এস.এস.সি বাংলা ১ম পত্র অধ্যায় – ১১: গদ্য – মমতাদি এর সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর PDF ডাউনলোড করুন

নবম-দশম শ্রেণির মমতাদি অধ্যায়ের এর সকল তথ্য ও MCQ প্রশ্নোত্তর পিডিএফ Download 

SSC Bangla 1st Paper MCQ Question With Answer

এখানের সবগুলো প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ আকারে নিচে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

লেখক পরিচিতি

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা নীরদাসুন্দরী দেবী। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর অঞ্চলের মালবদিয়া গ্রাম এবং মায়ের বাড়ি একই অঞ্চলের গাঁওদিয়া গ্রাম। ১৯২৬ সালে তিনি মেদিনীপুর জেলাস্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯২৮ সালে বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন। তারপর গণিতে অনার্স নিয়ে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ’অতসীমামী’ নামক গল্প বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে লেখক হিসেবে তাঁর নিয়তি নির্ধারিত হয়ে যায়। এ সময় তিনি লেখা নিয়ে এতই মগ্ন থাকেন যে অসাধারণ এই কৃতী ছাত্রের আর অনার্স পাশ করা হয়নি। মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি তাঁর বিখ্যাত ’দিবারাত্রির কাব্য’ রচনা করেন। এরপর তিনি লেখালেখিকেই জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেন। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ও ‘পুতুল নাচের’ ইতিকথা লিখে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন। পঞ্চাশটিরও অধিক উপন্যাস তিনি রচনা করেন। এর মধ্যে জননী, চিহ্ন, সহরতলী, অহিংস, চতুষ্কোণ তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর এই মহান লেখক মৃত্যুবরণ করেন।

শীতের সকাল। রোদে বসে আমি স্কুলের পড়া করছি, মা কাছে বসে ফুলকপি কুটছেন।

শীতের সকাল। রোদে বসে আমি স্কুলের পড়া করছি, মা কাছে বসে ফুলকপি কুটছেন। সে এসেই বলল, আপনার রান্নার জন্য লোক রাখবেন? আমি ছোট ছেলেমেয়েও রাখব। নিঃসঙ্কোচ আবেদন। বোঝা গেলো সঙ্কোচ অনেক ছিল, প্রাণপণ চেষ্টায় অতিরিক্ত জয় করে ফেলেছে। তাই যেটুকু সঙ্কোচ নিতান্তই থাকা উচিত তাও এর নেই। বয়স আর কত হবে, বছর তেইশ। পরনে সেলাইকরা ময়লা শাড়ি, পাড়টা বিবর্ণ লাল। সীমান্ত পর্যন্ত ঘোমটা, ঈষৎ বিশীর্ণ মুখে গাঢ় শ্রান্তির ছায়া, স্থির অচঞ্চল দুটি চোখ। কপালে একটি ক্ষত-চিহ্ন-আন্দাজে পরা টিপের মতো।

মা বললেন, তুমি রাঁধুনি? চমকে তার মুখ লাল হলো। সে চমক ও লালিমার

মা বললেন, তুমি রাঁধুনি? চমকে তার মুখ লাল হলো। সে চমক ও লালিমার বার্তা বোধহয় মার হৃদয়ে পৌঁছল, কোমল স্বরে বললেন, বোসো বাছা। সে বসল না। অনাবশ্যক জোর দিয়ে বলল, হ্যাঁ আমি রাঁধুনি। আমায় রাখবেন? আমি রান্না ছাড়া ছোট ছোট কাজও করব। মা তাকে জেরা করলেন। দেখলাম সে ভারি চাপা। মার প্রশ্নের ছাঁকা জবাব দিল। নিজে থেকে একটি কথা বেশি কইল না। সে বলল, তার নাম মমতা। আমাদের বাড়ি থেকে খানিক দূরে জীবনময়ের গলি। গলির ভেতরে সাতাশ নম্বর বাড়ির একতলায় সে থাকে। তার স্বামী আছে আর একটি ছেলে। স্বামীর চাকরি নেই চারমাস। সংসার আর চলে না। সে তাই পর্দা ঠেলে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছে। এই তার প্রথম চাকরি। মাইনে? সে তা জানে না। দুবেলা রেঁধে দিয়ে যাবে কিন্তু খাবে না।

