এস.এস.সি বাংলা ১ম পত্র অধ্যায় – ৬: গদ্য – আম আঁটির ভেঁপু এর সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর PDF ডাউনলোড করুন

নবম-দশম শ্রেণিরআম আঁটির ভেঁপু অধ্যায়ের  সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর পিডিএফ Download 

SSC Bangla 1st Paper MCQ Question With Answer

এখানের সবগুলো প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ আকারে নিচে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

লেখক পরিচিতি

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালে ২৪ পরগনার মুরারিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা মৃণালিনী দেবী। স্থানীয় বনগ্রাম স্কুল থেকে ১৯১৪ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং কলকাতা রিপন কলেজ থেকে আ.এ ও বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি হুগলী, কলকাতা ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। শরৎচন্দ্রের পরে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবন-যাপনের অসাধারণ এক আলেখ্য নির্মাণ করে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যে অমর হয়ে আছেন। প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনের অভিন্ন সম্পর্কের চিরায়ত তাৎপর্যে তাঁর কথাসাহিত্য মহিমামণ্ডিত। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো : পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টিপ্রদীপ। গল্পগন্থ : মেঘমল্লার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল। ইছামতি উপন্যাসের জন্য তিনি রবীন্দ্র-পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালে ২৪ পরগনার মুরারিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা মৃণালিনী দেবী। স্থানীয় বনগ্রাম স্কুল থেকে ১৯১৪ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং কলকাতা রিপন কলেজ থেকে আ.এ ও বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি হুগলী, কলকাতা ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। শরৎচন্দ্রের পরে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবন-যাপনের অসাধারণ এক আলেখ্য নির্মাণ করে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যে অমর হয়ে আছেন। প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনের অভিন্ন সম্পর্কের চিরায়ত তাৎপর্যে তাঁর কথাসাহিত্য মহিমামণ্ডিত। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো : পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টিপ্রদীপ। গল্পগন্থ : মেঘমল্লার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল। ইছামতি উপন্যাসের জন্য তিনি রবীন্দ্র-পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সকাল বেলা। আটটা কি নয়টা। হরিহরের পুত্র আপন মনে রোয়াকে বসিয়া

সকাল বেলা। আটটা কি নয়টা। হরিহরের পুত্র আপন মনে রোয়াকে বসিয়া খেলা করিতেছে। তাহার একটা ছোট টিনের বাক্স আছে, সেটার ডালা ভাঙা। বাক্সের সমুদয় সম্পত্তি সে উপুড় করিয়া মেঝেতে ঢালিয়াছে। একটা রংওঠা কাঠের ঘোড়া, চারপয়সা দামের একটা টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশি ও গোটাকতক কড়ি। এগুলি সে মায়ের অজ্ঞাতসারে লক্ষ্মীপূজার কড়ির চুপড়ি হইতে খুলিয়া লইয়াছিল ও পাছে কেহ টের পায় এই ভয়ে সর্বদা লুকাইয়া রাখে-একটা দুপয়সা দামের পিস্তল, কতকগুলো শুকনো নাটা ফল।

দেখিতে ভালো বলিয়া তাহার দিদি কোথা হইতে অনেকগুলি কুড়াইয়া আনিয়াছিল।

দেখিতে ভালো বলিয়া তাহার দিদি কোথা হইতে অনেকগুলি কুড়াইয়া আনিয়াছিল। কিছু তাহাকে দিয়াছে, কিছু নিজের পুতুলের বাক্সে রাখিয়া দিয়াছে। খানকতক খাপরার কুচি। গঙ্গা-যমুনা খেলিতে এই খাপরাগুলির লক্ষ্য অব্যর্থ বলিয়া বিশ্বাস হওয়ায় সে এগুলি সযত্নে বাক্সে রাখিয়া দিয়াছে, এগুলি তাহার মহামূল্যবান সম্পত্তি। এতগুলি জিনিসের মধ্যে সবে সে টিনের বাঁশিটা কয়েকবার বাজাইয়া সেটির সম্বন্ধে বিগত কৌতূহল হইয়া তাহাকে একপাশে রাখিয়া দিয়াছে। কাঠের ঘোড়া নাড়াচাড়া করা হইয়া গিয়াছে। সেটিও একপাশে পিজরাপোলের আসামির ন্যায় পড়িয়া আছে। বর্তমানে সে গঙ্গা-যমুনা খেলিবার খাপরাগুলিকে হাতে লইয়া মনে মনে দাওয়ার উপর গঙ্গা-যমুনার ঘর আঁকা কল্পনা করিয়া চোখ বুজিয়া খাপরা ছুঁইয়া দেখিতেছে তাক ঠিক হইতেছে কি না!

