এস.এস.সি বাংলা ১ম পত্র অধ্যায় – ৭: গদ্য – মানুষ মুহাম্মদ (স.) এর সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর PDF ডাউনলোড করুন

নবম-দশম শ্রেণির মানুষ মুহাম্মদ (স.) অধ্যায়ের এর সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর পিডিএফ Download 

SSC Bangla 1st Paper MCQ Question With Answer

এখানের সবগুলো প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ আকারে নিচে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

লেখক পরিচিতি

মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে (২৮শে ভাদ্র ১৩০৩ সাল) সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজে বি.এস. ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং এখানেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটান। এরপর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ‘মাসিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক সেবক’, ‘সাপ্তাহিক সওগাত’, ‘সাপ্তাহিক খাদেম’, ইংরেজি ‘দি মুসলমান’ ইত্যাদি পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : মহামানুষ মুহসীন, মরুভাস্কর, সৈয়দ আহমদ, স্মার্ণানন্দিনী, ছোটদের হযরত মুহম্মদ ইত্যাদি। তিনি খুব পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও যুক্তিবাদী মন নিয়ে সবকিছুর বিচার করতেন। সহজ সরল প্রকাশভঙ্গি তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর গদ্যশৈলী ঋজু, রচনা সাবলীল। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি ১৯৩৫ সালে কলকাতা ছেড়ে বাঁশদহে ফিরে আসেন এবং সেখানেই ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে (২৮শে ভাদ্র ১৩০৩ সাল) সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজে বি.এস. ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং এখানেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটান। এরপর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ‘মাসিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক সেবক’, ‘সাপ্তাহিক সওগাত’, ‘সাপ্তাহিক খাদেম’, ইংরেজি ‘দি মুসলমান’ ইত্যাদি পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : মহামানুষ মুহসীন, মরুভাস্কর, সৈয়দ আহমদ, স্মার্ণানন্দিনী, ছোটদের হযরত মুহম্মদ ইত্যাদি। তিনি খুব পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও যুক্তিবাদী মন নিয়ে সবকিছুর বিচার করতেন। সহজ সরল প্রকাশভঙ্গি তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর গদ্যশৈলী ঋজু, রচনা সাবলীল। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি ১৯৩৫ সালে কলকাতা ছেড়ে বাঁশদহে ফিরে আসেন এবং সেখানেই ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর কথা প্রচারিত হইলে মদিনায় যেন আঁধার

হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর কথা প্রচারিত হইলে মদিনায় যেন আঁধার ঘনাইয়া আসিল। কাহারও মুখে আর কথা সরে না। কেহবা পাগলের মতো কাণ্ড শুরু করে। রাসুলুলাহর পীড়ার খবর শুনিবার জন্য বহুলোক জমায়েত হইয়াছে। কে একজন বলিলেন, তাঁহার মৃত্যু হইয়াছে। বীরবাহু ওমর উলঙ্গ তরবারি হাতে লইয়া লাফাইয়া উঠিলেন। যে বলিবে হজরত মুহম্মদ (সা.) মরিয়াছেন, তাহার মাথা যাইবে।

মহামতি আবুবকর শেষপর্যন্ত হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে ছিলেন।

মহামতি আবুবকর শেষপর্যন্ত হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে ছিলেন। তিনি গম্ভীরভাবে জনতার মধ্যে দাঁড়াইলেন। বলিলেন, যাহারা হজরত মুহম্মদ (সা.) এর পূজা করিত, তাহারা জানুক তিনি মারা গিয়াছেন আর যাহারা আল্লাহর উপাসক, তাহাদের জানা উচিত আল্লাহ অমর, অবিনশ্বর। আল্লাহর সুস্পষ্ট বাণী :হজরত মুহম্মদ (সা.) এজন রাসুল বৈ আর কিছু নন। তাঁহার পূর্বে আরও অনেক রাসুল মারা গিয়াছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) মরিতে পারেন, নিহত হইতে পারেন তাই বলিয়া তিনি যেই সত্য তোমাদের দিয়া গেলেন তাহাকে কি তোমরা মাথা পাতিয়া গ্রহণ করিবে না? এই বিশ্বভুবনে ঐ দূর অন্তরীক্ষে যাহা কিছু দেখিতে পাও সবই আল্লাহর সৃষ্টি, তাঁহারই দিকে সকলের মহাযাত্রা।

হজরত আবুবকরের গম্ভীর উক্তিতে সকলেরই চৈতন্য হইল। হজরত ওমরের

হজরত আবুবকরের গম্ভীর উক্তিতে সকলেরই চৈতন্য হইল। হজরত ওমরের শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাইল। তাঁহার স্মরণ হইল হজরত মুহম্মদ (সা.) এর বাণী : অমি তোমাদেরই মতো একজন মানুষ মাত্র। তাঁহার মনে পড়িল কুরআনের আয়াত : হজরত মুহম্মদ (সা.) মৃত্যু তোমারই ভাগ্য, তাহাদেরও ভাগ্য। তাঁহার অন্তরে ধ্বনিয়া উঠিল মুসলিমের গভীর প্রত্যয়ের স্বীকারোক্তি অমর সাক্ষ্য : হজরত মুহম্মদ (সা.) আল্লাহর দাস (মানুষ) ও রাসুল।

শোকের প্রথম প্রচণ্ড আঘাতে আত্মবিস্মৃতির পূর্ণ সম্ভাবনার মধ্যে দাঁড়াইয়া

শোকের প্রথম প্রচণ্ড আঘাতে আত্মবিস্মৃতির পূর্ণ সম্ভাবনার মধ্যে দাঁড়াইয়া স্থিতধী হজরত আবুবকর (রা.) রাসুলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সীমারেখা সৃষ্টি করিয়া তুলিলেন। তিনি রাসুল কিন্তু তিনি মানুষ, আমাদেরই মতো দুঃখ-বেদনা, জীবন-মৃত্যুর অধীন রক্ত-মাংসে গঠিত মানুষ-এই কথাই বৃদ্ধ হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) মূর্ছিত মুসলিমকে বুঝাইয়া দিলেন।