পনের টাকা মাইনে ঠিক হলো। সে বোধহয় টাকা বারো আশা করেছিল,

পনের টাকা মাইনে ঠিক হলো। সে বোধহয় টাকা বারো আশা করেছিল, কৃতজ্ঞতায় দুচোখ সজল হয়ে উঠল। কিন্তু সমস্তটুকু কৃতজ্ঞতা সে নীরবেই প্রকাশ করল, কথা কইল না। মা বললেন-আচ্ছা, তুমি কাল সকাল থেকে এসো। সে মাথা হেলিয়ে সম্মতি জানিয়ে তৎক্ষণাৎ চলে গেলো। আমি গেটের কাছে তাকে পাকড়াও করলাম। শোন। এখুনি যাচ্ছ কেন? রান্নাঘর দেখবে না? আমি দেখিয়ে দিচ্ছি এসো। কাল দেখব-বলে সে এক সেকেন্ড দাঁড়াল না। আমায় তুচ্ছ করে দিয়ে চলে গেলো। ওকে আমার ভালো লেগেছিল। ওর সঙ্গে ভাব করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম তবু আমি ক্ষুণ্ণ হয়ে মার কাছে গেলাম। একটা বিস্মিত হয়েও। যার অমন মিষ্টি গলা। চোখে মুখে যার উপচে পড়া স্নেহ। তার ব্যবহার এমন রূঢ়! মা বললেন, পিছনে ছুটেছিলি বুঝি ভাব করতে? ভাবিস না, তোকে খুব ভালোবাসবে। বার বার তোর দিকে এমন করে তাকাচ্ছিল!

শুনে খুশি হলাম। রাঁধুনি পদপ্রার্থিনীর স্নেহ সেদিন অমন কাম্য মনে হয়েছিল

শুনে খুশি হলাম। রাঁধুনি পদপ্রার্থিনীর স্নেহ সেদিন অমন কাম্য মনে হয়েছিল কেন বলতে পারি না। পরদিন সে কাজে এলো। নীরবে নতমুখে কাজ করে গেলো। যে বিষয়ে উপদেশ পেল পালন করল। যে বিষয়ে উপদেশ পেল না নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করল। অনর্থক প্রশ্ন করল না। নির্দেশের অভাবে কোনো কাজ ফেলে রাখল না। সে যেন বহুদিন এবাড়িতে কাজ করছে বিনা আড়ম্বরে এমন নিখুঁত হলো তার কাজ। কাজের শৃঙ্খলা ও ক্ষিপ্রতা দেখে সকলে তো খুশি হলেন। মার ভবিষ্যৎ বাণী সফল করে সে যে আমার খুব ভালোবাসবে তার কোনো লক্ষণ না দেখে আমি হলাম ক্ষুণ্ণ। দুবার খাবার জল চাইলাম। চার-পাঁচবার রান্নাঘরে দিয়ে দাঁড়ালাম কিন্তু কিছুতেই সে আমায় ভালোবাসল না। বরং রীতিমতো উপেক্ষা করল। শুধু আমাকে নয় সকলকে। কাজগুলি সে আপনার করে নিল। মানুষগুলির দিকে ফিরেও তাকাল না। মার সঙ্গে মৃদুস্বরে দুই-একটি দরকারী কথা বলা ছাড়া ছটা থেকে বেলা সাড়ে দশটা অবধি একবার কাশির শব্দ পর্যন্ত করল না। সে যেন ছায়াময়ী মানবী। ছায়ার মতোই ম্লানিমার ঐশ্বর্যে মহীয়সী কিন্তু ধরা ছোঁয়ার অতীত শব্দহীন অনুভূতিহীন নির্বিকার।

রাগ করে আমি স্কুলে চলে গেলাম। সে কি করে জানবে মাইনে করা রাঁধুনির দূরে

রাগ করে আমি স্কুলে চলে গেলাম। সে কি করে জানবে মাইনে করা রাঁধুনির দূরে থাকাটাই সকলে তার কাছে আশা করছে না। তার সঙ্গে কথা কইবার জন্য বাড়ির ছোটকর্তা ছটফট করেছে! সপ্তাহখানেক নিজের নতুন অবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর সে আমার সঙ্গে ভাব করল। বাড়িতে সেদিন কুটুম এসেছিল, সঙ্গে এসেছিল একগাদা রসগোল্লা আর সন্দেশ। প্রকাশ্য ভাগটা প্রকাশ্যে খেয়ে ভাঁড়ার ঘরে গোপন ভাগটা মুখে পুরে চলেছি-কোথা থেকে সে এসে খপ করে হাত ধরে ফেলল। রাগ করে মুখের দিকে তাকাতে সে এমনভাবে হাসল যে লজ্জা পেলাম। বলল, দরজার পাশ থেকে দেখছিলাম আর কটা খাচ্ছ গুনছিলাম। যা খেয়েছ তাতেই বোধহয় অসুখ হবে আর খেয়ো না। কেমন? ভৎর্সনা নয়, আবেদন। মার কাছে ধরা পড়লে বকুনি খেতাম এবং এক খাবলা খাবার তুলে নিয়ে ছুটে পালাতাম। এর আবেদনে হাতের খাবার ফেলে দিলাম। সে বলল, লক্ষ্মী ছেলে। এসো জল খাবে। বাড়ির সকলে কুটুম নিয়ে অন্যত্র ব্যস্ত ছিল। জল খেয়ে আমি রান্নাঘরে আসন পেতে তার কাছে বসলাম। এতদিন তার গম্ভীর মুখই শুধু দেখেছিলাম।

