ে গঠিত। তবে প্রধান দুটি উপাদান নিকেল (Ni) এবং লোহা (Fe) বেশি থাকায় এ স্তরটি নিফে (NiFe) নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় যে,  প্রচন্ড তাপ ও চাপে এ স্তরটি  স্থিতিস্থাপক ও চটচটে অবস্থায় রয়েছে।

ভূত্বক

পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময় বাষ্পীয় অবস্থায় ছিল।  কোটি কোটি বছরের ঘূর্ণনের মধ্যদিয়ে তাপ বিকিরণ করতে করতে পৃথিবীর শীতল ও ঘনীভূত হতে বহু বছর লেগেছে। এভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে কঠিন আবরণের সৃষ্টি হয় । আর এ কঠিন আবরণই ভূত্বক। পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন হলেও অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায়  রয়েছে । উত্তপ্ত  পদার্থ শীতল হলে সংকুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত সংকুচিত হওয়ার ফলে পাতলা আবরণের উপরিভাগ কুচকে উুঁচ -নিচু  বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়েছে । ভূপৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সাগর ও মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে।  আর পানির উপরের অংশ হয় মহাদেশ।

সূর্য

সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ামক হল সূর্য। সূর্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়। পৃথিবী থেকে সূর্য প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর ব্যাস প্রায় ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিরাট দূরত্বের জন্য সূর্যের অতি সামান্য তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সূর্যের কোন কঠিন বা তরল পদার্থ নেই। শতকরা ৫৫ ভাগ হাইড্রোজেন, শতকরা ৪৪ ভাগ হিলিয়াম এবং ১ ভাগ অন্যান্য গ্যাসে সূর্য গঠিত। সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে সৌরকলঙ্ক বলে।সূর্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে সৌরকলঙ্কের উত্তাপ কিছুটা কম। আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় সূর্যে অনবরত হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম এবং হিলিয়াম থেকে শক্তি তৈরি হচ্ছে। সূর্য প্রায় ২৫ দিনে নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তন করে এবং বৃহৎ বৃত্তাকার পথে প্রায় ২০ কোটি বছরের ব্যবধানে আপন গ্যালাক্সির চারদিকে পরিক্রমণ করে।

শুক্র

সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে শুক্রের অবস্থান দ্বিতীয় এবং এটি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব ১০.৮ কোটি কিলোমিটার এবং পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪.৩ কোটি কিলোমিটার। শুক্র গ্রহটিকে সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে আমরা সন্ধ্যাতারা রূপে এবং ভোরে পূর্ব আকাশে শুকতারা রূপে দেখতে পাই। সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে এর সময় লাগে ২২৫ দিন। শুক্রের কোন উপগ্রহ নেই। পৃথিবীর মত শুক্রের একটি বায়ুমণ্ডল রয়েছে কিন্তু এতে অক্সিজেন নেই। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় শতকরা ৯৬ ভাগ। শুক্র নিজ অক্ষে খুবই ধীর গতিতে আবর্তন করে। ফলে শুক্রের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয় এবং অস্ত যায়। গ্রহটিতে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘন মেঘের কারণে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে। শুক্রের পৃষ্ঠে পৃথিবীর তুলনায় ৯০ গুণ বেশি বাতাসের চাপ রয়েছে।

পৃথিবী

পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। পৃথিবীর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২ বর্গ কিলোমিটার। পূর্ব-পশ্চিমে এর ব্যাস ১২,৭৫২ কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ১২,৭০৯ কিলোমিটার। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিমি। পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেণ্ডে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ গ্রহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন রয়েছে। পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ১৩.৯০° সেলসিয়াস। ভূ ত্বকে প্রয়োজনীয় পানি রয়েছে। গ্রহগুলোর মধ্যে একমাত্র পৃথিবীই বসবাসের জন্য উপযোগী। চন্দ্র পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দূরত্ব ৩৮১৫০০ কিলোমিটার। এটি ২৯ দিন ১২ ঘণ্টায় পৃথিবীকে একবার পরিক্রমণ করে।