তিনি মানুষের মন আকর্ষণ করিয়াছিলেন মুখ্যত তাঁহার মানবীয় গুণাবলি দ্বারা।

তিনি মানুষের মন আকর্ষণ করিয়াছিলেন মুখ্যত তাঁহার মানবীয় গুণাবলি দ্বারা। মক্কার শ্রেষ্ঠবংশে তিনি জন্মিয়াছিলেন। কিন্তু বংশগৌরব হজরত মুহম্মদ (সা.) এর সচেতন চিত্তে মুহূর্তের জন্যও স্থানলাভ করে নাই। জন্মদুঃখী হইয়া তিনি সংসারে আসিয়াছিলেন। এই দুঃখের বেদনা তাঁহার দেহসৌন্দর্য ও চরিত্র-মাধুরীর সহিত মিলিয়া তাঁহাকে নরনারীর একান্ত প্রিয় করিয়া তুলিয়াছিল। আবাল্য তিনি ছিলেন আল আমিন-বিশ্বস্ত, প্রিয়ভাষী, সত্যবাদী। তাঁহার অসাধারণ যোগ্যতা, বুদ্ধি, বিচারশক্তি, বলিষ্ঠ দেহ দেখিয়া মানুষ অবাক হইয়া যাইত। এই সকল গুণ বিবি খাদিজাকে আকর্ষণ করিয়াছিল।

বস্তুত হজরত মুহম্মদ (সা.) এর রূপলাবণ্য ছিল অপূর্ব, অসাধারণ। মক্কা হইতে

বস্তুত হজরত মুহম্মদ (সা.) এর রূপলাবণ্য ছিল অপূর্ব, অসাধারণ। মক্কা হইতে মদিনায় হিজরতের পথে এক পরহিতব্রতী দম্পতির কুটিরে তিনি আশ্রয় নেন। রাহী-পথিকদের সেবা করাই ছিল তাহাদের ব্রত। হজরত মুহম্মদ (সা.) যখন আসিলেন, কুটিরস্বামী আবু মাবদ মেষপাল চরাইতে গিয়াছিলেন। তাঁহার পত্নী উম্মে মাবদ ছাগদুগ্ধ দিয়া হজরত মুহম্মদ (সা.) এর তৃষ্ণা দূর করিলেন। গৃহপতি ফিরিলে এই নারী স্বামীর কাছে নব অতিথির রূপ বর্ণনা করেন, সুন্দর, সুদর্শন পুরুষ তিনি। তাঁহার শীর্ষে সুদীর্ঘ কুঞ্চিত কেশপাশ, বয়ানে অপূর্ব কান্তশ্রী। তাঁহার আয়তকৃষ্ণ দুটি নয়ন, কাজল রেখার মতো যুক্ত ভ্রূযুগল, তাঁহার সুউচ্চ গ্রীবা, কালো কালো দুটি চোখের ঢলঢল চাহনি মনপ্রাণ কাড়িয়া নেয়। গুরুগম্ভীর তাঁহার নীরবতা, মধুবর্ষী তাঁহার মুখের ভাষণ, বিনীত নম্র্র তাঁহার প্রকৃতি। তিনি দীর্ঘ নন, খর্ব নন, কৃশ নন। এক অপূর্ব পুলকদীপ্তি তাঁহার চোখেমুখে, বলিষ্ঠ পৌরুষের ব্যঞ্জনা তাঁহার অঙ্গে। বড় সুন্দর, বড় মনোহর সেই অপরূপ রূপের অধিকারী। সত্যই হজরত মুহম্মদ (সা.) বড় সুদর্শন পুরুষ ছিলেন। তাঁহার চেহারা মানুষের চিত্ত আকর্ষণে যতটুকু সহায়তা করে, তাহার সবটুকু তিনি পাইয়াছিলেন। সত্যের নিবিড় সাধনায় তাঁহার চরিত্র মধুময় হইয়া উঠিয়াছিল। কাছে আসিলেই মানুষ তাঁহার আপনজন হইয়া পড়িত। অকুতোভয় বিশ্বাসে তিনি অজেয় হইয়াছিলেন। শত্রুর নিষ্ঠুরতম নির্যাতন তাঁহার অন্তরের লৌহকপাটে আহত হইয়া ফিরিয়া যাইত।

কিন্তু সত্যে তিনি বজ্রের মতো কঠিন, পর্বতের মতো অটল হইলেও করুণায়

কিন্তু সত্যে তিনি বজ্রের মতো কঠিন, পর্বতের মতো অটল হইলেও করুণায় তিনি ছিলেন কুসুমকোমল। বৈরীর অত্যাচারে বারবার তিনি জর্জরিত হইয়াছিলেন। শত্রুর লোষ্ট্রাঘাতে-অরাতির হিংস্র আক্রমণে বরাঙ্গের বসন তাঁহার বহুবার রক্তরঙিন হইয়া উঠিয়াছে, তথাপি পাপী মানুষকে তিনি ভালোবাসিয়াছিলেন, অভিশাপ দেওয়ার চিন্তাও তাঁহার অন্তরে উদিত হয় নাই। মক্কার পথে প্রান্তরে পৌত্তলিকের প্রস্তরঘায়ে তিনি আহত হইয়াছেন, ব্যঙ্গবিদ্রূপে বারবার তিনি উপহাসিত হইয়াছেন কিন্তু তাঁহার অন্তর ভেদিয়া একটি মাত্র প্রার্থনার বাণী জাগিয়াছে; এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।

তায়েফে সত্য প্রচার করিতে গিয়া তাঁহাকে কী ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হইতে হইয়াছিল;

তায়েফে সত্য প্রচার করিতে গিয়া তাঁহাকে কী ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হইতে হইয়াছিল; আমরা দেখিয়াছি। পথ চলিতে শত্রুর প্রস্তরঘায়ে তিনি অবসন্ন হইয়া পড়িতেছিলেন তখন তাহারই আবার তাঁহাকে তুলিয়া দিতেছিল। তিনি পুনর্বার চলা শুরু করিলে দ্বিগুণ তেজে পাথরবৃষ্টি করিতেছিল। রক্তে রক্তে তাঁহার সমস্ত বসন ভিজিয়া গিয়াছে, দেহ নিঃসৃত রুধিরধারা পাদুকায় প্রবেশ করিয়া জমিয়া শক্ত হইয়াছে, মৃত্যুর আবছায়া তাঁহার চৈতন্যকে সমাচ্ছন্ন করিবার চেষ্টা করিতেছে তথাপি অত্যাচারীর বিরুদ্ধে তাঁহার বিন্দুমাত্র অভিযোগ নাই।