এমন সময়ে তাহার দিদি দুর্গা উঠানের কাঁঠালতলা হইতে ডাকিল-অপু-ও অপু- সে

এমন সময়ে তাহার দিদি দুর্গা উঠানের কাঁঠালতলা হইতে ডাকিল-অপু-ও অপু- সে এতক্ষণ বাড়ি ছিল না, কোথা হইতে এইমাত্র আসিল। তাহার স্বর একটু সর্ততামিশ্রিত। মানুষের গলার আওয়াজ পাইয়া অপু কলের পুতুলের মতো লক্ষীর চুপড়ির কড়িগুলি তাড়াতাড়ি লুকাইয়া ফেলিল। পরে বলিল-কি, রে দিদি? দুর্গা হাত নাড়িয়া ডাকিল-আয় এদিকে-শোন্-দুর্গার বয়স দশ-এগারো বৎসর হইল। গড়ন পাতলা পাতলা, রং অপুর মতো অতটা ফর্সা নয়, একটু চাপা।

হাতে কাচের চুড়ি, পরনে ময়লা কাপড়, মাথার চুল রুক্ষ-বাতাসে উড়িতেছে,

হাতে কাচের চুড়ি, পরনে ময়লা কাপড়, মাথার চুল রুক্ষ-বাতাসে উড়িতেছে, মুখের গড়ন মন্দ নয়, অপুর মতো চোখগুলি বেশ ডাগর ডাগর। অপু রোয়াক হইতে নামিয়া কাছে গেল, বলিল কে রে? দুর্গার হাতে একটা নারিকেলের মালা! সেটা সে নিচু করিয়া দেখাইল, কতকগুলি কচি আম কাটা। সুর নিচু করিয়া বলিল, মা ঘাট থেকে আসে নি তো? অপু ঘাড় নাড়িয়া বলিল উঁহু-দুর্গা চুপিচুপি বলিল একটু তেল আর একটু নুন নিয়ে আসতে পারিস?

আমের কুসি জারাবো-অপু আহ্লাদের সহিত বলিয়া উঠিল-কোথায় পেলি রে দিদি?

আমের কুসি জারাবো-অপু আহ্লাদের সহিত বলিয়া উঠিল-কোথায় পেলি রে দিদি? দুর্গা বলিল, পটলিদের বাগানে সিঁদুরকৌটোর তলায় পড়ে ছিল-আন্ দিকি একটু নুন আর তেল! অপু দিদির দিকে চাহিয়া বলিল, তেলের ভাঁড় ছুঁলে মা মারবে যে? আমার কাপড় যে বাসি?-তুই যা না শিগগিরি করে, মা’র আসতে এখন ঢের দেরি-ক্ষার কাচতে গিয়েচে শিগগির যা-অপু বলিল নারকোলের মালাটা আমায় দে। ওতে ঢেলে নিয়ে আসবো-তুই খিড়কি দোরে গিয়ে দ্যাখ মা আসচে কি না।

দুর্গা নিম্নস্বরে বলিল-তেলটেল যেন মেঝেতে ঢালিসনে, সাবধানে নিবি, নইলে মা

দুর্গা নিম্নস্বরে বলিল-তেলটেল যেন মেঝেতে ঢালিসনে, সাবধানে নিবি, নইলে মা টের পাবে-তুই তো একটা হাবা ছেলে অপু বাড়ি মধ্য হইতে বাহির হইয়া আসিলে দুর্গা তাহার হাত হইতে মালা লইয়া আমগুলি বেশ করিয়া মাখিয়া বলিল, নে হাত পাত।-তুই অতগুলো খাবি দিদি?-অতগুলি বুঝি হলো? এই তো-ভারি বেশি-যা, আচ্ছা নে আর দুখানা-বাঃ, দেখতে বেশ হয়েচে রে, একটা লঙ্কা আনতে পারিস? আর একখানা দেবো তা হলে-লঙ্কা কী করে পাড়ব দিদি? মা যে তক্তার ওপর রেখে দ্যায়, আমি যে নাগাল পাই নে?