মঙ্গল

সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে পৃথিবীর পরই মঙ্গলের অবস্থান। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার এবং পৃথিবী থেকে ৭.৮ কোটি কিলোমিটার। মঙ্গল গ্রহের ব্যাস ৬৭৮৭ কিমি এবং ওজন পৃথিবীর প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগ। সূর্যকে পরিক্রমণ করতে মঙ্গলে গ্রহের লাগে ৬৮৭ দিন এবং নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। মঙ্গলের ২ টি উপগ্রহ আছে। ডিমোস ও ফেবোস। এখানে জীবন ধারণ অসম্ভব। বায়ুমণ্ডলের শতকরা ৩ ভাগ নাইট্রোজেন ও ২ ভাগ আরগন গ্যাস আছে। পানির পরিমাণ খুবই কম। পৃথিবীর তুলনায় অনেক ঠাণ্ডা, গড় উত্তাপ হিমাঙ্কের অনেক নিচে। মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এ গ্রহের পাথরগুলোতে মরচে ধরেছে, ফলে গ্রহটি লালচে বর্ণ ধারণ করেছে।

বৃহস্পতি

সৌরজগতের সর্ব্বৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি। সূর্য থেকে দূরত্বের ভিত্তিতে এটি পঞ্চম স্থানে। এর আয়তন পৃথিবী প্রায় ১৩০০ গুণ। এর ব্যাস ১৪২৮০০ কিলোমিটার। এটি সূর্য থেকে ৭৭.৮ কোটি কিমি দূরে অবস্থিত। বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে এবং ৯ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে। এই গ্রহটিতে পৃথিবীর একদিনে দুইবার সূর্য উঠে এবং দুইবার সূর্য অস্ত যায়। এ গ্রহে গভীর বায়ুমণ্ডল রয়েছে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক। এর ১৬ টি উপগ্রহ রয়েছে। এদের মধ্যে লো, ইউরোপা, গ্যানিমেড ও ক্যালিস্টো প্রধান।

শনি

শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে শনির দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলোমিটার। শনি ২৯ বছর ৫ মাসে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে এবং ১০ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে। শনি পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ গুণ বড় এবং খালি চোখে এটি দেখা যায়। শনির বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ, মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস রয়েছে। তিনটি উজ্জ্বল বলয় শনিকে বেষ্টন করে আছে। শনির ২২ টি উপগ্রহের মধ্যে ক্যাপিটাস, টেথিস, হুয়া, টাইটান ইত্যাদি প্রধান।

ইউরেনাস

ইউরেনাস তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২৮৭ কোটি কিমি। ৮৪ বছরে এটি সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এর গড় ব্যাস প্রায় ৪৯,০০০ কিলোমিটার। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ৬৪ গুণ এবং ওজন পৃথিবীর মাত্র ১৫ গুণ। গ্রহটির আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অত্যধিক। এর ৫টি উপগ্রহ রয়েছে। ইউরেনাসের মত শনিরও বলয় আবিষ্কৃত হয়েছে। মিরিণ্ডা, এরিয়েল, ওবেরন, আম্ব্রিয়েল, টাইটানিয়া প্রভৃতি ইউরেনাসের উপগ্রহ।

নেপচুন

নেপচুনের গড় ব্যাস ৪৮৪০০ কিমি এবং সূর্য থেকে দূরত্ব ৪৫০ কোটি কিমি। সূর্য হতে অধিক দূরত্বের কারণে গ্রহটি শীতল। গ্রহটি অনেকটা নীলাভ বর্ণের। নেপচুন ১৬৫ বছরে সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করে। এর উপগ্রহ ২টি- ট্রাইটন ও নেরাইড।

ট্রপোমন্ডল

ট্রপোমন্ডল ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর বা বায়ুমণ্ডলের নিম্ন স্তর। এ স্তরটির গড় গভীরতা প্রায় ১৩ কিমি। ট্রপোমন্ডলের উর্ধ্বসীমাকে ট্রপোপস বলে। ট্রপোপসের গভীরতা সরু, এখানে বায়ু স্থির এবং ঝড় বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব না থাকায় বিমান এ স্তর দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করে।