আজ প্রথম দেখলাম, সে নিজের মনে হাসছে। আমি বললাম, বামুনদি-সে চমকে

আজ প্রথম দেখলাম, সে নিজের মনে হাসছে। আমি বললাম, বামুনদি-সে চমকে হাসি বন্ধ করল। এমনভাবে আমার দিকে তাকাল যেন আমি তাকে গাল দিয়েছি। বুঝতে না পেরেও অপ্রতিভ হলাম। কি হলো বামুনদি? সে এদিক ওদিক তাকাল। ডালে খানিকটা নুন ফেলে দিয়ে এসে হঠাৎ আমার গা ঘেঁষে বসে পড়ল। গম্ভীর মুখে বলল, আমায় বামুনদি বোলো না খোকা। শুধু দিদি বোলো। তোমার মা রাগ করবেন দিদি বললে? আমি মাথা নাড়লাম। সে ছোট এক নিঃশ্বাস ফেলে আমাকে এত কাছে টেনে নিল যে আমার প্রথম ভারি লজ্জা করতে লাগল। তারপর কিছুক্ষণ আমাদের যে গল্প চলল সে অপূর্ব কথোপকথন মনে করে লিখতে পারলে সাহিত্যে না হোক আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান লেখা হয়ে উঠত। হঠাৎ মা এলেন। সে দুহাতে আমাকে একরকম জড়িয়েই ধরে ছিল। হাত সরিয়ে ধরা পড়া চোরের মতো হঠাৎ বিব্রত হয়ে উঠল, দুচোখে ভয় দেখা দিল। কিন্তু সে মুহূর্তের জন্য। পরক্ষণে আমার কপালে চুম্বন করে মাকে বলল, এত কথা কইতে পারে আপনার ছেলে।

তখন বুঝিনি-আজ বুঝি স্নেহে সে আমায় আদর করেনি, নিজের গর্ব প্রতিষ্ঠার লোভে।

তখন বুঝিনি-আজ বুঝি স্নেহে সে আমায় আদর করেনি, নিজের গর্ব প্রতিষ্ঠার লোভে। মা যদি বলতেন, খোকা উঠে আয়- যদি কেবল মুখ কালো করে সরে যেতেন, পরদিন থেকে সে আর আসত না। পনের টাকার খাতিরেও না, স্বামীপুত্রের অনাহারের তাড়নাতেও না। মা হাসলেন। বললেন, ও ওইরকম। সারাদিন বকবক করে। বেশি আস্কারা দিও না, জ্বালিয়ে মারবে বলে মা চলে গেলেন। তার দুচোখ দিয়ে দুফোঁটা দুর্বোধ্য রহস্য টপটপ করে ঝরে পড়ল। মা অপমান করলে তার চোখ হয়তো শুকনোই থাকত। সম্মানে চোখের জল ফেলল! সে সম্মানের আগাগোড়া করুণা ও দয়া মাখা ছিল। সেটা বোধহয় তার সইল না।

তিন-চার দিন পরে তার গালে তিনটে দাগ দেখতে পেলাম। মনে হয়, আঙুলের দাগ।

তিন-চার দিন পরে তার গালে তিনটে দাগ দেখতে পেলাম। মনে হয়, আঙুলের দাগ। মাস্টারের চড় খেয়ে একদিন অবনীর গালে যে রকম দাগ হয়েছিল তেমনি। আমি ব্যস্ত হয়ে প্র্রশ্ন করলাম, তোমার গালে আঙ্গুলের দাগ কেন? কে চড় মেরেছে? সে চমকে গালে হাত চাপা দিয়া বলল, দূর! তারপর হেসে বলল, আমি নিজে মেরেছি! কাল রাত্রে গালে একটা মশা বসেছিল, খুব রেগে-মশা মারতে গালে চড়! বলে আমি খুব হাসলাম। সেও প্রথমটা আমার সঙ্গে হাসতে আরম্ভ করে গালে হাত ঘষতে ঘষতে আনমনা ও গম্ভীর হয়ে গেলো। তার মুখ দেখে আমারও হাসি বন্ধ হয়ে গেলো। চেয়ে দেখলাম, ভাতের হাঁড়ির বুদবুদফাটা বাষ্পে কি দেখে যেন তার চোখ পলক হারিয়েছে, নিচের ঠোঁট দাঁতে দাঁতে কামড়ে ধরেছে, বেদনায় মুখ হয়েছে কালো। সন্দিগ্ধ হয়ে বললাম, তুমি মিথ্যে বলছ দিদি। তোমায় কেউ মেরেছে।

সে হঠাৎ কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, না ভাই না। সত্যি বলছি না। কে মারবে?