রমণীর রূপ, গৃহস্থের ধনসম্পদ, নেতৃত্বের মর্যাদা, রাজার সিংহাসন সব কিছুকে তুচ্ছ

রমণীর রূপ, গৃহস্থের ধনসম্পদ, নেতৃত্বের মর্যাদা, রাজার সিংহাসন সব কিছুকে তুচ্ছ করিয়া সেই সত্যকে তিনি জীবনের শ্রেষ্ঠতম সম্বল জ্ঞানে আশ্রয় করিয়াছিলেন, তাঁহাকে উপহাসিত, অবহেলিত, অস্বীকৃত দেখিয়াও ক্রোধ ঘৃণা বা বিরক্তির একটি শব্দও তাঁহার মুখে উচ্চারিত হয় নাই। অভিসম্পাত করিতে অনুরুদ্ধ হইয়াও তিনি বলিলেন, না না, তাহা কখনই সম্ভব নয়। এই পৃথিবীতে আমি ইসলামের বাহন, সত্যের প্রচারক।

মানুষের দ্বারে দ্বারে সত্যের বাণী বহন করা আমার কাজ। আজ যাহারা

মানুষের দ্বারে দ্বারে সত্যের বাণী বহন করা আমার কাজ। আজ যাহারা সত্যকে অস্বীকার করিতেছে, তাঁহাকে মারিতে উদ্যত হইয়াছে, হয়তো কাল তাহারা-তাহাদের অনাগত বংশধরেরা ইসলাম কবুল করিবে। আপনার আঘাত জর্জরিত দেহের দেবনায় তিনি কাতর। সত্যকে ব্যাহত দেখিয়া মনের ব্যথা তাঁহার সেই কাতরতাকে ছাপাইয়া উঠিল। তিনি ঊর্ধ্বদিকে বাহু প্রসারণ করিয়া বলিলেন : তোমার পতাকা যদি দিয়াছ প্রভু, হীন আমি, তুচ্ছ আমি, নির্বল আমি, তাহা বহন করিবার শক্তি আমায় দাও। বিপদাবরণ তুমি অশরণের শরণ তুমি, তোমার সত্য মানুষের দ্বারে পৌঁছাইয়া তাহাকে উন্নীত করিলেন যাঁহারা-তাঁহাদের পংক্তিতে আমার স্থান দাও।

মক্কাবাসীরা হজরত মুহম্মদ (সা.) এর নবিত্ব লাভের শুরু হইতেই তাঁহার প্রতি কী নির্মম

মক্কাবাসীরা হজরত মুহম্মদ (সা.) এর নবিত্ব লাভের শুরু হইতেই তাঁহার প্রতি কী নির্মম অমানুষিক অত্যাচার চালাইয়াছিল, আমরা দেখিয়াছি। যখন তাহাদের নির্যাতন সহনাতীত হইল, যখন দেখা গেল, কোরেশরা সত্যকে গ্রহণ করিবে না, হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মদিনায় চলিয়া গেলেন। পথে তাঁহাকে হত্যা করিবার জন্য, তাঁহার ও হজরত আবুবকরের ছিন্নমুণ্ড আনিবার জন্য বিপুল পুরস্কারের লোভ দেখাইয়া, শত শত ঘাতক ক্ষুধার্ত ব্যাঘ্রের মতো হিংস্র ঘাতক পাঠানো হইল। বদর, ওহোদ ও আহযাব (বা খন্দক) যুদ্ধে মক্কার বাসিন্দা এবং তাহাদের মিত্রজাতিরা সম্মিলিত হইয়া ইসলামের ও মুসলিমের চিহ্নটুকু পর্যন্ত ধরাপৃষ্ঠ হইতে মুছিয়া ফেলিবার জন্য প্রাণপণ করিল।

খয়বরের যুদ্ধে হজরত মুহম্মদ (সা.) এর পরাজয়ের মিথ্যা সংবাদ শুনিয়া হজরত মুহম্মদ (সা.)

খয়বরের যুদ্ধে হজরত মুহম্মদ (সা.) এর পরাজয়ের মিথ্যা সংবাদ শুনিয়া হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মৃত্যু সম্ভাবনায় আনন্দে আত্মহারা হইয়া পড়িল। হুদায়বিয়া সন্ধিতে হজরত মুহম্মদ (সা.) এর শান্তিপ্রিয়তার সুযোগ লইয়া মুসলিমের স্কন্ধে ঘোর অপমানের শর্ত চাপাইয়া দেওয়ার পরও তাহাদের সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিতে চাহিল এবং তারপর হজরত মুহম্মদ (সা.) এর যেইদিন বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রবেশ করিলেন সেইদিনও তাঁহার সহিত যুদ্ধকামনা করিয়া খালিদের সহিত হাঙ্গামা বাঁধাইয়া দিল।

এইভাবে শেষপর্যন্ত যাহারা পদে পদে আনিয়া দিল লাঞ্ছনা, অপমান, অত্যাচার, নির্যাতন,

এইভাবে শেষপর্যন্ত যাহারা পদে পদে আনিয়া দিল লাঞ্ছনা, অপমান, অত্যাচার, নির্যাতন, প্রত্যেক সুযোগে যাহারা হানিল বৈরিতার বিষাক্ত বাণ। হজরত মুহম্মদ (সা.) তাঁহাদের সহিত কী ব্যবহার করিলেন? জয়ীর আসনে বসিয়া ন্যায়ের তুলাদণ্ড হাতে লইয়া বলিলেন, ভাইসব, তোমাদের সম্বন্ধে আমার আর কোনো অভিযোগ নাই, আজ তোমরা সবাই স্বাধীন, সবাই মুক্ত। মানুষের প্রতি প্রেমপুণ্যে উদ্ভাসিত এই সুমহান প্রতিশোধ সম্ভব করিয়াছিল হজরত মুহম্মদ (সা.) এর বিরাট মনুষ্যত্ব।

