নবম-দশম শ্রেণির উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন অধ্যায়ের এর সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর পিডিএফ Download
SSC Bangla 1st Paper MCQ Question With Answer
এখানের সবগুলো প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ আকারে নিচে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
লেখক পরিচিতি
কাজী নজরুল ইসলাম ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ সালে (২৫শে মে ১৮৯৯) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেবেলায় তিনি লেটো গানের দলে যোগ দেন। পরে বর্ধমানে ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯১৪ সালে তিনি সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানেই তাঁর সাহিত্য জীবনের সূচনা ঘটে। তাঁর লেখায় তিনি সামাজিক অবিচার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এজন্য তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’ বলা হয়। বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর আবির্ভাব এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখায় তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি গজল, খেয়াল ও রাগপ্রধান গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। আরবি-ফারসি শব্দের সার্থক ব্যবহার তাঁর কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে। মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে কবি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় আনা হয় এবং পরে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। তাঁর রচিত কাব্যগুলোর মধ্যে অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়শিখা, চক্রবাক, সিন্ধুহিন্দোল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা, মৃতুক্ষুধা, কুহেলিকা ইত্যাদি তাঁর রচিত গল্প ও উপন্যাস। যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী ও রাজবন্দীর জবানবন্দী তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে কবি ঢাকা পি.জি. হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদসংলগ্ন প্রাঙ্গণে তাঁকে পরিপূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ সালে (২৫শে মে ১৮৯৯) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেবেলায় তিনি লেটো গানের দলে যোগ দেন। পরে বর্ধমানে ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯১৪ সালে তিনি সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানেই তাঁর সাহিত্য জীবনের সূচনা ঘটে। তাঁর লেখায় তিনি সামাজিক অবিচার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এজন্য তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’ বলা হয়। বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর আবির্ভাব এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখায় তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি গজল, খেয়াল ও রাগপ্রধান গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। আরবি-ফারসি শব্দের সার্থক ব্যবহার তাঁর কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে। মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে কবি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় আনা হয় এবং পরে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। তাঁর রচিত কাব্যগুলোর মধ্যে অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়শিখা, চক্রবাক, সিন্ধুহিন্দোল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা, মৃতুক্ষুধা, কুহেলিকা ইত্যাদি তাঁর রচিত গল্প ও উপন্যাস। যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী ও রাজবন্দীর জবানবন্দী তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে কবি ঢাকা পি.জি. হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদসংলগ্ন প্রাঙ্গণে তাঁকে পরিপূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
হে মোর দুর্ভাগা দেশ! যাদের করেছ অপমান
হে মোর দুর্ভাগা দেশ! যাদের করেছ অপমান
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