সে হঠাৎ কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, না ভাই না। সত্যি বলছি না। কে মারবে? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে না পেয়ে আমাকে চুপ করে থাকতে হলো। তখন কি জানি তার গালে চড় মারার অধিকার একজন মানুষের আঠার আনা আছে! কিন্তু চড় যে কেউ একজন মেরেছে সে বিষয়ে আমার সন্দেহ ঘুচল না। শুধু দাগ নয়, তার মুখ চোখের ভাব, তার কথার সুর সমস্ত আমার কাছে ওকথা ঘোষণা করে দিল। বিবর্ণ গালে তিনটি রক্তবর্ণ দাগ দেখতে দেখতে আমার মন খারাপ হয়ে গেলো। আমি গালে হাত বুলিয়ে দিতে গেলাম কিন্তু সে আমার হাতটা টেনে নিয়ে বুকে চেপে ধরল। চুপি চুপি বলল, কারো কাছে যা পাই না, তুমি তা দেবে কেন? আমি অবাক হয়ে বললাম, কি দিলাম আমি? এ প্রশ্নের জবাব পেলাম না। হঠাৎ সে তরকারি নামাতে ভারি ব্যস্ত হয়ে পড়ল। পিঁড়িতে বসামাত্র খোঁপা খুলে পিঠ ভাসিয়া একরাশি চুল মেঝে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল কি একটা অন্ধকার রহস্যের আড়ালে সে যেন নিজেকে লুকিয়ে ফেলল। রহস্য বৈকি। গালে চড়ের দাগ, চিরদিন যে ধৈর্যময়ী ও শান্ত তার ব্যাকুল কাতরতা। ফিসফিস করে ছোট ছেলেকে শোনানো। কারও কাছে যা পাই না তুমি তা দেবে কেন? বুদ্ধির পরিমাণের তুলনায় এর চেয়ে বড় রহস্য আমার জীবনে কখনো দেখা দেয়নি! ভেবেচিন্তে আমি তার চুলগুলি নিয়ে বেণী পাকাবার চেষ্টা আরম্ভ করে দিলাম। আমার আশা পূর্ণ হলো সে মুখ ফিরিয়ে হেসে রহস্যের ঘোমটা খুলে সহজ মানুষ হয়ে গেলো।

বিকালে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা, তোমার বরের চাকরি হলে তুমি কি করবে?

বিকালে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা, তোমার বরের চাকরি হলে তুমি কি করবে? তুমি কি করতে বল? হরির লুট দেব? না তোমায় সন্দেশ খাওয়াব। ধেৎ তা বলছি না। তোমার বরের চাকরি নেই বলে আমাদের বাড়ি কাজ করছ তো চাকরি হলে করবে না? সে হাসল, করব। এখন করছি যে! তোমার বরের চাকরি হয়েছে। হয়েছে বলে সে গম্ভীর হয়ে গেলো। আহা স্বামীর চাকরি নেই বলে ভদ্রলোকের মেয়ে কষ্টে পড়েছে। পাড়ার মহিলাদের কাছে মার এই মন্তব্য শুনে মমতাদির বরের চাকরির জন্য আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে উঠেছিলাম। তার চাকরি হয়েছে শুনে পুলকিত হয়ে মাকে সংবাদটা শুনিয়ে দিলাম। মা তাকে ডেকে পাঠালেন, তোমার স্বামীর চাকরি হয়েছে? সে স্বীকার করে বলল, হয়েছে। বেশি দিন নয়, ইংরাজি মাসের পয়লা থেকে। মা বললেন, অন্য লোক ঠিক করে দিতে পারছ না বলে কি তুমি কাজ ছেড়ে দিতে ইতস্তত করছ? তার কোনো দরকার নেই। আমরা তোমায় আটকে রাখব না। তোমার কষ্ট দূর হয়েছে তাতে আমরাও খুব সুখী।