ওজোনস্তর

বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের একটি স্তর আছে যা ওজোন স্তর নামে পরিচিত। এর গড় গভীরতা প্রায় ১২-১৬ কিমি।সূর্যরশ্মির অতিবেগুণি রশ্মি শোষণ করায় এর তাপমাত্রা প্রায় ৭৬°​ সেলসিয়াস।

শিলামণ্ডল

গুরুমণ্ডলের উর্ধ্বাংশের শিলা কঠিন ও ভঙ্গুর, যা প্রায় ১০০ কিমি গভীর। ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের উর্ধ্বাংশ ১০০ কিমি পর্যন্ত পুরু এ স্তরকে একত্রে শিলামণ্ডল বা অশ্বমণ্ডল বলে।ভূ-ত্বকের উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অশ্বমন্ডল।

দ্রাঘিমা রেখা

নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রী, মিনিট, সেকেণ্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে। প্রত্যেকটি দ্রাঘিমা রেখার দৈর্ঘ্য সমান। সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০° হয়।১ ডিগ্রী দ্রাঘিমান্তরে ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়।

কারণ

বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ মনে করেন যে, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর উপর চন্দ্র সূর্যের আকর্ষণের জোয়ার ভাটা হয়।

২৩ সেপ্টেম্বর

২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। সেজন্য এ তারিখের দেড়মাস পূর্ব থেকে দেড়মাস পর পর্যন্ত মোট তিন মাস উত্তাপ মধ্যম ধরণের হয়।

.২২ ডিসেম্বর

২২ ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ দিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়।ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছোট হয়।

২১ মার্চ

২১ মার্চ তারিখে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সমান দূরত্বে থাকে। এই দিন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সর্বত্র দিন রাত্রি সমান হয়।

ঋতু পরিবর্তন

সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবী সবসময় ৬৬.৫ ডিগ্রী কোণে হেলে ঘুরে। ফলে বিভিন্ন স্থানে সূর্যরশ্মি পতনে কৌণিক তারতম্য ঘটে এবং ঋতু পরিবর্তিত হয়। পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য ৯৩৮০৫১৮২৭ কিমি। পৃথিবীর এ কক্ষপথ উপবৃত্তাকার বলে পরিক্রমণকালে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সমান থাকে না। জানুয়ারির ১ থেকে ৩ তারিখ সূর্য পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে থাকে। একে পৃথিবীর অনুসূর (Perihelion) বলে। আবার জুলাই এর ১ থেকে ৪ তারিখে সূর্য পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে থাকে। একে পৃথিবীর অপসূর (Aphelion) বলে।

জোয়ার ভাটার ব্যবধান

পৃথিবী যেমন নিজ মেরুদণ্ডের উপরে পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে চন্দ্র্রও পৃর্থিবীর চারদিকে পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে পরিক্রমণ করে। চন্দ্র নিজ কক্ষপথে ২৭ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। ফলে পৃথিবীর আবর্তনকালে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় চন্দ্র (৩৬০*২৭) বা ১৩° পথ অতিক্রম করে। পৃথিবী ও চন্দ্র উভয়ই যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে তাই পৃথিবী উক্ত ১৩° পথ আরও (১৩*৪)=৫২ মিনিটে অগ্রসর হয়।

সিউল

সিউল ঢাকার পূর্বে অবস্থিত বলে এর দ্রাঘিমা বেশি হবে।

ঢাকা ও সিউলের সময়ের ব্যবধান ২ ঘণ্টা ৩২ মিনিট= ১৫২ মিনিট

৪’ সময় ব্যবধানে দ্রাঘিমার ব্যবধান হয় ১°

১’ সময়ের ব্যবধানে দ্রাঘিমার ব্যবধান হয় (১/৪)°

১৫২’ সম্ য় ব্যবধানে দ্রাঘিমার ব্যবধান হয় (১x১৫২/৪)°= ৩৮°

অতএব সিউলের দ্রাঘিমা= (৯০+৩৮)=১২৮°

সিউলের দ্রাঘিমা ১২৮° পূর্ব।

তারিখ রেখা

কোন নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে ভ্রমণ করার সময় স্থানীয় সময়ের পার্থক্যের সাথে সাথেস্পতাহের শেষদিন বা বার নিয়েও গরমিল হয়। কোন নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করলে সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখাকে অতিক্রম করলে সমস্যা দেখা যাবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখাকে অবলম্বন করে সম্পূর্ণভাবে জলভাগের উপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত একটি রেখা কল্পনা করা হয়। এ কল্পিত রেখাকে ‘আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা’ বলে।

