এস.এস.সি.বাংলা প্রথম পত্র অধ্যায় – ২৫ আমার পরিচয় পদ্য – এর সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর PDF ডাউনলোড করুন

নবম-দশম শ্রেণির আমার পরিচয় অধ্যায়ের  সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর পিডিএফ Download 

SSC Bangla 1st Paper MCQ Question With Answer

এখানের সবগুলো প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ আকারে নিচে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

লেখক পরিচিতি

সৈয়দ শামসুল হক ২৭শে ডিসেম্বর ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে কুড়িগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ডা. সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন এবং মাতার নাম সৈয়দা হালিমা খাতুন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। একসময় পেশায় সাংবাদিকতাকে বেছে নিলেও পরবর্তী সময়ে তিনি সার্বক্ষণিক সাহিত্যকর্মে নিমগ্ন থেকে বৈচিত্র্যময় সম্ভারে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও নাটক রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাও রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ অনেক সাহিত্য-পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা, অগ্নি ও জলের কবিতা, রাজনৈতিক কবিতা; গল্প : শীত বিকেল, রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো; উপন্যাস: বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ; নাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরুলদীনের সারাজীবন, ঈর্ষা; শিশুতোষ গ্রন্থ : সীমান্তের সিংহাসন।

সৈয়দ শামসুল হক ২৭শে ডিসেম্বর ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে কুড়িগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ডা. সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন এবং মাতার নাম সৈয়দা হালিমা খাতুন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। একসময় পেশায় সাংবাদিকতাকে বেছে নিলেও পরবর্তী সময়ে তিনি সার্বক্ষণিক সাহিত্যকর্মে নিমগ্ন থেকে বৈচিত্র্যময় সম্ভারে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও নাটক রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাও রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ অনেক সাহিত্য-পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা, অগ্নি ও জলের কবিতা, রাজনৈতিক কবিতা; গল্প : শীত বিকেল, রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো; উপন্যাস: বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ; নাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরুলদীনের সারাজীবন, ঈর্ষা; শিশুতোষ গ্রন্থ : সীমান্তের সিংহাসন।

আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি

আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি

আমি বাংলার আলপথ দিয়ে হাজার বছর চলি।

চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।

তেরোশত নদী শুধায় আমাকে, ‘কোথা থেকে তুমি এলে?’

আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে।

আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে।

আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।

আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে।

আমি তে এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।

এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে।

এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে।

এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির-বেদি থেকে।

এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনামসজিদ থেকে।

এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।

আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারো ভূঁইয়ার থেকে।

আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারো ভূঁইয়ার থেকে।

আমি তো এসেছি ‘কমলার দিঘি’, ‘মহুয়ার পালা’ থেকে।

আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরিয়ত থেকে।

আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে।

এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে।

এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে।

এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে।

এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে।

এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।

আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে।

আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে।

আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।

এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে।

শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে’?

তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শোন নাই –

তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শোন নাই –

‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’

একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজও একসাথে থাকবই –

সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই।

আলপথ – জমির সীমানার পথ। এখানে হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতির পথ চলার কথা বলা হয়েছে;