আজ আমাদের এই নতুন করিয়া মহাজাগরণের দিনে আমাদের সেই শক্তিকে ভুলিলে চলিবে না-যাহাদের উপর আমাদের দশ আনা শক্তি নির্ভর করিতেছে অথচ আমরা তাহাদিগকে উপেক্ষা করিয়া আসিতেছি। সেই হইতেছে, আমাদের দেশের তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়। আমাদের আভিজাত্য-গর্বিত সম্প্রদায়ই এই হতভাগাদের এইরূপ নামকরণ করিয়াছেন। কিন্তু কোনো যন্ত্র দিয়া এই দুই শ্রেণির লোকের অন্তর যদি দেখিতে পারো, তাহা হইলে দেখিবে, ঐ তথাকথিত ‘ছোটলোক’-এর অন্তর কাঁচের ন্যায় স্বচ্ছ, এই ‘ছোটলোক’ এমন স্বচ্ছ অন্তর, এমন সরল মুক্ত উদার প্রাণ লইয়াও যে কোনো কার্য করিতে পারিতেছে না, তাহার কারণ এই ভদ্র সম্প্রদায়ের অত্যাচার।
সে বেচারা জন্ম হইতে এই ঘৃণা, উপেক্ষা পাইয়া নিজেকে এত ছোট মনে করে,
সে বেচারা জন্ম হইতে এই ঘৃণা, উপেক্ষা পাইয়া নিজেকে এত ছোট মনে করে, সঙ্কোচ জড়তা তাহার স্বভাবের সঙ্গে এমন ওতপ্রোতভাবে জড়াইয়া যায় যে, সেও-যে আমাদেরই মতো মানুষ-সেও যে সেই এক আল্লাহ-এর সৃষ্টি, তাহারও যে মানুষ হইবার সমান অধিকার আছে-তাহা সে একেবারে ভুলিয়া যায়। যদি কেউ এই উৎপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহাচরণ করে, অমনি আমাদের ভদ্র সম্প্রদায় তাহার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করিয়া তাহাকে অজ্ঞান করিয়া ফেলে।
এই হতভাগাদিগকে-আমাদের এই সত্যিকার মানুষদিগকে আমরা এই রকম অবহেলা
এই হতভাগাদিগকে-আমাদের এই সত্যিকার মানুষদিগকে আমরা এই রকম অবহেলা করিয়া চলিয়াছি বলিয়াই আজ আমাদের এত অধঃপতন। তাই আমাদের দেশে জনশক্তি বা গণতন্ত্র গঠিত হইতে পারিতেছে না। হইবে কিরূপে? দেশের অধিবাসী লইয়াই তো দেশ এবং ব্যক্তির সমষ্টিই তো জাতি। আর সে দেশকে, সে জাতিকে যদি দেশের, জাতির সকলে বুঝিতে না পারে, তবে তাহার উন্নতির আশা করা আর আকাশে অট্টালিকা নির্মাণের চেষ্টা করা একই কথা। তোমরা ভদ্র সম্প্রদায়, মানি, দেশের দুর্দশা জাতির দুর্গতি বুঝো, লোককে বুঝাইতে পারো এবং ঐ দুর্ভাগ্যের কথা কহিয়া কাঁদাইতে পার কিন্তু কার্যক্ষেত্রে নামিয়া কার্য করিবার শক্তি তোমাদের আছে কি? না, নাই।
একথা যে নিরেট সত্য, তাহা তোমরাই বুঝো। কাজেই তোমাদের এই দেশকে,
একথা যে নিরেট সত্য, তাহা তোমরাই বুঝো। কাজেই তোমাদের এই দেশকে, জাতিকে উন্নত করিবার আশা ঐ কথাতেই শেষ হইয়া যায়। কিন্তু যদি একবার আমাদের এই জনশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করিতে পারো, তাহাদিগকে মানুষ বলিয়া ভাই বলিয়া কোল দিবার তোমার উদারতা থাকে, তাহাদিগের শক্তির উন্মেষ করিতে পারো, তাহা হইলে দেখিবে তুমি শত বৎসর ধরিয়া প্রাণপণে চেষ্টা সত্ত্বেও যে কাজ করিতে পারিতেছ না, একদিনে সেই কাজ সম্পন্ন হইবে।
একথা হয়তো তোমার বিশ্বাস হইবে না, একবার মহাত্মা গান্ধীর কথা ভাবিয়া দেখো দেখি!
একথা হয়তো তোমার বিশ্বাস হইবে না, একবার মহাত্মা গান্ধীর কথা ভাবিয়া দেখো দেখি! তিনি ভারতে কি অসাধ্য সাধন করিতে পারিয়াছেন! তিনি যদি এমনি করিয়া প্রাণ খুলিয়া ইহাদের সহিত না মিশিতেন, ইহাদের সুখ-দুঃখের এমন করিয়া ভাগী না হইতেন, ইহাদিগকে যদি নিজের বুকের রক্ত দিয়া, তাহারা খাইতে পাইল না বলিয়া নিজেও তাহাদের সঙ্গে উপবাস করিয়া ইহাদিগকে নিতান্ত আপনার করিয়া না তুলিতেন, তাহা হইলে আজ তাঁহাকে কে মানিত? কে তাঁহার কতায় কর্ণপাত করিত? কে তাঁহার একটি ইঙ্গিতে এমন করিয়া বুক বাড়াইয়া মরিতে পারিত? তাঁহার আভিজাত্য-গৌরব নাই, পদ-গৌরবের অহঙ্কার নাই, অনায়াসে প্রাণের মুক্ত উদারতা লইয়া তোমাদের ঘৃণ্য এই ‘ছোটলোক’কে বক্ষে ধরিয়া ভাই বলিয়া ডাকিয়াছেন-সে আহ্বানে জাতিভেদ নাই, ধর্মভেদ নাই, সমাজভেদ নাই-সে যে ডাকার মতো ডাকা-তাই নিখিল ভারতবাসী, এই উপেক্ষিত হতভাগারা তাঁহার দিকে এত হা হা করিয়া ব্যগ্র বাহু মেলিয়া ছুটিয়াছে। হায়, তাহাদের যে আর কেহ কখনো এমন করিয়া এত বুকভরা স্নেহ দিয়া আহ্বান করেন নাই! এ মহা-আহ্বানে কি তাহারা সাড়া না দিয়া পারে? যদি পারো, এমনি করিয়া ডাকো, এমনি করিয়া এই উপেক্ষিত শক্তির বোধন করো-দেখিবে ইহারাই দেশে যুগান্তর আনিবে, অসাধ্য সাধন করিবে। ইহাদিগকে উপেক্ষা করিবার, মানুষকে মানুষ হইয়া ঘৃণা করিবার, তোমার কি অধিকার আছে? এহা তো আত্মার ধর্ম নয়।
তাহার আত্মা তোমার আত্মার মতোই ভাস্বর, আর একই মহা-আত্মার অংশ।