প্রমাণ সময়

দ্রাঘিমারেখার উপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২ ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট হয়। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোন স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে। যেমন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের চারটি এবং কানাডাতে পাঁচটি প্রমাণ সময় র‍্য়েছে। গ্রিনিচের স্থানীয় সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রমাণ সময় গ্রিনিচ অপেক্ষা ৬ ঘণ্টা অগ্রবর্তী।

ব্যবধান

পৃথিবী যেমন নিজ মেরুদণ্ডের উপর পশ্চিম হতে পূর্বদিকে আবর্তন করছে চন্দ্রও তেমনি পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে পৃথিবীর চারদিকে পরিক্রমণ করে। চন্দ্র নিজ কক্ষপথে ২৭ দিনে একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ফলে পৃথিবীর একবার আবর্তনকালে অর্থাৎ প্রায় ২৪ ঘণ্টায় চন্দ্র (৩৬০x২৭) বা ১৩° পথ অতিক্রম করে। পৃথিবী ও চন্দ্র উভয়ই যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে তাই পৃথিবী উক্ত ১৩° পথ আরো ৫২ মিনিট অগ্রসর হয়। তাই কোন নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট একটি সময়ে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট পর সেখানে গৌণ জোয়ার এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। তাই প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর ভাটা হয়ে থাকে।

সপ্তমী

অমাবস্যা তিথিতে সূর্য এবং চন্দ্র পৃথিবীর এক পাশে অবস্থান করে এবং পূর্নিমা তিথিতে পৃথিবীর এক পাশে চাঁদ এবং এক পাশে সূর্য অবস্থান করে। তাই এ দুই তিথিতে উভয়ের মিলিত আকর্ষণে যে জোয়ার সৃষ্টি হয় তাকে ভরা কটাল বা তেজ কটাল বলে।

সপ্তমী এবং অষ্টমী তিথিতে পৃথিবী এবং চন্দ্র সমকোণে অবস্থান করে। তাই চন্দ্রের আকর্ষণে চন্দ্রের দিকে জোয়ার হলেও সূর্যের আকর্ষণে এ জোয়ারের বেগ প্রবল হয় না। একে মরা কটাল বলে। এক মাসে দুইবার ভরা কটাল এবং দুইবার মরা কটাল হয়।

ছায়াবৃত্ত

পৃথিবীর আলোকিত এবং অন্ধকার অংশের মধ্যবর্তী বৃত্তাকার অংশকে ছায়াবৃত্ত বলে। আবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশ অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত পার হয়ে সবেমাত্র আলোকিত অংশ পৌঁছায় সেখানে প্রভাত হয়। প্রভাতের কিছু পূর্বে যে সময় ক্ষীণ আলো থাকে সেখানে ঊষা এবং সন্ধ্যার কিছু পূর্বে যে সময় ক্ষীণ আলো থাকে সে সময়কে গোধূলি বলে।

প্রতিপাদ

ভূ পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোন বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ বিন্দু বলে। প্রতিপাদ স্থান সম্পূর্ণরূপে একে অন্যের বিপরীতে থাকে। প্রতিপাদ স্থান নির্ণয় করার জন্য ভূ পৃষ্ঠের কোন বিন্দু থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে একটি কল্পিত রেখা পৃথিবীর ঠিক বিপরীত দিকে টানা হয়। ঐ কল্পিত রেখা যে বিন্দুতে ভূ পৃষ্ঠের বিপরীতে এসে পৌঁছায় সেই বিন্দুই পূর্ব বিন্দুর প্রতিপাদ বিন্দু।

বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ৪ এর বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পিডিএফ ডাউনলোড

১. সূর্যকে নিয়ন্ত্রক বলা হয় –
i. গ্রহের
ii. উপগ্রহের
iii. নক্ষত্রের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

২. গুরুমন্ডলের ঊর্ধ্বাংশের শিলা –
i. কঠিন ও ভঙ্গুর
ii. প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীর
iii. উত্তপ্ত ও গলিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