-তবে থাকগে যাক্-আবার ওবেলা আনবো এখন-পটলিদের ডোবার ধারের

-তবে থাকগে যাক্-আবার ওবেলা আনবো এখন-পটলিদের ডোবার ধারের আমগাছটায় গুটি যা ধরেচে-দুপুরের রোদে তলায় ঝরে পড়ে-দুর্গাদের বাড়ির চারিদিকেই জঙ্গল। হরিহর রায়ের জ্ঞাতি-ভ্রাতা নীলমণি রায় সম্প্রতি গত বৎসর মারা গিয়াছেন, তাঁহার স্ত্রী পুত্রকন্যা লইয়া নিজ পিত্রালয়ে বাস করিতেছেন। কাজেই পাশের এ ভিটাও জঙ্গলাবৃত হইয়া পড়িয়া আছে। নিকটে আর কোনো লোকের বাড়ি নাই। পাঁচ মিনিটের পথ গেলে তবে ভুবন মুখুয্যের বাড়ি।

হরিহরের বাড়িটাও অনেকদিন হইয়া গেল মেরামত হয় নাই। সামনের

হরিহরের বাড়িটাও অনেকদিন হইয়া গেল মেরামত হয় নাই। সামনের দিকের রোয়াক ভাঙা। ফাটলে বন-বিছুটি ও কালমেঘ গাছের বন গজাইয়াছে। ঘরের দোর-জানালার-কপাট সব ভাঙা। নারিকেলের দড়ি দিয়া গরাদের সঙ্গে বাঁধা আছে। খিঁড়কি দোর ঝনাৎ করিয়া খুলিবার শব্দ হইল এবং একটু পরেই সর্বজয়ার গলা শুনা গেল-দুগ্গা, ও দুগ্গা। দুর্গা বলিল-মা ডাকছে, যা দেখে আয়-ওখানা খেয়ে যা মুখে যে নুনের গুঁড়ো লেগে আছে, মুছে ফ্যাল্। মায়ের ডাক আর একবার কানে গেলেও দুর্গার এখন উত্তর দিবার সুযোগ নাই, মুখ ভর্তি। সে তাড়াতাড়ি জারানো আমের চাকলাগুলি খাইতে লাগিল।

পরে এখনো অনেক অবশিষ্ট আছে দেখিয়া কাঁঠালগাছটার কাছে সরিয়া গিয়া

পরে এখনো অনেক অবশিষ্ট আছে দেখিয়া কাঁঠালগাছটার কাছে সরিয়া গিয়া গুঁড়ির আড়ালে দাঁড়াইয়া সেগুলি গোগ্রাসে গিলিতে লাগিল। অপু তাহার পাশে দাঁড়াইয়া নিজের অংশ প্রাণপণে গিলিতেছিল কারণ চিবাইয়া খাওয়ার আর সময় নাই। খাইতে খাইতে দিদির দিকে চাহিয়া সে দোষ সম্বন্ধে সচেতনতাসূচক হাসি হাসিল। দুর্গা খালি মালাটা এক টান্ মারিয়া ভেরেণ্ডাকচার বেড়া পার করিয়া নীলমণি রায়ের ভিটার দিকে জঙ্গলের মধ্যে ছুঁড়িয়া দিল। ভাইয়ের দিকে চাহিয়া বলিল, মুখটা মুছে ফ্যাল্ না বাঁদর, নুন লেগে রয়েছে যে…

পরে দুর্গা নিরীহমুখে বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়া বলিল, কী মা?-কোথায় বেরুনো

পরে দুর্গা নিরীহমুখে বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়া বলিল, কী মা?-কোথায় বেরুনো হয়েছিল শুনি? একলা নিজে কতদিকে যাব? সকাল থেকে ক্ষার কেচে গা-গতর ব্যথা হয়ে গেল। একটুখানি কুটোগাছটা ভেঙে দুখানা করা নেই। কেবল পাড়ায় পাড়ায় টোটো টোক্লা সেধে বেড়াচ্ছেন-সে বাঁদর কোথায়? অপু আসিয়া বলিল, মা, খিদে পেয়েছে!-রোসো রোসো, একটুখানি দাঁড়াও বাপু …একটুখানি হাঁপ জিরোতে দ্যাও! তোমাদের রাতদিন খিদে আর রাতদিন ফাই-ফরমাজ! ও দুগ্গা, দ্যাখ তো বাছুরটা হাঁক পাড়ছে কেন?

খানিকটা পরে সর্বজয়া রান্নাঘরের দাওয়ায় বঁটি পাতিয়া শসা কাটিতে বসিল।

খানিকটা পরে সর্বজয়া রান্নাঘরের দাওয়ায় বঁটি পাতিয়া শসা কাটিতে বসিল। অপু কাছে বসিয়া পড়িয়া বলিল-আর এট্টু আটা বের করো না মা, মুকে বড্ড লাগে! দুর্গা নিজের ভাগ হাত পাতিয়া লইয়া সঙ্কুচিত সুরে বলিল-চালভাজা আর নেই মা? অপু খাইতে খাইতে বলিল, উঃ, চিবনো যায় না। আম খেয়ে দাঁত টকে-দুর্গার ভ্রুকুটিমিশ্রিত চোখ-টেপায় বাধা পাইয়া তাহার কথা অর্ধপথেই বন্ধ হইয়া গেল। তাহার মা জিজ্ঞাসা করিল, আম কোথায় পেলি?