আলপথ – জমির সীমানার পথ। এখানে হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতির পথ চলার কথা বলা হয়েছে; চর্যাপদ – বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-ঐতিহ্যের প্রথম নিদর্শন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি উদ্ধার করেন। ছয়শত শতাব্দী থেকে এগারশ শতকের মধ্যে পদগুলো রচিত হয়েছে। এই পদগুলোর মধ্যে প্রাচীন বাংলার অতি সাধারণ মানুষের প্রাণময় জীবন চিত্র ফুটে উঠেছে; সওদাগরের ডিঙার বহর – মঙ্গলকাব্যে চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যের কথা আছে। কবি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐতিহ্য বোঝাতে এই লোককাহিনীর আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। কৈবর্ত বিদ্রোহ – আনুমানিক ১০০-৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মহীপালের বিরুদ্ধে অনন্ত-সামন্ত-চক্র মিলিত হয়ে যে বিদ্রোহ করেন তা-ই আমাদের ইতিহাসে কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে খ্যাত। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন কৈবর্ত সম্প্রদায়ের লোক। তাঁর নাম দিব্য বা দিব্বোক। বাঙালি জাতির বিদ্রোহের ঐতিহ্য বোঝাতে এই বিদ্রোহের উল্লেখ করা হয়েছে। পালযুগ – ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গোপালের রাজ্য শাসনের মধ্য দিয়ে বঙ্গে পালযুগের সূচনা হয়। তারপর চারশত বছর পাল বংশের রাজত্ব টিকে ছিল। এ সময় শিল্প-সাহিত্যের অসামান্য বিকাশ সাধিত হয়। চিত্রকলায়ও এই সময়ের সমৃদ্ধি লক্ষযোগ্য। কবি আমাদের শিল্পের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বোঝাতে পালযুগের চিত্রকলার উল্লেখ করেছেন। পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার – বর্তমান নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানায় পাহাড়পুর গ্রামে এই প্রাচীন বিহার

অবস্থিত। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় পাল রাজা শ্রী ধর্মপালদেব (রাজত্বকাল ৭৭৭-৮১০ খ্রি.) এই বিশাল বিহার তৈরি করেছিলেন। একে সোমপুর বিহারও বলা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিহারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কবি আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের পরিচয় দিতে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারের উল্লেখ করেছেন। বরেন্দ্রভূমে সোনামসজিদ – বরেন্দ্রভূমে সোনামসজিদ বলতে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ছোট সোনামসজিদকে বোঝানো হয়েছে। বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে অবস্থিত। হোসেন শাহের (রাজত্বকাল ১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি.) আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। অসাধারণ শিল্পসৌন্দর্যমণ্ডিত স্থাপত্যকর্ম হিসেবে সোনামসজিদ অন্যতম। কবি আমাদের মুসলিম ঐতিহ্যের সুমহান নিদর্শন দিয়ে এটি উল্লেখ করেছেন; দেউল – দেবালয়; সার্বভৌম বারোভূঁইয়া – বাংলায় পাঠান করানী বংশের রাজত্ব দুর্বল হয়ে পড়লে খুলনা, বরিশাল, সোনারগাঁও, ময়মনসিংহ ও শ্রীহট্টে স্বাধীন জমিদারদের উত্থান ঘটে। ১৫৭৫ সালে মোগল সম্রাট আকবর বাংলা জয় করার পর এই স্বাধীন জমিদারগণ ঈসা খাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোগল শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ইতিহাসে এঁরাই বারোভূঁইয়া নামে পরিচিত। এঁরা হলেন ঈশা খাঁ, চাঁদ রায়, কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য, লক্ষ্মণ মাণিক্য প্রমুখ; কমলার দীঘি – মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা; মহুয়ার পালা – মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা; তিতুমীর – চব্বিশ পরগনা জেলার হায়দরপুর গ্রামে ১৭৮২ সালে মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অত্যাচারী ইংরেজি ও হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন। ১৮৩১ সালের ১৯শে নভেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শহিদ হন। হাজী শরীয়ত – হাজী শরীয়তউল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০ খ্রি.) মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার সামাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘকাল মক্কায় অবস্থান করে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে অগাধ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি ধর্মকে আশ্রয় করে সকল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তাঁর এই আন্দোলনকে ফরায়েজি আন্দোলন বলে। এরপর তিনি আবদুল ওহাব নামক এক ধর্মসংস্কারকের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ওহাবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি সাধারণ মানুষকে ধর্মের প্রকৃত রূপ ও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া বিদেশি শাসন-শোষণ; জমিদার, জোতদার ও মহাজনদের অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করেন। ক্ষুদিরাম – ক্ষুদিরাম বসু (১৮৮৯-১৯০৮ খ্রি.) মেদিনীপুর জেলার মৌবনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলবশত দুইজন ইংরেজ মহিলাকে হত্যা