শুধু প্রেম-করুণায় নয়, মানুষ হিসেবে আপনার তুচ্ছতাবোধ আপনার ক্ষুদ্রতার অনুভূতি

শুধু প্রেম-করুণায় নয়, মানুষ হিসেবে আপনার তুচ্ছতাবোধ আপনার ক্ষুদ্রতার অনুভূতি তাঁহার মহিমাগৌরবকে মুহূর্তের জন্যও ছাপাইয়া উঠিতে পারে নাই। মক্কাবিজয়ের পর হজরত মুহম্মদ (সা.) সাফা পর্বতের পার্শ্বে বসিয়া সত্যান্বেষী মানুষকে দীক্ষা দান করিতেছেন, এমন সময় একটি লোক তাঁহার কাছে আসিয়া ভয়ে কাঁপিতে লাগিল। হজরত মুহম্মদ (সা.) স্মিতমুখে তাহাকে বলিলেন, কেন তুমি ভয় পাইতেছ? ভয়ের কিছুই এখানে নাই। আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই। আমি এমন এক নারীর সন্তান, সাধারণ শুষ্ক মাংসই ছিল যাঁহার নিত্যকার আহার্য। মহামহিমার মাঝখানে আপনার সামান্যতম এই অনুভূতিই হজরত মুহম্মদ (সা.) এর চরিত্রকে শেষপর্যন্ত সুন্দর ও স্বচ্ছ রাখিয়াছিল। মানুষ ক্রুটির অধীন, হজরত মুহম্মদ (সা.) ও মানুষ সুতরাং তাঁহারও ক্রুটি হইতে পারে এই যুক্তির বলে নয় বরং তাঁহার অনাবিল চরিত্রের স্বচ্ছ সহজ প্রকাশ মর্যাদাহানির আশঙ্কা তুচ্ছ করিয়া, লোকচক্ষে সম্ভাবিত হেয়তার ভয় অবহেলায় দূর করিয়া তিনি অকুতোভয়ে আত্মদোষ উদঘাটন করিয়াছেন।

একদিন তিনি মক্কার সম্ভ্রান্ত লোকদের কাছে সত্য প্রচারে ব্রতী। মজলিসের এক প্রান্তে

একদিন তিনি মক্কার সম্ভ্রান্ত লোকদের কাছে সত্য প্রচারে ব্রতী। মজলিসের এক প্রান্তে বসিয়া একটি অন্ধ। সম্ভবত সে হজরত মুহম্মদ (সা.) এর দুই একটি কথা শুনিতে পায় নাই। বক্তৃতার মাঝখানে একটি প্র্রশ্ন করিয়া সে হজরত মুহম্মদ (সা.) কে থামাইল। বাধা পাইয়া হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মুখে ঈষৎ বিরক্তির আভাস ফুটিয়া উঠিল, তাঁহার ললাট সামান্য কুঞ্চিত হইল। ব্যাপারটি এমন কিছুই গুরুতর নয়। বক্তৃতায় বাধা হইলে বিরক্তি অতি স্বাভাবিক। আবার দুঃখী ও দুর্বল লোকদের হজরত মুহম্মদ (সা.) বড় আদর করিতেন, কাহারও ইহা অজ্ঞাত নয়। সুতরাং তিনি অন্ধকে ঘৃণা করিয়াছেন, কাঙাল বলিয়া তাহাকে হেলা করিয়াছেন, এই কথা কাহারও মনে আসে নাই।

কিন্তু তাঁহার এই তুচ্ছতম ক্রুটির প্রতি ইঙ্গিত আসিল কুরআনের একটি বাণীতে।

কিন্তু তাঁহার এই তুচ্ছতম ক্রুটির প্রতি ইঙ্গিত আসিল কুরআনের একটি বাণীতে। তিনি বিনা দ্বিধায়, বিনা সঙ্কোচে তাহা সকলের কাছে প্রচার করিলেন। মানুষ হিসেবে যে ক্ষুদ্রতাবোধ, মানুষের সহজ দৈন্যের যে নির্মল অনুভূতি হজরতকে আপনার দোষ সাধারণের চক্ষে এমন নির্বিকারভাবে ধরাইয়া দিতে প্ররোচিত করিয়াছিল, তাহাই আবার তাঁহার মহিমান্বিত জীবনে ইচ্ছা-স্বীকৃতি দারিদ্র্যের মাঝখানে প্রদীপ হইয়া জ্বলিয়াছিল। অনাত্মীয় পরিপার্শ্বের মধ্যেও নিবিড় নির্বিচার ভক্তি, শ্রদ্ধা, স্বীকৃতি ও আনুগত্য তিনি বড় অল্প পান নাই। শত শত বরং সহস্র সহস্র মুসলিম তাঁহার ব্যক্তিগত পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের উপকরণ সংগ্রহ করিয়া দিতে সর্বদা শুধু ইচ্ছুক নয়, সমুৎসুক ছিল। কিন্তু হজরত আপনাকে দশজন মানুষের মধ্যে একজন গণনা করিলেন, সকালের সঙ্গী সহচররূপে সহোদয় ভাইয়ের মতাদর্শ প্রয়াসী নেতার কর্তব্য পালন করিলেন।

সত্যের জন্য অত্যাচার নির্যাতন সহিলেন, দুঃখে-শোকে অশ্রুনীরে তিতিয়া আল্লাহর নামে

সত্যের জন্য অত্যাচার নির্যাতন সহিলেন, দুঃখে-শোকে অশ্রুনীরে তিতিয়া আল্লাহর নামে সান্ত্বনা মানিলেন, দেশের রাজা-মানুষের মনের রাজা হইয়া স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যের কণ্টক মুকুট মাথায় পরিলেন। তাই তাঁহার গৃহে সকল সময় অন্ন জুটিত না, নিশার অন্ধকারে প্রদীপ জ্বালিবার মতো তৈলটুকুও সময় সময় মিলিত না। এমনি নিঃস্ব কাঙালের বেশে মহানবি মৃত্যু রহস্যের দেশে চলিয়া গেলেন।