সত্য কথা প্রকাশ করিতে সাহসী না হইয়া অপু দিদির দিকে জিজ্ঞাসাসূচক দৃষ্টিতে চাহিল।

সত্য কথা প্রকাশ করিতে সাহসী না হইয়া অপু দিদির দিকে জিজ্ঞাসাসূচক দৃষ্টিতে চাহিল। সর্বজয়া মেয়ের দিকে চাহিয়া বলিল-তুই ফের এখন বেরিয়েছিলি বুঝি? দুর্গা বিপন্নমুখে বলিল-ওকে জিজ্ঞেস করো না? আমি-এই তো এখন কাঁঠালতলায় দাঁড়িয়ে-তুমি যখন ডাকলে তখন তো স্বর্ণ গোয়ালিনী গাই দুহিতে আসায় কথাটা চাপা পড়িয়া গেল। তাহার মা বলিল-যা, বাছুরটা ধরগে যা-ডেকে সারা হোলো-কমলে বাছুর, ও সন্ন, এত বেলা করে এলে কি বাঁচেট?

একটু সকাল করে না এলে এই ভেতন্নর পজ্জন্ত বাছুর বাঁধা-দিদির পিছনে পিছনে

একটু সকাল করে না এলে এই ভেতন্নর পজ্জন্ত বাছুর বাঁধা-দিদির পিছনে পিছনে অপুও দুধ দোয়া দেখিতে গেল। সে বাহির উঠানে পা দিতেই দুর্গা তাহার পিঠে দুম করিয়া নির্ঘাত এক কিল বসাইয়া দিয়া কহিল-লক্ষ্মীছাড়া বাঁদর! পরে মুখ ভ্যাঙাইয়া কহিল-আম খেয়ে দাঁত টকে গিয়েছে আবার কোনোদিন আম দেবো খেও-ছাই দেবো। এই ওবেলাই পটলিদের কাঁকুড়তলির আম কুড়িয়ে এনে জারাবো, এত বড় বড় গুটি হয়েচে, মিষ্টি যেন গুড়-দেবো তোমায়? খেও এখন? হাবা একটা কোথাকার- যদি এতটুকু বুদ্ধি থাকে!

দুপুরের কিছু পরে হরিহর কাজ সারিয়া বাড়ি ফিরিল। সে আজকাল গ্রামের অন্নদা

দুপুরের কিছু পরে হরিহর কাজ সারিয়া বাড়ি ফিরিল। সে আজকাল গ্রামের অন্নদা রায়ের বাটীতে গোমস্তার কাজ করে। জিজ্ঞাসা করিল-অপুকে দেখচি নে? সর্বজয়া বলিল-অপু তো ঘরে ঘুমুচ্ছে।-দুগ্গা বুঝি-সে সেই খেয়ে বেরিয়েছি-সে বাড়ি থাকে কখন? দুটো খাওয়ার সঙ্গে যা সম্পর্ক! আবার সেই খিদে পেলে তবে আসবে-কোথায় কার বাগানে কার আমতলায় জামতলায় ঘুরছে-এই চত্তির মাসের রোদ্দুরে, পের দ্যাখো না এই জ্বরে পড়লো বলে-অত বড় মেয়ে, বলে বোঝাবো কত? কথা শোনে, না কানে নেয়?

একটু পরে হরিহর খাইতে বসিয়া বলিল-আজ দশঘরায় তাগাদার জন্যে গেছলাম, বুঝলে?

একটু পরে হরিহর খাইতে বসিয়া বলিল-আজ দশঘরায় তাগাদার জন্যে গেছলাম, বুঝলে? একজন লোক, খুব মাতবর, পাঁচটা-ছয়টা গোলা বাড়িতে, বেশ পয়সাওয়ালা লোক-আমায় দেখে দণ্ডবৎ করে বলে−-দাদাঠাকুর, আমায় চিনতে পাচ্ছেন? আমি বল্লাম-না বাপু, আমি তো কৈ?-বলে−-আপনার কর্তা থাকতে তখন তখন পূজা-আচ্চায় সবসময়ই তিনি আসতেন, পায়ের ধুলো দিতেন। আপনারা আমাদের গুরুতুল্য লোক, এবার আমরা বাড়িসুদ্ধ মন্তর নেবো ভাবচি-তা আপনি যদি আজ্ঞে করেন তবে ভরসা করে বলি-আপনিই কেন মন্তরটা দেন না? তা আমি তাদের বলেচি আজ আর কোনো কথা বলব না, ঘুরে এসে দু-এক-দিনে-বুঝলে?