তুমি ইচ্ছে করলে এবেলাই কাজ ছেড়ে দিতে পার, আমাদের অসুবিধা হবে না।

তুমি ইচ্ছে করলে এবেলাই কাজ ছেড়ে দিতে পার, আমাদের অসুবিধা হবে না। তার চোখে জল এলো, সে শুধু বলল, আমি কাজ করব। মা বললেন, স্বামীর চাকরি হয়েছে তবু? সে বলল, তাঁর সামান্য চাকরি, তাতে কুলবে না মা। আমায় ছাড়বেন না। আমার কাজ কি ভালো হচ্ছে না? মা ব্যস্ত হয়ে বললেন, অমন কথা তোমার শত্রুও বলতে পারবে না মা। সেজন্য নয়। তোমার কথা ভেবেই আমি বলছিলাম। তোমার ওপর মায়া বসেছে, তুমি চলে গেলে আমাদেরও কি ভালো লাগবে? সে একরকম পালিয়ে গেলো। আমি তার পিছু নিলাম। রান্নাঘরে ঢুকে দেখলাম সে কাঁদছে। আমায় দেখে চোখ মুছল। আচমকা বলল, মিথ্যে বললে কি হয় খোকা? মিথ্যে বললে কি হয় জানতাম। বললাম, পাপ হয়। গুরুনিন্দা বাঁচাতে মিথ্যে বললে? এটা জানতাম না। গুরুনিন্দা পাপ, মিথ্যা বলা পাপ। কোনটা বেশি পাপ সে জ্ঞান আমার জন্মায়নি। কিন্তু না জানা কথা বলেও সান্ত্বনা দেওয়া চলে দেখে বললাম, তাতে একটুও পাপ হয় না। সত্যি! কাঁদছ কেন? তখন তার চাকরির একমাস বোধহয় পূর্ণ হয়নি।

একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরবার সময় দেখলাম জীবনময়ের গলির মোড়ে ফেরিওয়ালার

একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরবার সময় দেখলাম জীবনময়ের গলির মোড়ে ফেরিওয়ালার কাছে কমলালেবু কিনছে। সঙ্গে নেবার ইচ্ছা নেই টের পেয়েও এক রকম জোর করেই বাড়ি দেখতে গেলাম। দুটি লেবু কিনে আমাকে সঙ্গে নিয়ে সে গলিতে ঢুকল। বিশ্রী নোংরা গলি। কে যে ঠাট্টা করে এই যমালয়ের পথটার নাম জীবনময় লেন রেখেছিল! গলিটা আস্ত ইট দিয়ে বাঁধানো। পায়ে পায়ে ক্ষয় হয়ে গেছে। দুদিকের বাড়ির চাপে অন্ধকার। এখানে ওখানে আবর্জনা জমা করা আর একটা দূষিত চাপা গন্ধ। আমি সঙ্কুচিত হয়ে তার সঙ্গে চলতে লাগলাম। সে বলল, মনে হচ্ছে পাতালে চলেছ, না? সাতাশ নম্বরের বাড়িটা দোতলা নিশ্চয় কিন্তু যত ক্ষুদ্র দোতলা হওয়া সম্ভব। সদর দরজার পরেই ছোট একটি উঠান। মাঝামাঝি কাঠের প্রাচীর দিয়ে দুভাগ করা। নিচে ঘরের সংখ্যা বোধহয় চার কারণ মমতাদি আমায় যেভাগে নিয়ে গেলো সেখানে দুখানা ছোট ছোট কুঠরির বেশি কিছু আবিষ্কার করতে পারলাম না। ঘরের সামনে দুহাত চওড়া একটু রোয়াক। একপাশে একশিট করোগেট আয়রনের ছাদ ও চটের বেড়ার অস্থায়ী রান্নাঘর। চটগুলি কয়লার ধোঁয়ায় কয়লার বর্ণ পেয়েছে।

সে আমাকে শোবার ঘরে নিয়ে গিয়ে টুলে বসাল। ঘরে দুটি জানালা আছে এবং সম্ভবত

সে আমাকে শোবার ঘরে নিয়ে গিয়ে টুলে বসাল। ঘরে দুটি জানালা আছে এবং সম্ভবত সেই কারণেই শোবার ঘর করে অন্য ঘরখানার চেয়ে বেশি মান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জানালা দুটির এমনি অবস্থান যে আলো যদিও কিছু কিছু আসে। বাতাসের আসা যাওয়া একেবারে অসম্ভব। সুতরাং পক্ষপাতিত্বের যে খুব জোরালো কারণ ছিল তা বলা যায় না। সংসারের সমস্ত জিনিসই প্রায় এঘরে ঠাঁই পেয়েছে। সব কম দামী শ্রীহীন জিনিস। এই শ্রীহীনতার জন্য সযত্নে গুছিয়ে রাখা সত্ত্বেও মনে হচ্ছে বিশৃঙ্খলতার অন্ত নেই। একপাশে বড় চৌকি, তাতে গুটানো মলিন বিছানা। চৌকির তলে একটি চরকা আর ভাঙা বেতের বাস্কেট চোখে পড়ে। অন্তরালে হয়তো আরও জিনিস আছে। ঘরের এক কোণে পাশাপাশি রক্ষিত দুটি ট্রাংক-দুটিরই রঙ চটে গেছে। একটির তালা ভাঙা। অন্য কোণে কয়েকটা মাজা বাসন। বাসনের ঠিক ঊর্ধ্বে কোনাকুনি টাঙানো দড়িতে খানকয়েক কাপড়। এই দুই কোণের মাঝামাঝি দেওয়াল ঘেঁষে পাতা একটি ভাঙা টেবিল। আগাগোড়া দড়ির ব্যান্ডেজের জোরে কোনমতে দাঁড়িয়ে আছে। টেবিলে কয়েকটা বইখাতা। একটি অল্প দামী টাইমপিস। কয়েকটা ওষুধের শিশি। একটা মেরামত করা আর্সি। কয়েকটা ভাঁজ করা সংবাদপত্র। এই সব টুকিটাকি জিনিস। টেবিলের ঊর্ধ্বে দেওয়ালের গর্তের তাকে কতকগুলি বই। ঘরে আর একটি জিনিস ছিল-একটি বছর পাঁচেকের ছেলে। চৌকিতে শুধু মাদুরের ওপরে উপুড় হয়ে শুয়ে সে ঘুমিয়ে ছিল। মমতাদি ঘরে ঢুকেই ব্যস্ত হয়ে ছেলেটির গায়ে হাত দিল। তারপর গুটানো বিছানার ভেতর থেকে লেপ আর বালিশ টেনে বার করল।