করেন। ১৯০৮ সালের ১১ই আগস্ট এই মহান বিপ্লবীর ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়। সূর্য সেন- মাস্টার দা সূর্য সেন (১৮৯৩-১৯৩৪ খ্রি.) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজীবন তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি চট্টগ্রামকে ইংরেজমুক্ত করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। কিন্তু বেশিদিন তা রক্ষা করতে পারেন নি। ১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারি তাঁর ফাঁসি হয়। জয়নুল- জয়নুল আবেদিন (১৯১৪-১৯৭৬ খ্রি.) কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন। ‘শিল্পাচার্য’ হিসেবে তিনি খ্যাত। দেশজ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমিতে তাঁর বিপুল শিল্পকর্ম রচিত। দুর্ভিক্ষ তাড়িত জীবন ও জগতের ছবি এঁকে তিনি অসামান্য এক জীবন-তৃষ্ণার পরিচয় দিয়েছেন। বাংলাদেশে শিল্পকলা আন্দোলনের তিনি পথিকৃত। অবনঠাকুর – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১ খ্রি.) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তবে শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও তিনি অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ – ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার অধিকারের জন্য এদেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ঢাকার রাজপথ। আর সেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সাফল্যের পথ ধরেই সূচিত হয় স্বাধীনতা আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫ খ্রি.) ফরিদপুর জেলার (বর্তমান গোপালগঞ্জ) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাঙালি জাতির তিনি অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা। তাঁর বিস্ময়কর প্রতিভাদীপ্ত নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ অতিক্রম করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়লাভ করে। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক। জয়বাংলা – মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে অসাধারণ এক প্রেরণা সঞ্চারী শব্দমালা। এই শ্লোগান ঐক্য ও সংহতির প্রতীক।

সৈয়দ শামসুল হকের ‘কিশোর কবিতা সমগ্র’ থেকে ‘আমার পরিচয়’ পাঠ্য কবিতাটি সম্পাদিত আকারে নেয়া হয়েছে।

সৈয়দ শামসুল হকের ‘কিশোর কবিতা সমগ্র’ থেকে ‘আমার পরিচয়’ পাঠ্য কবিতাটি সম্পাদিত আকারে নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ। আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন এই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার পশ্চাতে আছে সমৃদ্ধ এক ইতিহাস। সৈয়দ শামসুল হক গভীর মমত্বের সঙ্গে কবিতার আঙ্গিকে চিত্রিত করেছেন সমৃদ্ধ সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমি। সহজিয়াপন্থী বৌদ্ধ কবিদের সৃষ্ট চর্যাপদের মধ্যে বাঙালি জাতিসত্তার যে অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধের পরিচয় মুদ্রিত হয়ে আছে যুগে যুগে নানা আন্দোলন, বিপ্লব-বিদ্রোহ, আর মতাদর্শের বিকাশ হতে হতে আমরা এসে পৌঁছেছি আজকের বাংলায়। সৈয়দ শামসুল হক এই বিবর্তনের বিচিত্র বাঁক ও মোড় তাৎপর্যময় করে তুলেছেন। চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্য যাত্রা, কৈবর্তবিদ্রোহ, পালযুগের চিত্রকলা আন্দোলন, বৌদ্ধবিহারের জ্ঞানচর্চা, মুসলিম ধর্ম ও সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ, বারোভূঁইয়াদের উত্থান, ময়মনসিংহ গীতিকার জীবন, তিতুমীর আর হাজী শরীয়তের বিদ্রোহ, রবীন্দ্র-নজরুলের কালজয়ী সৃষ্টি, বৃটিশ-বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ।

লেখক পরিচিতি

সৈয়দ শামসুল হক ২৭শে ডিসেম্বর ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে কুড়িগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ডা. সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন এবং মাতার নাম সৈয়দা হালিমা খাতুন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। একসময় পেশায় সাংবাদিকতাকে বেছে নিলেও পরবর্তী সময়ে তিনি সার্বক্ষণিক সাহিত্যকর্মে নিমগ্ন থেকে বৈচিত্র্যময় সম্ভারে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও নাটক রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাও রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ অনেক সাহিত্য-পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা, অগ্নি ও জলের কবিতা, রাজনৈতিক কবিতা; গল্প : শীত বিকেল, রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো; উপন্যাস: বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ; নাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরুলদীনের সারাজীবন, ঈর্ষা; শিশুতোষ গ্রন্থ : সীমান্তের সিংহাসন।