৩. অক্ষাংশ পরিমাপের একককে কী বলে?
ক) রেডিয়ান
খ) মিনিট
গ) ডিগ্রি
ঘ) মিটার
সঠিক উত্তর: (গ)

৪. সূর্য পৃথিবী থেকে দূরে অবস্থান করলে সেই অবস্থাকে কী বলে?
ক) অপসূর
খ) অনসূর
গ) দক্ষিণায়ন
ঘ) উত্তরায়ণ
সঠিক উত্তর: (ক)

৫. সমু্দ্রের পানিরাশি অনেক উঁচু নিচু হয় কোন অংশে?
ক) উপরিভাগে
খ) মধ্যভাগে
গ) অভ্যন্তরভাগে
ঘ) উপকূলের নিকটে
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৬. কোন যন্ত্রের সাহায্যে মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থান থেকে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অক্ষাংশ নিরূপণ করা যায়?
ক) সেক্সট্যান্ট যন্ত্র
খ) ক্রনোমিটার ঘড়ি
গ) দিগন্ত রেখা
ঘ) সূর্যের ছায়া
সঠিক উত্তর: (ক)

৭. দ্রাঘিমারেখার বিকল্প নামটি কী?
ক) সমাক্ষরেখা
খ) মধ্যরেখা
গ) নিম্নরেখা
ঘ) অক্ষরেখা
সঠিক উত্তর: (খ)

৮. মহাকাশের অসংখ্য জ্যোতিষ্কের সমন্বয়ে কী সৃষ্টি হয়েছে?
ক) সৌরজগৎ
খ) বিশ্বজগৎ
গ) পৃথিবী
ঘ) জ্যোতিষ্কমন্ডল
সঠিক উত্তর: (খ)

৯. মূলমধ্যরেখার মান কত?
ক) ০ ডিগ্রি
খ) ২৩.৫ ডিগ্রি
গ) ৬৬.৫ ডিগ্রি
ঘ) ৯০ ডিগ্রি
সঠিক উত্তর: (ক)

১০. কোন রেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্ব স্থির করা হয়?
ক) নিরক্ষরেখা
খ) মেরুরেখা
গ) মূলমধ্যরেখা
ঘ) সমাক্ষরেখা
সঠিক উত্তর: (খ)

১১. পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে এর কেন্দ্র পর্যন্ত কয়টি স্তরে ভাগ করা যায়?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: (খ)

১২. দৈনিক কয়বার জোয়ার-ভাটা হয়?
ক) একবার
খ) দুইবার
গ) তিনবার
ঘ) চারবার
সঠিক উত্তর: (খ)

১৩. পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখার উত্তর প্রান্তবিন্দুকে কী বলে?
ক) সুমেরু
খ) মেরুবিন্দু
গ) কুরিবিন্দু
ঘ) কুমেরু
সঠিক উত্তর: (ক)

১৪. ‘টাইটানিয়া’ কোন গ্রহের একটি উপগ্রহ?
ক) ইউরেনাস
খ) শনি
গ) মঙ্গল
ঘ) বৃহস্পতি
সঠিক উত্তর: (ক)

১৫. নিচের কোনটি সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ?
ক) মঙ্গল
খ) নেপচুন
গ) পৃথিবী
ঘ) বুধ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৬. মঙ্গল গ্রহের মোট কয়টি উপগ্রহ রয়েছে?
ক) একটি
খ) দুইটি
গ) পাঁচটি
ঘ) ষোলটি
সঠিক উত্তর: (খ)

১৭. সময়ের হিসাব করতে হলে দ্রাঘিমা জানা বিশেষ জরুরি। এর মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন স্থানীয় এবং প্রমাণ সময় জানতে এবং তুলনা করতে পারি। যেমন –
i. গ্রিনিচের দ্রাঘিমা শূন্য (০) ডিগ্রি
ii. পৃথিবীর পরিধি দ্বারা উৎপন্ন কোণ ৩৬০ ডিগ্রি
iii. ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের ব্যবধান হয় ৪ মিনিট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৮. চন্দ্র নিজ কক্ষপথে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে চন্দ্রের কতদিন সময় লাগে?
ক) ১৫ দিন
খ) ২৫ দিন
গ) ২৭ দিন
ঘ) ৩০ দিন
সঠিক উত্তর: (গ)