সন্তর্পণে ছেলেটির মাথার তলে বালিশ আর লেপ দিয়ে গা ঢেকে দিল।

সন্তর্পণে ছেলেটির মাথার তলে বালিশ আর লেপ দিয়ে গা ঢেকে দিল। বলল, কাল সারারাত পেটের ব্যথায় নিজেও ঘুমোয়নি। আমাকেও ঘুমোতে দেয়নি। উনি তো রাগ করে-কই, তুমি লেবু খেলে না? আমি একটা লেবু খেলাম। সে চুপ করে খাওয়া দেখে বলল, মুড়ি ছাড়া ঘরে কিছু নেই। দোকানের বিষও দেব না। একটা লেবু খাওয়াতে তোমাকে ডেকে আনলাম! আমি বললাম, আর একটা লেবু খাব দিদি। সে হেসে লেবু দিল। বলল, কৃতার্থ হলাম। সবাই যদি তোমার মতো ভালোবাসত! ঘরে আলো ও বাতাসের দীনতা ছিল। খানিক পরে সে আমায় বাইরে রোয়াকে মাদুর পেতে বসাল। কথা বলার সঙ্গে সংসারের কয়েকটা কাজও করে নিল। ঘর ঝাঁট দিল, কড়াই মাজল, পানি তুলল তারপর মশলা বাটতে বসল। হঠাৎ বলল, তুমি এবার বাড়ি যাও ভাই। তোমার খিদে পেয়েছে।

বাছা- বৎস বা অল্পবয়সী সন্তান; পর্দা ঠেলে উপার্জন- এখানে নারীদের অন্তঃপুরে

বাছা- বৎস বা অল্পবয়সী সন্তান; পর্দা ঠেলে উপার্জন- এখানে নারীদের অন্তঃপুরে থাকার প্রাভঙ্গ করে বাইরে এসে আয়-রোজগার করা বোঝাচ্ছে; অনাড়ম্বর- জাঁককমকহীন; বামুনদি- ব্রাহ্মণদিদির সংক্ষিপ্ত রূপ। আগে রান্না বা গৃহকর্মে যে ব্রাহ্মণকন্যাগণ নিয়োজিত হতেন তাদের কথ্যরীতিতে বামুনদি ডাকা হতো; অপ্রতিভ- অপ্রস্তুত; পরদিন থেকে সে আর আসত না- না আসার কারণ আত্মসম্মান। মমতাদি টাকার জন্য অন্যের বাড়িতে কাজ নিয়েছে সত্য। কিন্তু তাকে অসম্মান করলে বা সন্দেহের চোখে দেখলে নিজে অপমানিতবোধ করে চাকরিত্যাগের সাহস তার ছিল; হরির লুট- দেবতা হরিকে লুটিয়ে দান করা এবং সেখান থেকে প্রচুর প্রসাদ গ্রহণ করা।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরীসৃপ (১৯৩৯) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘মমতাদি’ গল্প।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরীসৃপ (১৯৩৯) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘মমতাদি’ গল্প। এই গল্পে গৃহকর্মে নিয়োজিত মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করার দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে।