‘আমার পরিচয়’ অধ্যায়ের সকল বহুনির্বাচনী সাজেশন

১. ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় আউল-বাউলদের দেউল কী দিয়ে তৈরি?
 ক) চিত্রকলা
 খ) ছন
 গ) মাটি
 ঘ) পাটকাঠি
 সঠিক উত্তর: (গ)
 ২. কবি তাঁর পরিচয় শনাক্ত করেছেন –
 ক) হাজার বছরের পটভূমিতে
 খ) পারিবারিক ঐতিহ্যে
 গ) বংশের গতিধারায়
 ঘ) সমকালীন পটভূমিতে
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৩. সৈয়দ শামসুল হকের ক্ষেত্রে যা সত্য –
i কবি
ii কথাসাহিত্যিক
iii. নাট্যকার
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৪. সৈয়দ শামসুল হক কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
 ক) ২৭ ডিসেম্বর
 খ) ২৮ ডিসেম্বর
 গ) ২৯ ডিসেম্বর
 ঘ) ৩০ ডিসেম্বর
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৫. ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি চর্যাপদের কোন উপাদান থেকে এসেছেন?
 ক) পঙক্তি
 খ) অক্ষর
 গ) ছন্দ
 ঘ) ভাব
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৬. মুসলমানদের ফরজ কাজসমূহ পালনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আন্দোলন করেন কে?
 ক) সূর্য সেন
 খ) হাজী শরীয়তউল্লাহ
 গ) তিতুমীর
 ঘ) শেখ মুজিবুর
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৭. কবি হাজার চরণ চিহ্ন কোথায় ফেলে এসেছেন?
 ক) যুদ্ধক্ষেত্রে
 খ) রাজপথে
 গ) বীজমন্ত্রে
 ঘ) পেছনে
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৮. রাজা ধর্মপালদেবের রাজত্বকাল হলো –
 ক) ৭৭৭-৮১০ খ্রি:
 খ) ৭৮৩-৮০১ খ্রি:
 গ) ৭৯১-৮১৭ খ্রি:
 ঘ) ৭৯৮-৮২৩ খ্রি:
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৯. ‘চর্যাপদ’ কী?
 ক) মধ্যযুগের কাব্য
 খ) বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন
 গ) বাংলা গদ্যের আদি নিদর্শন
 ঘ) বাংলা আধুনিক কবিতার প্রথম নিদর্শন
 সঠিক উত্তর: (খ)
 ১০. পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার কোন জেলায় অবস্থিত?
 ক) বগুড়া
 খ) নওগাঁ
 গ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ
 ঘ) রাজশাহী
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ১১. ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাংলা লোকসাহিত্যের উপাদানগুলো হলো –
i. কমলার দীঘি
ii. মহুয়ার পালা
iii. সওদাগরের ডিঙা
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii

খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ১২. মাস্টার দা সূর্য সেন আজীবন কী করেছেন?
 ক) ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ
 খ) ধর্ম সাধনা
 গ) সন্ন্যাসী জীবনযাপন
 ঘ) ব্রিটিশদের তাবেদারি
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ১৩. তিতুমীর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
 ক) ১৭৬২
 খ) ১৮২৬
 গ) ১৭৭২
 ঘ) ১৭৮২
 সঠিক উত্তর: (ঘ)
 ১৪. হাজী শরিয়তউল্লাহ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
 ক) মাদারীপুর
 খ) নাটোর
 গ) ময়মনসিংহ
 ঘ) জামালপুর
 সঠিক উত্তর: (ক)