স্বামীর মহাপ্রয়াণে বিয়োগবিধুরা আয়েশার বক্ষ ভেদিয়া শোকের মাতম উঠিল, মানুষের

স্বামীর মহাপ্রয়াণে বিয়োগবিধুরা আয়েশার বক্ষ ভেদিয়া শোকের মাতম উঠিল, মানুষের মঙ্গল সাধনায় যিনি অতন্দ্র রজনী যাপন করিলেন, সেই সত্যাশ্রয়ী আজ চলিয়া গেলেন। নিঃস্বতাকে সম্বল করিয়া যিনি বিশ্বমানবের জন্য আপনাকে বিলাইয়া দিলেন, তিনি আজ চলিয়া গেলেন। সাধনার পথে শত্রুর আঘাতকে যিনি অম্লান বদলে সহিলেন। হায়, সেই দয়ার নবি, মানুষের মঙ্গল বহিয়া আনিবার অপরাধে প্রস্তরঘায়ে যাঁহার দাঁত ভাঙিয়াছিল, প্রশস্ত ললাট রুধিরাক্ত হইয়াছিল আর সেই আহত জর্জরিত মুমূর্ষু দশাতেও যিনি শত্রুকে প্রেমভরে আশীর্বাদ করিয়াছিলেন, তিনি আজ জীবন-নদীর ওপারে চলিয়া গেলেন।

দুইবেলা পূর্ণোদর আহারও যাঁহার ভাগ্যে হয় নাই, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মূর্ত প্রকাশ মহানবি

দুইবেলা পূর্ণোদর আহারও যাঁহার ভাগ্যে হয় নাই, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মূর্ত প্রকাশ মহানবি আজ চলিয়া গেলেন। বিবি আয়েশার মর্মছেঁড়া এই বিলাপ সমস্ত মানুষের, সমগ্র বিশ্বের। শুধু সত্য সাধনায় নয়, শুধু ঊর্ধ্ব লোকচারী মহাব্রতীর তত্ত্বানুসন্ধানে নয়, মানুষের সঙ্গে মানুষের ব্যবহারে হজরত মুহম্মদ (সা.) এর ইতিহাসের একটি অত্যন্ত অসাধারণ চরিত্র। ত্যাগ, প্রেম, সাধুতা, সৌজন্য, ক্ষমা, তিতিক্ষা, সাহজ, শৌর্য, অনুগ্রহ, আত্মবিশ্বাস, তীক্ষ দৃষ্টি ও সমদর্শন-চরিত্র সৌন্দর্যের এতগুলি দিকের সমাহার ধুলোমাটির পৃথিবীতে বড় সুলভ নয়। তাই মানুষের একজন হইয়াও তিনি দুর্লভ, আমাদের অতি আপনজন হইয়াও তিনি অনুকরণীয়, বরণীয়।

বীরবাহু-শক্তিধারী। স্থিতধী-স্থিরবুদ্ধিসম্পন্ন। ধী-বুদ্ধি। রাসুল-আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ।

বীরবাহু-শক্তিধারী। স্থিতধী-স্থিরবুদ্ধিসম্পন্ন। ধী-বুদ্ধি। রাসুল-আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। পরহিতব্রতী-পরের উপকারে নিয়োজিত। বয়ান-মুখনিঃসৃত বাণী। গ্রীবা-ঘাড়। অকুতোভয়-নির্ভয়। নির্যাতন-অত্যাচার, জুলুম। কুসুমকোমল-ফুলের মতো নরম। লোষ্ট্রাঘাত-ঢিলের আঘাত। বৈরী-শত্রু। অরাতি-শত্রু। পৌত্তলিক-মূর্তিপূজক। তিতিয়া-ভিজে। সমাচ্ছন্ন-অভিভূত। পূর্ণোদর-ভরপেট। বীরবাহু ওমর-ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা) ছিলেন একজন তেজস্বী বীরযোদ্ধা। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কোরেশ বংশোদ্ভূত তরুণ বীর ওমর মহানবীকে হত্যা করার সংকল্প নিয়ে যখন যাচ্ছিলেন তখন তাঁর ভগড়বীর কণ্ঠে পবিত্র কুরআনের বাণী শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হযরত ওমর (রা) ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা, ন্যায়পরায়ণ শাসক ও মহানবীর বিশ্বাসভাজন সাহাবা। রুধিরাক্ত-রক্তাক্ত, রক্তরঞ্জিত। রাহী-পথিক, মুসাফির। পুলকদীপ্তি-আনন্দের উদ্ভাস। অনুরুদ্ধ-অনুরোধ করা হয়েছে এমন। মহামতি আবুবকর-ইসলামের প্রথম খলিফা এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম পুরুষ ব্যক্তি। তিনি ছিলেন মহানবীর হিযরতকালীন সঙ্গী এবং সারাজীবনের বিশ্বস্ত সহচর। তিনি ছিলেন সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবাদী ও ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। মক্কা-সৌদি আরবের অন্যতম প্রধান নগরী। এখানে আল্লাহর ঘর কাবা শরিফ বিদ্যমান। এই নগরীতে রাসুলুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন। মদিনা- সৌদি আরবে অবস্থিত মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় সম্মানিত নগরী। এখানে হযরত মুহম্মদ (সা.) এবং হযরত আবু বকরের (রা.) মাজার রয়েছে। হিজরত- শাব্দিক অর্থ পরিত্যাগ। এখানে মক্কা ত্যাগ করে মদিনা যাত্রা বোঝানো হয়েছে। এই সময় থেকে হিজরি সাল গণনার শুরু। তায়েফ- সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের একটি উর্বর প্রদেশ। বদর, ওহোদ, আহযাব, খয়বর- হজরত মুহম্মদ (সা.) এর জীবনকালে বিধর্মীদের বিরুদ্ধে এইসব স্থানে মুসলমানদের যুদ্ধ হয়েছিল। হুদায়বিয়া- একটি যুদ্ধক্ষেত্র, এই স্থানে বিধর্মীদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর একটি সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এ সন্ধি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং রাসুলুল্লাহর রাজনৈতিক দুরদর্শিতার পরিচায়ক। খালিদ- হযরতের জীবিতকালে ইসলামের প্রখ্যাত বীর যোদ্ধা এবং সেনাপতি। সাফা- সাফা ও তারওয়া দুটি ছোট পাহাড় কাবার নিকটে অবস্থিত। হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্ত্রী বিবি হাজেরা শিশুপুত্র ইসমাইলের পিপাসা নিবারণের জন্য পানির সন্ধানে এই দুই পাহাড়ের মধ্যে ছোটাছুটি করেছিলেন। সেই স্মৃতি রক্ষার্থে আজও হজব্রতীরা সাফা-মারওয়ায় দৌড়ে থাকেন। আয়েশা (রা.)- হযরত আবুবকরের কন্যা, রাসুলুল্লাহ (সা.) -এর অন্যতম সহধর্মিণী, বিদুষী রমণী ছিলেন। হজরত মুহম্মদ (সা.) এর ইন্তেকালের পর তিনি বহু হাদিস উদ্ধৃত করেন।