সর্বজয়া ডালের বাটি হাতে দাঁড়াইয়া ছিল। বাটি মেজেতে নামাইয়া সামনে বসিয়া পড়িল।

সর্বজয়া ডালের বাটি হাতে দাঁড়াইয়া ছিল। বাটি মেজেতে নামাইয়া সামনে বসিয়া পড়িল। বলিল-হ্যাঁগো, তা মন্দ কী? দাও না ওদের মন্তর? কী জাত? হরিহর সুর নামাইয়া বলিল, বলো না কাউকে!-সদ্গোপ। তোমার তো আবার গল্প করে বেড়ানো স্বভাব-আমি আবার কাকে বলতে যাব, তা হোক গে সদ্গোপ, দাও গিয়ে দিয়ে, এই কষ্ট যাচ্ছ-ঐ রায়বাড়ির আটটা টাকা ভরসা, তাও দু-তিন মাস অন্তর তবে দ্যায় আর এদিকে রাজ্যের দেনা।

কালঘাটের পথে সেজ ঠাকরুন বলে−-বৌমা, আমি বন্দক ছাড়া টাকা ধার দিই নে তবে তুমি

কালঘাটের পথে সেজ ঠাকরুন বলে−-বৌমা, আমি বন্দক ছাড়া টাকা ধার দিই নে তবে তুমি অনেক করে বলে− বলে দিলাম-আজ পাঁচ পাঁচ মাস হয়ে গেল, টাকা আর রাখতে পারব না। এদিকে রাধা বোষ্টমের বৌ তো ছিঁড়ে খাচ্ছে, দুবেলা তাগাদা আরম্ভ করেচে। ছেলেটার কাপড় নেই-দু-তিন জায়গায় সেলাই, বাছা আমার তাই পরে হাসিমুখে নেচে নেচে বেড়ায়-আমার এমন হয়েচে যে ইচ্ছে করে একদিকে বেরিয়ে যাই আর একটা কথা ওরা বলছিল, বুঝলে? বলছিল গাঁয়ে তো বামুন নেই, আপনি যদি এই গাঁয়ে উঠে আসেন তবে জায়গা-জমি দিয়ে বাস করাই-গাঁয়ে একঘর বামুন বাস করানো আমাদের বড্ড ইচ্ছে।

তা কিছু ধানের জমিটমি দিতেও রাজি-পয়সার তো অভাব নেই! আজকাল চাষাদের

তা কিছু ধানের জমিটমি দিতেও রাজি-পয়সার তো অভাব নেই! আজকাল চাষাদের ঘরে লক্ষ্মী বাঁধা-ভদ্দর লোকেরই হয়ে পড়েচে হা ভাত যো ভাত-আগ্রহে সর্বজয়ার কথা বন্ধ হইবার উপক্রম হইল-এখ্খুনি। তা তুমি রাজি হলে না কেন? বল্লেই হতো যে আচ্ছা আমরা আসবো! ও রকম একটা বড় মানুষের আশ্রয়-এ গাঁয়ে তোমার আছে কী? শুধু ভিটে কামড়ে পড়ে থাকা-হরিহর হাসিয়া বলিল- পাগল! তখুনি কী রাজি হতে আছে? ছোটলোক, ভাববে ঠাকুরের হাঁড়ি দেখচি শিকেয় উঠেচে- উঁহু, ওতে খেলো হয়ে যেতে হয়-তা নয়, দেখি একবার চুপি চুপি মজুমদার মহাশয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে আর এখন ওঠ বল্লেই কী ওঠা চলে?

সব ব্যাটা এসে বলবে টাকা দাও, নৈলে যেতে দেবো না-দেখি পরামর্শ করে কি রকম

সব ব্যাটা এসে বলবে টাকা দাও, নৈলে যেতে দেবো না-দেখি পরামর্শ করে কি রকম দাঁড়ায়-এই সময়ে মেয়ে দুর্গা কোথা হইতে পা টিপিয়া টিপিয়া আসিয়া বাহিরের দুয়ারের আড়াল হইতে সতর্কতার সহিত একবার উঁকি মারিল এবং অপর পক্ষ সম্পূর্ণ সজাগ দেখিয়া ওধারে পাঁচিলের পাশ বাহিয়া বাহির বাটীর রোয়াকে উঠিল। দালানের দুয়ার আস্তে আস্তে ঠেলিয়া দেখিল উহা বন্ধ আছে।

এদিকে রোয়াকে দাঁড়ানো অসম্ভব, রৌদ্রের তাপে পা পুড়িয়া যায়, কাজেই সে স্থান হইতে