তাহার আত্মা তোমার আত্মার মতোই ভাস্বর, আর একই মহা-আত্মার অংশ। তোমার জন্মগত অধিকারটাই কি এত বড়? তুমি যদি এই চণ্ডাল বংশে জন্মগ্রহণ করিতে, তাহা হইলে তোমার মতো ভদ্রলোকদের দেওয়া এই সব হতাদর উপেক্ষার আঘাত, বেদনার নির্মমতা একবার কল্পনা করিয়া দেখো দেখি-ভাবিতে তোমার আত্মা কি শিহরিয়া উঠিবে না? আমাদের এই পতিত, চণ্ডাল, ‘ছোটলোক’ ভাইদের বুকে করিয়া তাহাদিগকে আপন করিয়া লইতে, তাহাদেরই মতো দীন বসন পরিয়া, তাহাদের প্রাণে তোমারও প্রাণ সংযোগ করিয়া উচ্চ শিরে তার সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াও, দেখিবে বিশ্ব তোমাকে নমস্কার করিবে। এস, আমাদের উপেক্ষিত ভাইদের হাত ধরিয়া আজ বোধন-বাঁশিতে সুর দিই-‘কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য, কিসের লজ্জা, কিসের ক্লেশ!’
মসীময়- কালিমাখাময়, অন্ধকারাচ্ছন্ন, চণ্ডাল-চাড়াল, হিন্দু বর্ণব্যবস্থায়
মসীময়- কালিমাখাময়, অন্ধকারাচ্ছন্ন, চণ্ডাল-চাড়াল, হিন্দু বর্ণব্যবস্থায় নিমড়ববর্গের লোক, বোধন-বাঁশি- বোধ জাগিয়ে তোলার বাঁশি, দৈন্য- দারিদ্র্য, দীনতা।
‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ শীর্ষক প্রবন্ধটি আবদুল আজীজ-আল আমান সম্পাদিত‘ নজরুল রচনাসম্ভার’ নামক গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড থেকে নেয়া হয়েছে।
‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ শীর্ষক প্রবন্ধটি আবদুল আজীজ-আল আমান সম্পাদিত‘ নজরুল রচনাসম্ভার’ নামক গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড থেকে নেয়া হয়েছে।
অবিভক্ত ভারতবর্ষের পটভূমিতে লেখক প্রবন্ধটি সম্পাদন করে পাঠ্যভুক্ত করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী মানসিকতার পরিচয় ফুটে উঠেছে। একটি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছোটবড়, উঁচুনিচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করা আবশ্যক। বিশ্বের বুকে একটি জাতি মর্যাদাবান রাষ্ট্র গঠন করতে প্রতিটি দেশের মনীষীগণ আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। তাদের নির্দেশিত পথে যদি আমরা পরিভ্রমণ করতে পারি তবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে।
লেখক পরিচিতি
কাজী নজরুল ইসলাম ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ সালে (২৫শে মে ১৮৯৯) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেবেলায় তিনি লেটো গানের দলে যোগ দেন। পরে বর্ধমানে ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯১৪ সালে তিনি সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানেই তাঁর সাহিত্য জীবনের সূচনা ঘটে। তাঁর লেখায় তিনি সামাজিক অবিচার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এজন্য তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’ বলা হয়। বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর আবির্ভাব এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখায় তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি গজল, খেয়াল ও রাগপ্রধান গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। আরবি-ফারসি শব্দের সার্থক ব্যবহার তাঁর কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে। মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে কবি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় আনা হয় এবং পরে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। তাঁর রচিত কাব্যগুলোর মধ্যে অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়শিখা, চক্রবাক, সিন্ধুহিন্দোল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা, মৃতুক্ষুধা, কুহেলিকা ইত্যাদি তাঁর রচিত গল্প ও উপন্যাস। যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী ও রাজবন্দীর জবানবন্দী তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে কবি ঢাকা পি.জি. হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদসংলগ্ন প্রাঙ্গণে তাঁকে পরিপূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন অধ্যায়ের সকল বহুনির্বাচনী সাজেশন
১. মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সবাই ব্যগ্র হয়ে ছুটে যেত কেন?