স্কুলপড়ুয়া একটি ছেলে যখন দেখে তাদের বাড়িতে মমতাদি নামে এক গৃহকর্মী আসে তখন সে আনন্দিত হয়। তাকে নিজের বাড়ির একজন বলে মনে করে ছেলেটি। মমতাদির সংসারে অভাব বলেই মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও তাকে অপরের বাড়িতে কাজ নিতে হয়। এই আত্মমর্যাদাবোধ তার সবসময়ই সমুন্নত ছিল। সে নিজে যেমন আদর ও সম্মান প্রত্যাশী তেমনি অন্যকেও স্নেহ ও ভালোবাসা দেবার ক্ষেত্রে তার মধ্যে দ্বিধা ছিল না। স্কুলপড়ুয়া ছেলেটি তাই মমতাদির কাছে ছোটভাইয়ের মর্যাদা লাভ করে। তাকে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে যথাসামর্থ্য আপ্যায়ন করে মমতাদি। সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে মমতাদির পাশেও দাঁড়ায় স্কুলপড়ুয়া ঐ ছেলে ও তার পরিবার। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের গৃহকর্মে যারা সহায়তা করে থাকেন তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা জরুরি। আত্মসম্মানবোধ তাদেরও আছে। এই বোধকে মান্য করলে তারাও গৃহস্থের পরিবারকে নিজ পরিবার হিসেবে গণ্য করবেন।

মমতাদি’ অধ্যায়ের সকল বহুনির্বাচনী সাজেশন

১. ‘মমতাদি’ গল্পে লেখক মমতাদির গেটের কাছে পাকড়াও করেছিলেন মমতাদিকে –
ক) বাগান দেখানোর জন্য
খ) বাড়ি দেখানোর জন্য
গ) রান্নাঘর দেখানোর জন্য
ঘ) পোষা পাখি দেখানোর জন্য
সঠিক উত্তর: (গ)

২. মমতাদির বেতন কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল?
ক) ১০ টাকা
খ) ১২ টাকা
গ) ১৫ টাকা
ঘ) ১৮ টাকা
সঠিক উত্তর: (গ)

৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মোট কতটি উপন্যাস রচনা করেন?
ক) বিশটি
খ) পঁচিশটি
গ) চল্লিশটিরও বেশি
ঘ) পঞ্চাশটিরও অধিক
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৪. মমতাদির সঙ্গে কথা বলার জন্য ছটফট করছে কে?
ক) বাড়ির বড়কর্তা
খ) বাড়ির মেঝকর্তা
গ) বাড়ির সেজকর্তা
ঘ) বাড়ির ছোটকর্তা
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৫. মমতাদির শাড়ির পাড়টি কেমন ছিল?
ক) বিবর্ণ সবুজ
খ) বিবর্ণ নীল
গ) বিবর্ণ হলুদ
ঘ) বিবর্ণ লাল
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৬. ‘কাজগুলিকে সে আপনার করে নিল’ – এ চিত্রকল্পে মমতাদি চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক) স্বল্পভাষ স্বভাব
খ) কাজের প্রতি মনোযোগ
গ) কাজের প্রতি আন্তরিকতা
ঘ) কাজ নিয়ে মাতামাতি
সঠিক উত্তর: (গ)

৭. ‘পরনে সেলাই করা ময়লা শাড়ি’ – মমতার এই বসনের সাথে সংগতি রয়েছে –
i. দরিদ্রতার
ii. অভাবের
iii. রুচিহীনতার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

৮. ‘বেশি আস্কারা দিও না, জ্বালিয়ে মারবে।’ এখানে আস্কারার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হলো –
i. স্নেহ
ii. প্রশ্রয়
iii. তিরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

৯. মমতাদির ট্রাঙ্ক দুটির একটি রং চটে গেছে আর একটির –
ক) ডালা ভাঙ্গা
খ) কোণা ভাঙ্গা
গ) তালা ভাঙ্গা
ঘ) হুক ভাঙ্গা
সঠিক উত্তর: (গ)

১০. ‘রাঁধুনী’ শব্দটি ব্যাকরণের কোন নিয়মে গঠিত হয়েছে?
ক) সমাস
খ) প্রত্যয়
গ) উপসর্গ
ঘ) সন্ধি
সঠিক উত্তর: (খ)

১১. ‘অমন কথা তোমার শত্রুও বলতে পারবে না’ – মমতাদিকে একথা বলার কারন হলো –
i. মমতাদি কাজে কর্মে নিপুণ
ii. মমতাদির অসৎ উদ্দেশ্য নেই
iii. মমতাদির মধ্যে শৃঙ্খলা রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

১২. মমতাদি ঘরে ব্যস্ত হয়ে ঢুকে কী করল?
ক) ছেলেটির গায়ে হাত দিল
খ) ছেলেটির মাথায় হাত দিল
গ) ছেলেটির পায়ে হাত দিল
ঘ) ছেলেটির পিঠে হাত দিল
সঠিক উত্তর: (ক)

১৩. খোকাকে মমতাদির আপ্যায়ন ছিল –
ক) গরিবি প্রকাশ
খ) কৃতজ্ঞতার প্রকাশ
গ) যথাসামর্থ্য আপ্যায়ন
ঘ) আপ্যায়ন ছিল না
সঠিক উত্তর: (গ)