এদিকে রোয়াকে দাঁড়ানো অসম্ভব, রৌদ্রের তাপে পা পুড়িয়া যায়, কাজেই সে স্থান হইতে নামিয়া গিয়া উঠানের কাঁঠালতলায় দাঁড়াইল। রৌদ্রে বেড়াইয়া তাহার মুখ রাঙা হইয়া উঠিয়াছে, আঁচলের খুঁটে কী কতকগুলো যত্ন করিয়া বাঁধা। সে আসিয়াছিল এইজন্য যে, যদি বাহিরের দুয়ার খোলা পায় এবং মা ঘুমাইয়া থাকে তবে ঘরের মধ্যে চুপি চুপি ঢুকিয়া একটু শুইয়া লইবে। কিন্তু বাবার, বিশেষত মার সামনে সম্মুখ দুয়ার দিয়া বাড়ি ঢুকিতে তাহার সাহস হইল না।

উঠানে নামিয়া সে কাঁঠালতলায় দাঁড়াইয়া কী করিবে ঠিক করিতে না পারিয়া

উঠানে নামিয়া সে কাঁঠালতলায় দাঁড়াইয়া কী করিবে ঠিক করিতে না পারিয়া নিরুৎসাহভাবে এদিক ওদিক চাহিতে লাগিল। পরে সেখানেই বসিয়া পড়িয়া আঁচলের খুঁট খুলিয়া কতকগুলি শুকনো রড়া ফলের বিচি বাহির করিল। খানিকক্ষণ চাহিয়া থাকিয়া সে আপন মনে সেগুলি গুনিতে আরম্ভ করিল, এক-দুই-তিন-চার … ছাব্বিশটা হইল। পরে সে দুই-তিনটা করিয়া বিচি হাতের উল্টা পিঠে বসাইয়া উঁচু করিয়া ছুঁড়িয়া দিয়া পরে হাতের সোজা পিট পাতিয়া ধরিতে লাগিল।

মনে মনে বলিতে লাগিল-অপুকে এইগুলো দেবো-আর এইগুলো পুতুলের বাক্সে রেখে

মনে মনে বলিতে লাগিল-অপুকে এইগুলো দেবো-আর এইগুলো পুতুলের বাক্সে রেখে দেবো-কেমন বিচিগুলি তেল চুকচুক কচ্ছে-আজই গাছ থেকে পড়েচে, ভাগ্যিস আগে গেলাম, নৈলে সব গোরুতে খেয়ে ফেলে দিতো, ওদের রাঙি গাইটা একেবারে রাক্কস, সব জায়গায় যাবে, সেবার কতকগুলো এনেছিলাম আর এইগুলো নিয়ে অনেকগুলো হলো। সে খেলা বন্ধ করিয়া সমস্ত বিচি আবার সযত্নে আঁচলের খুঁটে বাঁধিল। পরে হঠাৎ কী ভাবিয়া রুক্ষ চুলগুলি বাতাসে উড়াইতে উড়াইতে মহা খুশির সহিত পুনরায় সোজা বাটীর বাহির হইয়া গেল।

রোয়াক – ঘরের সামনের খোলা জায়গা বা বারান্দা; চুপড়ি – ছোট ঝুড়ি, ক্ষুদ্র ধামা;

রোয়াক – ঘরের সামনের খোলা জায়গা বা বারান্দা; চুপড়ি – ছোট ঝুড়ি, ক্ষুদ্র ধামা; নাটাফল – করঞ্জা ফল; খাপরার কুচি – কলসি-হাঁড়ি প্রভৃতির ভাঙা অংশ বা টুকরা; পিজরাপোলের আসামি- খাঁচায় পড়ে থাকা অবহেলিত আসামির মতো অর্থে; দাওয়া – বারান্দা; আমের কুসি – কচি আম; জারা -জীর্ণ করা, কুচি কুচি করা অর্থে; বন-বিছুটি – বুনো গাছ; কালমেঘ – যকৃতের রোগে উপকারী এক প্রকার তিক্ত গাছ; গরাদে – জানালার সিক; ভেরেণ্ডাকচার বেড়া – এরন্ড বা রেড়ি গাছের বেড়া; কুটোগাছ – তৃণ; রোসো রোসো – থাম থাম।

‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইবোনের আনন্দিত জীবনের আখ্যান নিয়ে গল্পটি রচিত হয়েছে। অপু ও দুর্গা হতদরিদ্র পরিবারের শিশু। কিন্তু তাদের শৈশবে দারিদ্র্যের সেই কষ্ট প্রধান হয়ে ওঠেনি। অধিকন্তু গ্রামীণ ফলফলাদি আহারের আনন্দ এবং বিচিত্র বিষয় নিয়ে তাদের বিস্ময় ও কৌতূহল গল্পটিকে চিরকালের মানুষের চিরায়ত শৈশবকেই যেন স্মরণ করিয়ে দেয়। এই গল্পের সর্বজয়া পল্লি মায়ের শাশ্বত চরিত্রে হয়ে উঠেছে।