ক) তিনি সাধারণের কাতারে নেমেছিলেন বলে
খ) তিনি মানুষকে মুক্তির কথা শোনাতেন বলে
গ) তিনি সবাইকে অর্থ সাহায্য দিতেন বলে
ঘ) তিনি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন বলে
সঠিক উত্তর: (ক)
২. কাজী নজরুল ইসলাম কাদের হাত ধরতে আহবান করেছেন?
ক) নেতৃত্বদানকারীদের
খ) উপেক্ষিত ভাইদের
গ) প্রতারকদের
ঘ) যারা হাতে অস্ত্র নিয়ে আছে তাদের
সঠিক উত্তর: (খ)
৩. কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি?
ক) কুহেলিকা
খ) যুবগাণী
গ) অগ্নিবীনা
ঘ) মৃত্যুক্ষুধা
সঠিক উত্তর: (খ)
৪. উপেক্ষিত শক্তি কী আনতে পারে?
ক) ভেদাভেদ
খ) সাম্প্রদায়িকতা
গ) সন্দেহ
ঘ) পরিবর্তন
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৫. ‘মন তুমি জান কি – তোমাতে বিরাজে খোদা ওর থেকে ও নয় সে জুদা।’ যে বক্তব্যকে এ উক্তির পরিণতি বিবেচনা করা যায় তা হলো –
i. মহাজাগরণের দিনে আমাদের সে শক্তিকে ভুলিলে চলিবে না
ii. সে ও যে এক আল্লাহর সৃষ্টি
iii. তাহার আত্মা তোমার আত্মার মতোই একই মহা আত্মার অংশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
৬. তথাকথিত হতভাগাদের অবহেলা করার ফলে আমাদের কোনটি গড়ে উঠতে পারছে না?
ক) সমাজতন্ত্র
খ) গণতন্ত্র
গ) অধিকার
ঘ) জাতীয়তা
সঠিক উত্তর: (খ)
৭. অগ্নিবীণা ও বিষের বাঁশি কোন ধরনের রচনা?
ক) কাব্যগ্রন্থ
খ) নাটক
গ) উপন্যাস
ঘ) ছোটগল্প
সঠিক উত্তর: (ক)
৮. “ঐ তথাকথিত ‘ছোটলোক’-এর অন্তর কাঁচের ন্যায় স্বচ্ছ।” এখানে ছোটলোকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত –
i. মেহনতি মানুষ
ii. শ্রমিক সম্প্রদায়
iii. সাধারণ চাকরিজীবী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
৯. কত বছর বয়সে কাজী নজরুল বাকশক্তি হারান?
ক) ৪৩ বছর
খ) ৪২ বছর
গ) ৪১ বছর
ঘ) ৪০ বছর
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১০. কোনটি ব্যতিত জাতীয় উন্নতি সম্ভব নয়?
ক) সামষ্টিক অনুভূতি
খ) ব্যক্তিগত অনুভূতি
গ) ত্যাগের অনুভূতি
ঘ) সহমর্মিতার অনুভূতি
সঠিক উত্তর: (ক)
১১. কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাকশক্তি হারিয়েছিলেন –
ক) দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে
খ) দুর্ঘটনায় পড়ে
গ) ভুল চিকিৎসার কারণে
ঘ) যুদ্ধে বাকযন্ত্রের ক্ষতির কারণে
সঠিক উত্তর: (ক)
১২. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে ‘ছোটলোক’ হচ্ছে –
i. উপেক্ষিত শক্তি
ii. দশ আনা শক্তি
iii. অসহায় শক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
১৩. কাজী নজরুল ইসলামের মতে সত্যিকারের মানুষ হচ্ছে –
i. তথাকথিত ছোটলোক
ii. উপেক্ষিত হতভাগারা
iii. ভদ্র সম্প্রদায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)
১৪. ‘চক্রবাক’ কাজী নজরুল ইসলামের কী জাতীয় রচনা?
ক) গল্প
খ) কাব্যগ্রন্থ
গ) উপন্যাস
ঘ) নাটক
সঠিক উত্তর: (খ)
১৫. কাজী নজরুল ইসলামের মতে উপেক্ষিত শক্তির নির্ভরশীলতার পরিমাণ –
ক) আট আনা
খ) ছয় আনা
গ) নয় আনা
ঘ) দশ আনা
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১৬. কাজী নজরুল ইসলামের গ্রামের নাম কী?