‘মানুষ মুহম্মদ (সা.) প্রবন্ধটি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মরু ভাস্কর’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

‘মানুষ মুহম্মদ (সা.) প্রবন্ধটি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মরু ভাস্কর’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর মানবীয় গুণাবলি এ প্রবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

হজরত ছিলেন মানুষের নবী। তাই মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তিনি তারই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি বিপুল ঐশ্বর্য, ক্ষমতা ও মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মধ্যে থেকেই একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন। ক্ষমতা ও মহত্ত্ব, প্রেম ও দয়া তাঁর অজস্র চারিত্রিক গুণের মধ্যে প্রধান। তাঁর সারাজীবন মানব জাতির কল্যাণের জন্য নিয়োজিত ছিল। মানুষের শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে তিনি তাঁর জীবন রূপায়িত করে তুলেছিলেন। তাঁর সাধনা, ত্যাগ,  কল্যাণচিন্তা ছিল বিশ্বের সমগ্র মানুষের জন্য অনুকরণীয়। হজরত মুহম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারীগণের মধ্যে যে বেদনা ও হতাশা দেখা দিয়েছিল তা সংবরণ করার জন্য হজরত আবুবকর (রা.) হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর জীবনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে প্রচণ্ড শোককে শান্ত করেন। মানুষ হিসেবে হজরত মুহম্মদ (সা.) এর বৈশিষ্ট্যের আলোচনাই এ প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য।

লেখক পরিচিতি

মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে (২৮শে ভাদ্র ১৩০৩ সাল) সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজে বি.এস. ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন তিনি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং এখানেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটান। এরপর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি ‘মাসিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক সেবক’, ‘সাপ্তাহিক সওগাত’, ‘সাপ্তাহিক খাদেম’, ইংরেজি ‘দি মুসলমান’ ইত্যাদি পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : মহামানুষ মুহসীন, মরুভাস্কর, সৈয়দ আহমদ, স্মার্ণানন্দিনী, ছোটদের হযরত মুহম্মদ ইত্যাদি। তিনি খুব পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও যুক্তিবাদী মন নিয়ে সবকিছুর বিচার করতেন। সহজ সরল প্রকাশভঙ্গি তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর গদ্যশৈলী ঋজু, রচনা সাবলীল। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি ১৯৩৫ সালে কলকাতা ছেড়ে বাঁশদহে ফিরে আসেন এবং সেখানেই ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন অধ্যায়ের সকল বহুনির্বাচনী সাজেশন

১. হুদায়বিয়ার সন্ধি মুসলমানদের জন্য ছিল –
ক) গৌরবের
খ) অনুপ্রেরণার
গ) আশীর্বাদের
ঘ) অপমানের
সঠিক উত্তর: (ক)

২. মানুষের একজন হইয়াও তিনি দুর্লভ, আমাদের অতি আপনজন হইয়াও তিনি বরণীয়। কারণ তিনি –
i. সর্বগুণে গুণান্বিত
ii. ত্যাগে মহিমান্বিত
iii. কল্যাণ কামনায় স্বচ্ছ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩. কে শেষ পর্যন্ত হযরতের মৃত্যুশয্যার পাশে ছিলেন?
ক) হযরত ফাতিমা (রা)
খ) হযরত আবুবকর (রা)
গ) হযরত আলী (রা)
ঘ) হযরত উমর (রা)
সঠিক উত্তর: (খ)

৪. “হযরতের মৃত্যুর কথা প্রচারিত হইলে মদিনায় যেন আঁধার ঘনাইয়া আসিল” – এখানে ‘আঁধার ঘনাইয়া আসিল’ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক) দিন শেষ হয়ে এলো
খ) রাতের আগমন ঘটল
গ) শোক বিহবল হয়ে পড়ল
ঘ) আনন্দে উদ্বেল হলো
সঠিক উত্তর: (গ)

৫. বহুলোক কেন জমায়েত হন?
ক) যুদ্ধে যাবার প্রস্তুতি নিতে
খ) রসুলুল্লাহর পীড়ার খবর শুনে
গ) রসুলুল্রাহর নিমন্ত্রণ পেয়ে
ঘ) রসুলুল্লাহর বক্তৃতা শুনতে
সঠিক উত্তর: (খ)

৬. হযরত মুহম্মদ (স) কিসের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন?
ক) মানুষের পক্ষে যা আচরণীয়
খ) সত্যের পথে যা অর্জিত
গ) ইসলামের পথে যা মহান
ঘ) ধর্মের পথে যা আচরণীয়
সঠিক উত্তর: (ক)

৭. ‘শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাইল’ – কার?
ক) হযরত আবুবকরের
খ) হযরত আয়েশার
গ) হযরত ওমরের
ঘ) হযরত ওসমানের
সঠিক উত্তর: (গ)

৮. ‘আল-আমিন’ কথাটির অর্থ কী?
ক) প্রতিনিধি
খ) সত্যবাদী
গ) শেষ পয়গম্বর
ঘ) বিশ্বাসী
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৯. ‘তিনি রাসুল কিন্তু তিনি মানুষ’ – একথা বৃদ্ধ আবুবকর কাদের বুঝিয়েছেন?
ক) বিধর্মীগনকে
খ) মূর্ছিত মুসলিমকে
গ) হযরত ওমর (রা) কে
ঘ) পৌত্তলিকগণকে
সঠিক উত্তর: (খ)