১৯. নেপচুন গ্রহটি কেমন?
ক) গরম
খ) শীতল
গ) সামান্য গরম
ঘ) নাতিশীতোষ্ণ
সঠিক উত্তর: (খ)

২০. ট্রপোমন্ডলে কিসের উপস্থিতি দেখা যায়?
ক) আর্দ্রতা, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
খ) কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টি
গ) হিলিয়াম, কার্বন ডাইঅক্সাইড
ঘ) আরগন, হিলিয়াম, নাইট্রোজেন
সঠিক উত্তর: (খ)

২১. শনির বায়ুমন্ডলে রয়েছে –
i. হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ
ii. অ্যামোনিয়া ও মিথেন
iii. কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

২২. বাংলাদেশের প্রমাণ সময় ও গ্রিনিচের সময়ের পার্থক্য কত?
ক) ১২ ঘন্টা আগে
খ) ৬ ঘন্টা পরে
গ) ৬ ঘন্টা আগে
ঘ) ৮ ঘন্টা পরে
সঠিক উত্তর: (ক)

২৩. শনি গ্রহটি পৃথিবী অপেক্ষা কত গুণ বড়?
ক) প্রায় ৮ গুণ
খ) প্রায় ৯ গুণ
গ) প্রায় ১০ গুণ
ঘ) প্রায় ১১ গুণ
সঠিক উত্তর: (খ)

২৪. পৃথিবীর কক্ষপথটি দেখতে কেমন?
ক) বৃত্তাকার
খ) ত্রিভুজাকৃতির
গ) উপবৃত্তাকৃতির
ঘ) চতুর্ভুজাকৃতির
সঠিক উত্তর: (গ)

২৫. সৌরবছর গণনা করা হয় কত দিনে?
ক) ৩৬৪ দিনে
খ) ৩৬৫ দিনে
গ) ৩৬৬ দিনে
ঘ) ৩৬৭ দিনে
সঠিক উত্তর: (খ)

২৬. পৃথিবীর দিন-রাত্রি সমান হওয়াকে কী বলে?
ক) শারদ বিষুব
খ) বাসন্ত বিষুব
গ) উত্তর অয়নান্ত
ঘ) দক্ষিণ অয়নান্ত
সঠিক উত্তর: (ক)

২৭. উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট রাত কোনটি?
ক) ২১ মার্চ
খ) ২১ জুন
গ) ২৩ সেপ্টেম্বর
ঘ) ২২ ডিসেম্বর
সঠিক উত্তর: (খ)

২৮. যে গ্রহগুলোর বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেন রয়েছে সেগুলো হলো –
i. মঙ্গল
ii. শনি
iii. পৃথিবী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

২৯. পৃথিবীর গতিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক) দুই
খ) তিন
গ) চার
ঘ) পাঁচ
সঠিক উত্তর: (ক)

৩০. পৃথিবী তার অক্ষ থেকে চারদিকে দ্রুতবেগে ঘোরায় তার পৃষ্ঠ থেকে পানিরাশির চতুর্দিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতাকে কী বলে?
ক) জোয়ার
Οখ) অভিকর্ষ শক্তি
গ) মহাকর্ষণ শক্তি
ঘ) কেন্দ্রাতিগ শক্তি
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩১. বুধ গ্রহের ভূত্বকে কী দেখা যায়?
ক) অসংখ্য গর্ত ও পাহাড়
খ) অসংখ্য কালো দাগ
গ) বহমান নদীর ধারা
ঘ) মানব বসতির চিহ্ন
সঠিক উত্তর: (ক)

৩২. ইউরেনাসের ওজন পৃথিবী থেকে কত গুণ বেশি?
ক) ১২
খ) ১৩
গ) ১৪
ঘ) ১৫
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩৩. কোন তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত উত্তাপ মধ্যম হয়ে থাকে?
ক) ২১ জুন
খ) ২৩ সেপ্টেম্বর
গ) ২২ ডিসেম্বর
ঘ) ৩০ জুলাই
সঠিক উত্তর: (খ)

