ঘরে বসে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের সকল সেবা নিন

যারা জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন তারা সংশোধন / ডুপ্লিকেট কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন । যারা ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি পান নি, তারা অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে ডাউনলোড অপশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

যারা ভোটার হয়েছেন, কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাননি, তারা অনলাইনে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এনআইডির কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এই অনলাইন সেবা পেতে ভোটারকে https://services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এসএমএস, অনলাইন ও অন্যান্য মাধ্যমেও সেবা পাওয়া যাবে। করোনাকালে সরকারি ছুটি থাকলেও এই মহামারির সময় যে পাঁচটি সেবা পাওয়া যাবে, তা হলো- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ (ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন, কিন্তু এনআইডি কার্ড পাননি), জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সংগ্রহ, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, হারানো জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন ও নতুন ভোটার নিবন্ধন।

এসএমএস:
ভোটার হয়েছেন, কিন্তু এনআইডি পাননি, তাদের এনআইডি নম্বর পেতে প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে NID লিখে স্পেস দিয়ে ভোটার হওয়ার ফরম নাম্বর লিখে স্পেস দিতে হবে। এরপর জন্ম তারিখ (দিন-মাস-বছর) লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে এনআইডি নম্বর চলে আসবে।

অনলাইনে এনআইডি নাম্বার ও কার্ড ডাউনলোড: প্রথমে https://services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে তারপর আপনার কাছে থাকা ভোটার স্লিপের ৮ ডিজিটের নাম্বারটা দিবেন, এবং আপনার সঠিক জন্ম তারিখ দিবেন, স্ক্রিনে থাকা ক্যাপচারগুলা দেখে দেখে ফিলাপ করবেন। তারপর ভোটার তথ্য দেখুন বাটনটিতে ক্লিক করলেই আপনার এনআইডি নাম্বারসহ আপনার ভোটার তথ্য দেখতে পারবেন। তারপর আপনার NID নাম্বারটা কপি করে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/?session-expired=true এই লিংকে গিয়ে আপনার NID নাম্বার, জন্ম তারিখসহ আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন। রেস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার প্রোফাইলে ডাউনলোড নামক একটি অপশন পাবেন এটাতে ক্লিক করলেই আপনার Nid কার্ডের অরজিনাল PDF ফাইল পেয়ে যাবেন। তারপর এটাকে প্রিন্ট ও লেমেনেটিং করে নিলেই আপনার কাজ শেষ। আপনি এটা যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

স্লিপ নাম্বার দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে NID কপি ডাউনলোড করবেন তা সম্পর্কে আরো জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন :-

অনলাইনে এনআইডি সংশোধন: অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আপনাকে প্রথমে উপরে বলা সিস্টেমে নির্বাচন অফিসের সার্ভারে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আপনার NID তে লগইন করার পর প্রোফাইলে ক্লিক করবেন, তারপর এডিট বাটনে ক্লিক করবেন, আপনার প্রয়োজনমত যা যা সংশোধন করার দরকার তা ইডিট করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। এই ধাপে আপনার NID তে যা যা সংশোধন করতেছেন তার বিস্তারিত দেখাবে সব ঠিক থাকলে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়ার জন্য দেখাবে। আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে স্ক্রিনে দেখাবে কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে। যত টাকা দেখাই তত টাকা আপনি জমা দিতে হবে।

যে সকল মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া যাবে: ১. ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ২. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ৩. ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ৪. মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড। ৫. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড। তবে এর মধ্যে রকেটে দিলেই সবচেয়ে ভালো। টাকা জমা দেওয়ার পর আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। পরের ধাপে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এড করতে হবে। এড করা শেষে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন এই ধাপে আপনার আবেদনের ফাইনাল একটা রিভিউ দেখাবে আপনি কি কি পরিবর্তন করতেছেন কি কি কাগজপত্র এড করছেন তার সবকিছু দেখাবে সবকিছু ঠিক থাকলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। সাবমিটে ক্লিক করা সাথে সাথে আপনাকে NID এর হোম পেইজে নিযে আসবে আপনি প্রোফাইলে ক্লিক করলে দেখবেন লেখা আছে আপনার একটি আবেদন পেন্ডীং রয়েছে এটার পাশেই ডাউনলোড অপশন থাকবে এটাতে ক্লিক করলেই আপনার সংশোধনের আবেদন কপিটা ডাউনলোড হয়ে যাবে। এটাতে আপনি সংগ্রহ করবেন। এবার আপনি অপেক্ষা করতে থাকবেন যেদিন ঠিক হয়ে যাবে আপনার মোবাইলে ম্যাসেজ চরে আসবে তাপর আবার আপনার আইডিতে লগইন করে ডাউনলোড এ ক্লিক করলে আপনার সংশোধিত NID কার্ডটি পেয়ে যাবেন।