১০. “বড় সুন্দর, বড় মনোহর সেই অপরূপ রূপের অধিকারী” – হযরত মুহম্মদ (স) – এর লাবণ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে কে একথা বলেছিলেন?
ক) হযরত খাদিজা
খ) উম্মে মা’বদ
গ) হযরত আয়েশা
ঘ) আবু মা’বদ
সঠিক উত্তর: (খ)

১১. ‘আমি এমন এক নারীর সন্তান, সাধারণ শুষ্ক মাংসই ছিল যাঁহার নিত্যকার আহার্য’ – মহানবি (স) এর এ উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর –
i. অকপট সত্যভাষ্য
ii. নিজের ক্ষুদ্রতা ও তুচ্ছতাবোধ
iii. নিজের অকিঞ্চিৎকরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১২. হযরত মুহম্মদ (স) – এর সহধর্মিনী হিসেবে নিচের কোন নামটি সমর্থনযোগ্য?
ক) বিবি খাদিজা
খ) রাবেয়া বসরী
গ) বিবি সবুরা
ঘ) বিবি তাহেরা
সঠিক উত্তর: (ক)

১৩. ‘কিন্তু তিনি মানুষ’ – হযরত মুহম্মদ (স) সম্পর্কে এই কথাটি কার?
ক) মহামতি আবুবকরের
খ) বীরবাহু উমরের
গ) বিয়োগবিধুরা আয়েশার
ঘ) উম্ম মা’বদ এর
সঠিক উত্তর: (ক)

১৪. হযরতের মৃত্যুর পর বহু হাদিস উদ্ধৃত করেন কে?
ক) ফাতেমা (রা)
খ) হযরত আবুবকর (রা)
গ) আয়েশা (রা)
ঘ) হযরত আলী (রা)
সঠিক উত্তর: (গ)

১৫. ইসলামের প্রথম খলিফা হচ্ছেন –
ক) হযরত আবুবকর
খ) হযরত ওমর
গ) হযরত আলী
ঘ) হযরত ওসমান
সঠিক উত্তর: (ক)

১৬. ব্যক্তিজীবনে হযরত মুহম্মদ (স) – এর সাথে হযরত আবুবকরের সম্পর্ক –
ক) কিয়ৎ ঘনিষ্ঠতা
খ) মোটামুটি ঘনিষ্ঠতা
গ) সারাজীবনের বিশ্বস্ত সহচর
ঘ) ঘনিষ্ঠহীন আত্মীয়তা
সঠিক উত্তর: (গ)

১৭. হযরত (স) – এর ললাট সামান্য কুঞ্চিত হলো কেন?
ক) বক্তৃতায় বাধা পেয়ে
খ) রাগে উত্তেজিত হয়ে
গ) অন্ধের কথা শুনে
ঘ) অন্যায় সহ্য করতে না পেরে
সঠিক উত্তর: (ক)

১৮. ‘রুধির ধারা’ শব্দের অর্থ কী?
ক) রক্তের ধারা
খ) ঝরনাধারা
গ) মরুঝড়
ঘ) নদীর স্রোত
সঠিক উত্তর: (ক)

১৯. হযরত মুহম্মদ (স) প্রস্তর নিক্ষেপকারী মক্কার পৌত্তলিকদের জন্য আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করেছেন?
ক) ক্ষমা
খ) কল্যাণ
গ) সাহায্য
ঘ) করুণা
সঠিক উত্তর: (ক)

২০. কোন লেখকের জন্মস্থান সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ?
ক) মীর মশাররফ হোসেন
খ) মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
গ) এয়াকুব আলী চৌধুরী
ঘ) মোতাহের হোসেন চৌধুরী
সঠিক উত্তর: (খ)

২১. ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
ক) মরুভাস্কর
খ) প্রলয় শিখা
গ) মাটির পৃথিবী
ঘ) বনি আদম
সঠিক উত্তর: (ক)

২২. সকলের জন্য অবধারিত হলো –
ক) ইহলোক
খ) পরলোক
গ) অমরতা
ঘ) স্বর্গবাস
সঠিক উত্তর: (খ)

২৩. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
ক) দৈনিক মোহাম্মদী
খ) দৈনিক আজাদ
গ) দৈনিক ইনকিলাব
ঘ) দৈনিক ইত্তেফাক
সঠিক উত্তর: (ক)

২৪. কোনটি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্থ নয়?
ক) মরুভাস্কর
খ) স্মার্ণা-নন্দিনী
গ) পাঞ্জেরি
ঘ) সৈয়দ আহমদ
সঠিক উত্তর: (গ)

২৫. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কবে কলকাতা ছেড়ে বাঁশদহে ফিরে আসেন?
ক) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে
খ) ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে
গ) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে
ঘ) ১৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে
সঠিক উত্তর: (খ)

২৬. হযরত মুহম্মদ (স) এর রূপ, গুণ ও সততা কাকে আকর্ষণ করেছিল?
ক) বিবি আয়েশাকে
খ) বিবি খাদিজাকে
গ) বিবি উম্মে হানীকে
ঘ) হযরত ওমরকে
সঠিক উত্তর: (খ)

২৭. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কত খ্রিস্টাব্দের কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
ক) ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর
খ) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর
গ) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ নভেম্বর
ঘ) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৮. বিধর্মীদের কাছে মুহম্মদ (স) ছিলেন –
i. স্বীকৃত, শ্রদ্ধেয়, মার্জিত
ii. স্মরণীয়, বরণীয়, পূজনীয়
iii. উপহসিত, অবহেলিত, অস্বীকৃত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

২৯. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী মৃত্যুবরণ করেন –
ক) ৬ নভেম্বর
খ) ৮ নভেম্বর
গ) ১০ নভেম্বর
ঘ) ১২ নভেম্বর
সঠিক উত্তর: (খ)