ক) চুরুলিয়া
খ) জোড়াসাঁকো
গ) কাজির শিমলা
ঘ) আসানসোল
সঠিক উত্তর: (ক)
১৭. ছোটলোক সম্প্রদায় জন্ম হতে –
i. সুখ ভোগ করে থাকে
ii. ঘৃণা পেয়ে থাকে
iii. উপেক্ষা পেয়ে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
১৮. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখক কোন অবদানকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
ক) উপেক্ষিত শক্তির বিনাশ
খ) উপেক্ষিত শক্তির অবহেলা
গ) উপেক্ষিত শক্তি মূল্যায়ন
ঘ) উপেক্ষিত শক্তির আবির্ভাব
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১৯. ‘মসীময়’ এর সাথে সাদৃশ্য রয়েছে –
ক) কলমের কালির
খ) মৌমাছির চোখের
গ) মৌমাছির রঙের
ঘ) মহৎ মনের
সঠিক উত্তর: (ক)
২০. কাজী নজরুল ইসলাম সোচ্চার ছিলেন –
i. সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে
ii. পরাধীনতার বিরুদ্ধে
iii. ঔপনিবেশিক জান্তার বিরুদ্ধে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২১. ‘বোধন’ শব্দটি নজরুল ইসলাম কোন অর্থে প্রয়োগ করেছেন?
ক) বাধ্যবাধকতা
খ) উদ্বুদ্ধকরণ
গ) অভিষেক
ঘ) উন্নয়ন
সঠিক উত্তর: (খ)
২২. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ না হওয়ার কারণ –
i. ছোটলোক বলে অবহেলা
ii. সহজ-সরল জীবনযাপন
iii. ভদ্র সম্প্রদায়ের অত্যাচার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)
২৩. ‘হাবিব সাহেব অভিজাত বংশের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও ধনী-গরিব, কুলি-মজুর, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বুকে টেনে নেন।’ হাবিব সাহেবের মানসিকতার সাথে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের যে চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে –
i. মহাত্মা গান্ধীর
ii. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
iii. কাজী নজরুল ইসলাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)
২৪. কাজী নজরুল ইসলাম ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কোন মহাপুরুষের উদাহরণ টেনেছেন?
ক) কামাল আতাতুর্ক
খ) মহাত্মা গান্ধী
গ) হাজী মুহম্মদ মোহসীন
ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
সঠিক উত্তর: (খ)
২৫. ধান থেকে চাল তৈরির লোকজ যন্ত্রের নাম কী?
ক) বরজ
খ) গোলা
গ) কুলা
ঘ) ঢেঁকি
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২৬. কবি ‘তথাকথিত’ শব্দ দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
ক) যথোচিত
খ) সুনিশ্চিত
গ) অবহেলিত
ঘ) মনগড়া
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২৭. কত বছর বয়সে কাজী নজরুল অসুস্থ হন?
ক) আটত্রিশ বচর বয়সে
খ) তেতাল্লিশ বছর বয়সে
গ) পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে
ঘ) ছিয়াত্তর বছর বয়সে
সঠিক উত্তর: (খ)
২৮. ভারতের অসাধ্য সাধন রাজনীতির শিল্পী –
ক) ভারতচন্দ্র
খ) মহাত্মা গান্ধী
গ) ভারতের সেনাবাহিনী
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সঠিক উত্তর: (খ)
২৯. ‘আমাদের দশ আনা শক্তি নির্ভর করিতেছে’ – এখানে ‘দশ আনা’ শব্দগুচ্ছ দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
ক) সমগ্র
খ) সিংহভাগ
গ) শতভাগ
ঘ) আপামর
সঠিক উত্তর: (খ)
৩০. ভারতবাসী মহাত্মা গান্ধীর কথা কর্ণপাত করেন –
i. তিনি বুকের রক্ত দিয়েছেন বলে
ii. তাদের সুখ-দুঃখে সাথী হয়েছেন বলে
iii. তাদের জন্য উপোস করেছেন বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)
এছাড়া ও এই অধ্যায়ের আরো অনেকগুলো MCQ সাজেশন পেতে নিচের পিডিএফ ফাইল টি ডাউনলোড করে নিন
PDF File Download From Here
📝 সাইজঃ- 286 KB
📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 7
Download From Google Drive
Download
Direct Download
Download