NID হাযিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে: আপনার NID কার্ডটি যদি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাই তাহলে আপনাকে অনলাইনে প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে রিইস্যুর জন্য আবেদেন করতে হবে। যদি হারিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে প্রথমে আপনাকে থানায় গিয়ে জিডি করতে হবে তারপর আপনার জিডি কপি দিয়ে অনলাইনে রিইস্যুর জন্য আবেদেন করতে হবে। হারিয়ে গেলে এবং চুরি হয়ে গেলে থানাতে জিডি করতে হবে এবং জিডির তথ্যগুলা অনলাইনে দিতে হবে। আর বাকি দুইটা দিলে জিডি করা লাগবে না তবে আপনার Nid কার্ডের কপি আপলোড করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার জন্য উপরে দেখানো সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার NID তে লগইন করে দেখবেন রিইস্যু বাটন আছে এটাতে ক্লিক করবেন। তারপর কিছু তথ্য ফিলাপ করতে হবে। প্রথমেই পুনর্মুদ্রণ কারণ এটাতে আপনি কোন কারনে রিইস্যুর জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করতে হবে। এখানে সাধারণত ৪টি অপশন থাকে যথা: ১। হারিয়ে গেছে, ২। চুরি হয়ে গেছে, ৩। নষ্ট হয়ে গেছে, ৪। ঠিকানা পরিবর্তন। এখান থেকে আপনার কাঙ্কিত অপশন সিল্কেট করবেন এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলা ফিলাপ করবেন। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়ার জন্য দেখাবে। আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে স্ক্রিনে দেখাবে কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে। যত টাকা দেখাই তত টাকা আপনি জমা দিতে হবে।

যে সকল মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া যাবে: ১. ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ২. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ৩. ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ৪. মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড। ৫. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড। তবে এর মধ্যে রকেটে দিলেই সবচেয়ে ভালো। টাকা জমা দেওয়ার পর আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

পরের ধাপে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এড করতে হবে। হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে জিডি কপি এড করবেন এবং অন্য দুইটা অপশন সিলেক্ট করলে আপনার NID তপি দিতে হবে। এড করা শেষে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন এই ধাপে আপনার আবেদনের ফাইনাল একটা রিভিউ দেখাবে কি কি কাগজপত্র এড করছেন তার সবকিছু দেখাবে সবকিছু ঠিক থাকলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। সাবমিটে ক্লিক করা সাথে সাথে আপনাকে NID এর হোম পেইজে নিযে আসবে আপনি প্রোফাইলে ক্লিক করলে দেখবেন লেখা আছে আপনার একটি আবেদন পেন্ডীং রয়েছে এটার পাশেই ডাউনলোড অপশন থাকবে এটাতে ক্লিক করলেই আপনার সংশোধনের আবেদন কপিটা ডাউনলোড হয়ে যাবে। এটাতে আপনি সংগ্রহ করবেন। এবার আপনি অপেক্ষা করতে থাকবেন যেদিন ঠিক হয়ে যাবে আপনার মোবাইলে ম্যাসেজ চরে আসবে তাপর আবার আপনার আইডিতে লগইন করে ডাউনলোড এ ক্লিক করলে আপনার সংশোধিত NID কার্ডটি পেয়ে যাবেন।

আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগবে….

১। নিজের নাম ঠিক করতে যা লাগবে.. শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধনের কপি দিতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/ট্রেড লাইসেনস/কাবিননামার কপি দিতে হবে।

২। বাবার নাম, মায়ের নাম ঠিক করতে যা লাগবে.. এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি উহাতে পিতা/মাতার নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।

৩। স্বামী/স্ত্রীর নাম ঠিক করতে যা লাগবে.. কাবিননামা, স্বামী/স্ত্রীর আইডি কার্ড

৪। স্বামী/স্ত্রীর সম্পর্কিত যে কোন কিছু ঠিক করতে যা লাগবে.. কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিবাহ বিচ্ছেদ ডিক্রির অনুলিপি ।

৫। পিতা/মাতার নামের পূর্বে “মৃত” অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করিতে চাহিলে যা লাগবে.. পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের অনুলিপি বা তাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও জীবিত থাকিবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউনিসলরের প্রত্যয়নপত্রের কপি।

৬। রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে যা লাগবে.. উহার স্বপক্ষে ডাক্তারী সনদপত্র জমা দিতে হইবে। মানে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়ের রিপোর্টের কাগজ জমা দিতে হবে।

৭। শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন করতে যা লাগবে.. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের কপি

আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগবে তার আরো বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন লাগবে….

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here