৩০. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন –
ক) শিক্ষকতাকে
খ) ব্যবসায়কে
গ) কোর্টের চাকরিকে
ঘ) সাংবাদিকতাকে
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩১. “শেষ পর্যন্ত হযরত মুহাম্মদ (স)-এর মৃত্যুশয্যার পাশে উপস্থিত ছিলেন” – কথাটির সমর্থনে নিচের কোনটি গ্রহণযোগ্য?
ক) হযরম ওমর (রা)
খ) হযরত আবুবকর (রা)
গ) হযরত ওসমান (রা)
ঘ) হযরত বেলাল (রা)
সঠিক উত্তর: (খ)

৩২. ‘স্থিতধী’ অর্থ কী?
ক) স্থির বুদ্ধিসম্পন্ন
খ) এক জায়গায় স্থির থাকা
গ) শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন
ঘ) এক জায়গায় স্থির না থাকা
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৩. বিশ্বের সকল মানুষের জন্য অনুকরণীয় ছিল মহানবি (স) এর –
i. সাধনা
ii. ত্যাগ
iii. কল্যাণচিন্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩৪. “আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই।” এ উক্তি প্রমাণ করে হযরত ছিলেন –
i. নিরহংকারী মানুষ
ii. আপনাকে তুচ্ছভাবাপন্ন ব্যক্তি
iii. মানুষের মন জয়ে পটু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৫. বিবি আয়েশার বুকে শোকের মাতম উঠল কেন?
ক) ছেলের মৃত্যুতে
খ) বোনের মৃত্যুতে
গ) স্বামীর মৃত্যুতে
ঘ) বাবার মৃত্যুতে
সঠিক উত্তর: (গ)

৩৬. ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধে বক্তব্য প্রকাশের প্রধান বাহন কী?
ক) মহানবির ধর্ম প্রচার
খ) মহানবির মানবীয় গুণাবলি
গ) মহানবির পারিবারিক জীবন
ঘ) মহানবির ক্ষমতা
সঠিক উত্তর: (খ)

৩৭. ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধে লেখক হযরত মুহম্মদ (স) – এর রূপলাবণ্য ফুটিয়ে তুলেছেন কোন বিষয়টি প্রয়োগের মাধ্যমে?
ক) সুদীর্ঘ কুঞ্চিত কেশপাশ
খ) বেঁটে প্রকৃতির
গ) খুব লম্বা
ঘ) খুব স্বাস্থ্যবান
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৮. আঘাতে জর্জরিত হযরত মুহম্মদ (স) কাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন?
ক) পৌত্তলিকদের জন্য
খ) মুনাফিকদের জন্য
গ) ইহুদিদের জন্য
ঘ) নাসারাদের জন্য
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৯. ছাগীদুগ্ধ দিয়ে কে হযরত মুহম্মদ (স) – এর তৃষ্ণা দূর করেন?
ক) খাদিজা
খ) আয়েশা
গ) উম্মে মা’বদ
ঘ) আবু মা’বদ
সঠিক উত্তর: (গ)

৪০. ‘অহর্নিশি’ শব্দের অর্থ কী?
ক) দিনরাত্রি
খ) নিশীথ রাত
গ) অন্ধকার
ঘ) সন্ধিক্ষণ
সঠিক উত্তর: (ক)

৪১. ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধে ব্যবহৃত ‘ধনসম্পদ’ শব্দটির গঠন প্রক্রিযা হিসেবে নিচের কোনটি সমর্থনযোগ্য?
ক) দ্বিগু সমাস
খ) দ্বন্ধ সমাস
গ) তৎপুরুষ সমাস
ঘ) বহুব্রীহি সমাস
সঠিক উত্তর: (খ)

৪২. ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।’ এ উক্তিতে ফুটে উঠেছে –
i. উদারতা
ii. মহানুভবতা
iii. সহিষ্ণুতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৪৩. মহানবি (স) পাপীদের ভালোবাসতেন, কারণ তারা –
ক) অজ্ঞ
খ) সরল
গ) অনুতপ্ত
ঘ) বিপন্ন
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৪. ‘এমন সময় একটি লোক তাঁহার কাছে আসিয়া ভয়ে কাঁপিতে লাগিল’ – ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধে উল্লিখিত লোকটি কার ভয়ে কাঁপতেছিল?
ক) হযরত আবুবকর (রা)
খ) হযরত ওমর (রা)
গ) হযরত ওসমান (রা)
ঘ) হযরত আলী (রা)
সঠিক উত্তর: (গ)

৪৫. মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্থ কোনটি?
ক) বিষাদসিন্ধু
খ) বিষের বাঁশি
গ) স্মার্ণানন্দিনী
ঘ) মেঘমল্লার
সঠিক উত্তর: (গ)

৪৬. কী বেশে মহানবি (স) মৃত্যু রহস্যের দেশে চলে গেলেন?
ক) নিঃস্ব কাঙালের বেশে
খ) নিতান্ত সাধারণ বেশে
গ) সুভ্র সন্তের বেশে
ঘ) অভিজাত নাগরিক বেশে
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৭. সহজ-সরল প্রকাশভঙ্গি কার রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য?
ক) মীর মশাররফ হোসেন
খ) কাজী নজরুল ইসলাম
গ) আবু ইসহাক
ঘ) মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৪৮. যারা আল্লাহর উপাসক তাদের কী জানা উচিত?
ক) রাসুলুল্লাহ অমর
খ) রাসুলুল্লাহ প্রথম নবি
গ) আল্লাহ অমর
ঘ) রাসুলুল্লাহ প্রকৃত যোদ্ধা
সঠিক উত্তর: (গ)

৪৯. সত্যের নিবিড় সাধনায় হযরতের চরিত্র হয়ে উঠেছিল –
ক) সুন্দর
খ) আদর্শ
গ) কোমল
ঘ) মধুময়
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৫০. হযরত মুহাম্মদ (স)-এর মৃত্যু সংবাদ হযরত ওমর (রা) কীভাবে গ্রহণ করেছিলেন?
ক) ধারবাহিকভাবে
খ) উত্তেজিতভাবে
গ) কান্নায় ভেঙে পড়ে
ঘ) স্বাভাবিকভাবে
সঠিক উত্তর: (খ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here