১৫. জয়নুল আবেদিন ছবি আঁকতেন –
i. দুর্ভিক্ষতাড়িত জীবন ও জগতের
ii. দেশজ ইতিহাসের
iii. ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ১৬. ‘গীতাঞ্জলি’ কী?
 ক) নজরুলের কবিতার বই
 খ) রবীন্দ্রনাথের কবিতার বই
 গ) নজরুলের গানের বই
 ঘ) রবীন্দ্রনাশের গানের স্বরলিপি
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ১৭. কবি যে কারণে বলেছেন, ‘হাজার চরণ চিহ্ন পেছনে ফেলে এসেছি।’ তা হলো –
i. হাজার বছর ধরে বাংলায় বসবাস করা হচ্ছে
ii. হাজার বছরের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও ধর্ম নিয়ে বসবাস করা হচ্ছে
iii. বাঙালি জাতিগতভাবে পৃথক মনোভাবের জাতি
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ১৮. ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কোন যুগের চিত্রকলার কথা আছে?
 ক) মুঘল যুগের
 খ) পাল যুগের
 গ) সুলতানি যুগের
 ঘ) পাঠান যুগের
সঠিক উত্তর: (খ)

 ১৯. নিচের কোন জন ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন না?
 ক) ক্ষুদিরাম
 খ) সূর্যসেন
 গ) তিতুমীর
 ঘ) জয়নুল
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ২০. সৈয়দ শামসুল হক যে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন –
i. একুশে পদক
ii. স্বাধীনতা পদক
iii. বাংলা একাডেমী পুরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii

গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ২১. বাঙালির হাজার বছরের পথ চলা হচ্ছে –
i. বাঙালির অস্তিত্ব
ii. বাংলা সামনে এগুচ্ছে
iii. বাংলার ক্লান্তি নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i
 খ) ii
 গ) iii
 ঘ) ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ২২. বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল –
i. শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য
ii. অস্তিত্ব রক্ষার জন্য
iii. মানুষের যুদ্ধংদেহী মনোভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

 

 ২৩. কবি তাঁর পরিচয় খুঁজে পেয়েছেন –
i. ইতিহাসের ধারাবাহিকতায়
ii. ঐতিহ্যের ধারায়
iii. সাম্যবাদী চেতনায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ২৪. কবি হাজার বছর চলেন কোন পথ দিয়ে?
 ক) গলিপথ
 খ) মেঠোপথ
 গ) আলপথ
 ঘ) রাজপথ
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ২৫. চর্যাপদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে –
i. বৌদ্ধ সহজিয়াদের
ii. নেপালের রাজদরবারের
iii. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর
নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ২৬. সৈয়দ শামসুল হকের কোন গ্রন্থ থেকে ‘আমার পরিচয়’ শীর্ষক কবিতাটি সম্পাদিত আকারে চয়ন করা হয়েছে?
 ক) অগ্নি ও জলের কবিতা
 খ) রাজনৈতিক কবিতা
 গ) একদা এক রাজ্যে
 ঘ) কিশোর কবিতা সমগ্র
 সঠিক উত্তর: (ঘ)
 ২৭. ‘বজ্রকন্ঠ’ কার কন্ঠকে বলা হয়?
 ক) শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
 খ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
 গ) মওলানা ভাসানী
 ঘ) জিয়াউর রহমান
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ২৮. পাল যুগের সাথে সম্পর্কিত –
i. কৈবর্ত বিদ্রোহ
ii. সোমপুর বিহার
iii. বড় সোনামসজিদ
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ২৯. পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার কে আবিষ্কার করেন?
 ক) স্যার রিচার্ডসন
 খ) স্যার উইলিয়ামসর
 গ) স্যার বিলিফোর্ড
 ঘ) স্যার কানিংহাম
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৩০. ‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’ নির্দেশ করে –
i. বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের দীর্ঘপথ
ii. বাঙালি জাতির বিদ্রোহের ঐতিহ্য
iii. বাঙালির অতীত ইতিহাস খারাপ
নিচের কোনটি সঠিক?
 ক) i ও ii
 খ) ii ও iii
 গ) i ও iii
 ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

এছাড়া ও এই অধ্যায়ের আরো অনেকগুলো MCQ সাজেশন পেতে নিচের পিডিএফ ফাইল টি ডাউনলোড করে নিন

PDF File Download From Here

? সাইজঃ- 223 KB

? পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 7

Download From Google Drive

Download

  Direct Download 

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here