৩৪. কোনো স্থানের সময় বেলা ২ টা বাজলে তার ১ ডিগ্রি পূর্বের স্থানের সময় কী হবে?
ক) ২ টা ৪ মিনিট
খ) ১২ টা ৫২ মিনিট
গ) ১ টা ৫৬ মিনিট
ঘ) ২ টা ৫৬ মিনিট
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৫. পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে পরিক্রমণ করার কারণে –
i. বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব হয়
ii. মাধ্যাকর্ষণ শক্তির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে
iii. দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের তারতম্য ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৩৬. নেপচুন গ্রহটি কোন বর্ণের?
ক) কালো
খ) গোলাপি
গ) লালচে
ঘ) নীলাভ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩৭. কোনটি বৃহস্পতির উপগ্রহ?
ক) গ্যানিমেড
খ) ডিমোস
গ) টাইটান
ঘ) ফেবোস
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৮. বায়ুর যেসকল উপাদান মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকে সেগুলো হলো –
i. অক্সিজেন
ii. হাইড্রোজেন
iii. নাইট্রোজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৩৯. শুক্রকে কখন আমরা শুকতারা রূপে দেখতে পাই?
ক) সন্ধ্যায়
খ) রাতে
গ) ভোরে
ঘ) বিকেলে
সঠিক উত্তর: (গ)

৪০. নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে কোন দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে?
ক) সুমেরু ও কুমেরুবৃত্ত
খ) কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি
গ) উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ
ঘ) মহাসাগর ও মহাদেশ
সঠিক উত্তর: (গ)

৪১. সূর্যসহ সকল জ্যোতিষ্ক ঘূর্ণায়মান অথচ পৃথিবীর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে তা বোঝা যায় না, কারণ –
i. পৃথিবীর তুলনায় আমরা একটি বিন্দুর মতো
ii. পৃথিবীর সাথে সাথে আমরাও ঘুরি
iii. পৃথিবী বড় আর আমরা ছোট বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৪২. ইউরেনাসের উপগ্রহ কোনটি?
ক) ক্যাপিটাস
খ) এরিয়েল
গ) নেরাইড
ঘ) গ্যানিমেড
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৩. পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে –
i. দিন ও রাতের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে
ii. সূর্যরশ্মি কোথাও লম্ব আবার কোথাও তির্যকভাবে পতিত হয়
iii. পৃথিবীতে তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৪৪. নিরক্ষরেখার অপর নাম কী?
ক) বিষুবরেখা
খ) মেরুরেখা
গ) সমাক্ষরেখা
ঘ) মূল মধ্যরেখা
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৫. সৌরজগতের নিকটতম গ্রহের ব্যাস কত?
ক) ৪,৮৫০ কিলোমিটার
খ) ১২,৬৬৭ কিলোমিটার
গ) ৬,৭৮৭ কিলোমিটার
ঘ) ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৬. পৃথিবীর দিন-রাত্রি সমান হয় কোন তারিখে?
ক) ২৫ জুলাই
খ) ২৯ ফেব্রুয়ারি
গ) ২৩ সেপ্টেম্বর
ঘ) ২৫ মার্চ
সঠিক উত্তর: (গ)

৪৭. পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় কোন তারিখে?
ক) ২২ মার্চ
খ) ২২ ডিসেম্বর
গ) ২৩ সেপ্টেম্বর
ঘ) ১২ নভেম্বর
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৮. কীভাবে পতিত সূর্যরশ্মি অধিক স্থানব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে?
ক) তির্যকভাবে
খ) লম্বভাবে
গ) সরাসরি
ঘ) কোণাকুনিভাবে
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৯. কোন সময়ে সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়?
ক) বর্ষার সময়
খ) শীতের সময়
গ) ভাটার সময়
ঘ) জোয়ারের সময়
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৫০. কোনটির প্রভাবে জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়?
ক) মহাকর্ষণ শক্তির
খ) অভিকর্ষ শক্তির
গ) কেন্দ্রাতিগ শক্তির
ঘ) আণবিক শক্তির
সঠিক উত্তর: (গ)

PDF File Download From Here

📝 সাইজঃ-303 KB 

📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 7

Download From Google Drive

Download

Direct Download 

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here