লেখক পরিচিতি

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালে ২৪ পরগনার মুরারিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা মৃণালিনী দেবী। স্থানীয় বনগ্রাম স্কুল থেকে ১৯১৪ সালে তিনি ম্যাট্রিাক পাশ করেন এবং কলকাতা রিপন কলেজ থেকে আএ ও বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি হুগলী, কলকাতা ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। শরৎচন্দ্রের পরে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবন-যাপনের অসাধারণ এক আলেখ্য নির্মাণ করে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যে অমর হয়ে আছেন। প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনের অভিন্ন সম্পর্কের চিরায়ত তাৎপর্যে তাঁর কথাসাহিত্য মহিমামণ্ডিত। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো : পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টিপ্রদীপ। গল্পগন্থ : মেঘমল্লার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল। ইছামতি উপন্যাসের জন্য তিনি রবীন্দ্র-পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আম আঁটির ভেঁপু অধ্যায়ের সকল বহুনির্বাচনী সাজেশন

১. অপুর পিস্তলের দাম কত ছিল?
ক) দু পয়সা
খ) চার পয়সা
গ) পাঁচ পয়সা
ঘ) সাত পয়সা
সঠিক উত্তর: (ক)

২. মাতবর গোছের লোকটি হরিহরকে দেখে কী করল?
ক) ইশারা করল
খ) চেঁচিয়ে উঠল
গ) জড়িয়ে ধরল
ঘ) দন্ডবৎ হলো
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩. মায়ের ডাকে অপু ও দুর্গা সাড়া দিতে পারে নি কারণ –
i. আমে মুখ ভর্তি ছিল
ii. তাদের ইচ্ছা ছিল না
iii. উত্তরের সুযোগ ছিল না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৪. হরিহরের রোয়াকের ভাঙা জায়গায় কোন গাছের বন গজিয়েছে?
ক) বিছুটি কালমেঘ
খ) কন্টিকারি
গ) শিয়ালকাঁটা
ঘ) নলখাগড়া
সঠিক উত্তর: (ক)

৫. ‘ আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর একটু পরে কী করল?
ক) লাঠি নিয়ে দুর্গাকে খুঁজতে গেল
খ) অপুর ঘরে গেল
গ) গোসল করতে গেল
ঘ) খেতে বসল
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৬. সর্বজয়া ক্ষার কাঁচতে কোথায় গেছে?
ক) ইঁদারায়
খ) কলতলায়
গ) ঘাটে
ঘ) খালে
সঠিক উত্তর: (গ)

৭. ‘গরাদে’ শব্দের অর্থ কী?
ক) জানালার সিক
খ) দরজার সিক
গ) চালের বাঁশ
ঘ) বেড়ার বাঁশ
সঠিক উত্তর: (ক)

৮. কোন উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন?
ক) পথের পাঁচালী
খ) আরণ্যক
গ) ইছামতি
ঘ) দৃষ্টিপ্রদীপ
সঠিক উত্তর: (গ)

৯. কোন কলেজ থেকে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আই.এ পাস করেন?
ক) স্কটিশ কলেজ
খ) বিদ্যাসাগর কলেজ
গ) হিন্দু কলেজ
ঘ) রিপন কলেজ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১০. পটলিদের ডোবার ধারের আমগাছটার গুটি কখন ঝরে পড়ে?
ক) সুর্যোদয়ের সময়
খ) সকালের রোদে
গ) দুপুরের রোদে
ঘ) সূর্যাস্তের সময়
সঠিক উত্তর: (গ)

১১. হরিহর রায়ের বাড়ির জানালা কপাট কী দিয়ে বাঁধা?
ক) শক্ত তার দিয়ে
খ) শক্ত জাল দিয়ে
গ) পাটের দড়ি দিয়ে
ঘ) নারিকেলের দড়ি দিয়ে
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১২. জীবনানন্দ দাশ গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে তাঁর কবিতায় অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। একই প্রবণতা রয়েছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্যে। তাঁদের উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য –
i. প্রকৃতিপ্রেম
ii. দেশপ্রেম
iii. নিসর্গপ্রেম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৩. পিজরাপোলের আসামির ন্যায় পড়ে আছে –
ক) কাঠের ঘোড়া
খ) নাটা ফল
গ) টিনের বাঁশি
ঘ) খাপরা
সঠিক উত্তর: (ক)