১৪. মমতাদি কেন আবশ্যক জোর দিয়ে নিজেকে রাঁধুনী বলেছিলেন?
ক) লজ্জা ঢাকতে
খ) কাজের সুবিধার্থে
গ) আত্মসম্মান ঢাকতে
ঘ) রান্না করবে তাই
সঠিক উত্তর: (গ)

১৫. ‘তার গালে চড় মারার অধিকার একজন মানুষের আঠারো আনা আছে।’ এ বাক্যটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় –
i. স্বামীত্বের দাম্ভিকতা
ii. অধিকারের যথাযথ ব্যবহার
iii. নির্যাতনের নিষ্ঠুরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

১৬. ছেলেটির বাড়িতে মমতাদির কততম চাকরি ছিল?
ক) চতুর্থ
খ) তৃতীয়
গ) দ্বিতীয়
ঘ) প্রথম
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৭. খোকা শীতের সকালের রোদে বসে কী করছিল?
ক) ফুলকপি কুটছিল
খ) স্কুলের পড়া করছিল
গ) দাবা খেলছিল
ঘ) ছবি আঁকছিল
সঠিক উত্তর: (খ)

১৮. খোকা মমতাদিকে কী দেখাতে চেয়েছিল?
ক) বাড়ি
খ) বাগান বাড়ি
গ) রান্নাঘর
ঘ) খোকার শোবার ঘর
সঠিক উত্তর: (গ)

১৯. বিক্রমপুর অঞ্চলটি কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) নারায়ণগঞ্জ
খ) মুন্সিগঞ্জ
গ) মানিকগঞ্জ
ঘ) নরসিংদি
সঠিক উত্তর: (খ)

২০. ‘মমতাদি’ গল্পে লেখক কী করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন?
ক) মা’র সাথে গল্প করতে
খ) মমতাদির সাথে ভাব করতে
গ) মমতাদির কথা বলতে
ঘ) মমতাদির বাড়ি যেতে
সঠিক উত্তর: (খ)

২১. শোবার ঘরকে অন্য ঘরের চেয়ে মান দেওয়া হয়েছে কেন?
ক) সাথে রান্নাঘর আছে বলে
খ) এক শিট আয়রনের ছাদ বলে
গ) ঘরে দুটি জানালা আছে বলে
ঘ) ঘরটি অনেক চওড়া বলে
সঠিক উত্তর: (গ)

২২. মমতাদিকে সবাই ভালোবাসত –
i. সে কাজকর্মে দক্ষ
ii. সে অসহায় মেয়ে
iii. সে মমতাময়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

২৩. মমতাদি কত নম্বর বাড়িতে থাকে?
ক) সতেরো নম্বর
খ) একুশ নম্বর
গ) সাতাশ নম্বর
ঘ) সাঁইত্রিশ নম্বর
সঠিক উত্তর: (গ)

২৪. ‘তুমি রাঁধুনী?’ প্রশ্নটি কার?
ক) মায়ের
খ) ছেলেটির
গ) স্বামীর
ঘ) ছোটকর্তার
সঠিক উত্তর: (ক)

২৫. “হঠাৎ সে তরকারী নামাতে ভারি ব্যস্ত হয়ে পড়ল” – কে?
ক) দুর্গা
খ) সর্বজয়া
গ) মমতাদি
ঘ) লক্ষ্মী বউটি
সঠিক উত্তর: (গ)

২৬. ‘পরদিন থেকে সে আর আসত না।’ – কথাটিতে ফুটে উঠেছে –
i. মমতাদির অহংকার
ii. মমতাদির আত্মসম্মান
iii. মমতাদির সাহস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

২৭. ‘মমতাদি’ কেমন ঘরের নারী?
ক) বনেদি ঘরের
খ) মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের
গ) বামুন ঘরের
ঘ) বস্তিঘরের
সঠিক উত্তর: (খ)

২৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর বয়সে ‘দিবারাত্রির কাব্য’ উপন্যাসটি রচনা করেন?
ক) ১৯ বছর
খ) ২০ বছর
গ) ২১ বছর
ঘ) ২২ বছর
সঠিক উত্তর: (গ)

২৯. মমতাদি অপরের বাড়িতে কাজ নেয় –
i. সংসারে অভাব বলে
ii. স্বামীর চাকরি নেই বলে
iii. বাড়তি রোজগারের আশায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

৩০. ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ ও ‘পদ্মানদীর মাঝি’ গ্রন্থ দুটির মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে –
i. লেখকের
ii. প্রেক্ষাপটের
iii. আঙ্গিকের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

এছাড়া ও এই অধ্যায়ের আরো অনেকগুলো MCQ সাজেশন পেতে নিচের পিডিএফ ফাইল টি ডাউনলোড করে নিন

PDF File Download From Here

? সাইজঃ- 285 KB

? পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 7

Download From Google Drive

Download

  Direct Download 

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here