১৪. ‘ওতে খেলো হয়ে যেতে হয়’ বলতে হরিহর বোঝাতে চেয়েছে –
i. ব্যক্তিত্ব হালকা হয়ে যায়
ii. বলার সঙ্গে সঙ্গে রাজি হতে নেই
iii. সহজে কোনো কথায় রাজি হতে নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

১৫. অনেকদিন হরিহর রায়ের বাড়িটি –
ক) রং করা হয় নি
খ) চাল দেওয়া হয় নি
গ) মেরামত করা হয় নি
ঘ) বেড়া দেওয়া হয় নি
সঠিক উত্তর: (গ)

১৬. দুর্গাদের বাড়ির চারদিকে কী?
ক) ধানক্ষেত
খ) পাটখেত
গ) জঙ্গল
ঘ) জলাশয়
সঠিক উত্তর: (গ)

১৭. গঙ্গা-যমুনা খেলায় ব্যবহার করা হয়-
ক) মার্বেল
খ) লাঠি
গ) খাপরা
ঘ) নাটা ফল
সঠিক উত্তর: (গ)

১৮. সদগোপেরা হরিহরের পায়ের ধুলো নিতে চায়, কারণ হরিহর –
i. আত্মীয় হওয়ায়
ii. উঁচু জাতের হওয়ায়
iii. শ্রদ্ধার পাত্র হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

১৯. অপু কার অজ্ঞাতসারে কড়িগুলো চুরি করেছিল?
ক) বাবার
খ) বোনের
গ) ঠাকুরের
ঘ) মায়ের
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২০. তেল নুন আনার পর দুর্গা আবার অপুকে কী আনতে বলে?
ক) বাটি
খ) মসলা
গ) পেঁয়াজ
ঘ) লঙ্কা
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২১. অপু ও দুর্গার মা তক্তার উপর কী রেখে দেয়?
ক) তেল
খ) লঙ্কা
গ) মসলা
ঘ) ক্ষার
সঠিক উত্তর: (খ)

২২. বিভূতিভূষণের উপন্যাসে ফুটে উঠেছে –
i. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা রূপরেখা
ii. নাগরিক জীবনের দুঃখ-কষ্ট
iii. মানুষের সহজ-সরল জীবনচিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

২৩. ‘তুই অতগুলো খাবি দিদি?’ এ উক্তির মধ্য দিয়ে অপু কী বোঝাতে চেয়েছে?
ক) দুর্গা অনেক বেশি খাচ্ছে
খ) দুর্গা তাকে কম দিয়েছে
গ) অপুর মনে খাবার ইচ্ছা তীব্র
ঘ) অপু নিজেকে বঞ্চিত ভেবেছে
সঠিক উত্তর: (খ)

২৪. অপুর কাঠের ঘোড়াটি কী অবস্থায় ছিল?
ক) রং-ওঠা
খ) চকচকে
গ) নতুন
ঘ) ভাঙ্গা
সঠিক উত্তর: (ক)

২৫. হরিহর অনেকদিন বাড়ি মেরামত করতে পারেনি যে কারণে –
i. অর্থের অভাবে
ii. ইচ্ছার অভাবে
iii. মিস্ত্রির অভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

২৬. দুর্গা কী ভেবে আবার বাড়ির বাইরে চলে গেল?
ক) রড়া ফলের বিচি কুড়াবে বলে
খ) আম তলায় আম কুড়াবে বলে
গ) বাড়িতে ভালো লাগে না
ঘ) প্রকৃতির মধ্যে থাকতে চায় বলে
সঠিক উত্তর: (খ)

২৭. ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সমর্থনযোগ্য –
i. দরিদ্র
ii. উচ্চবংশীয়
iii. অকর্মা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

২৮. ‘রোয়াক’ শব্দের অর্থ হলো –
ক) বারান্দা
খ) দরজা
গ) উঠান
ঘ) জানালা
সঠিক উত্তর: (ক)

২৯. মাতবর লোকটি হরিহরকে ভাবে –
ক) পিতৃতুল্য
খ) দেবতুল্য
গ) ভ্রাতৃতুল্য
ঘ) গুরুতুল্য
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩০. দুর্গার চেহারার বৈশিষ্ট্য হলো –
i. দুর্গার রং কালো
ii. মুখের গড়ন মন্দ নয়
iii. মাথার চুল রুক্ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

এছাড়া ও এই অধ্যায়ের আরো অনেকগুলো MCQ সাজেশন পেতে নিচের পিডিএফ ফাইল টি ডাউনলোড করে নিন

PDF File Download From Here

📝 সাইজঃ- 281 KB

📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 7

Download From Google Drive

Download

Direct Download 

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here